আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭ - ২
৬/ আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) এর প্রতি এবং (দ্বীনের অনুশাসনের) প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ এবং তাঁর প্রতি মানুষকে আহবান করা, দ্বীন সম্বন্ধে (জানার জন্য) প্রশ্ন করা ও তা সংরক্ষণ, আর যার কাছে দ্বীন পৌঁছায়নি, তাঁর কাছে দ্বীনের দাওয়াত পেশ করা প্রসঙ্গ।
২৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না এবং মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু জামরা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর কথা লোকদের বোঝাবার দায়িত্ব পালন করতাম। একজন স্ত্রীলোক তাঁর কাছে এসে কলসীর নাবীয সম্পর্কে জানতে চাইল। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আব্দুল কায়স গোত্রের এক প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে হাযির হলে, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, প্রতিনিধি দলটি কারা? অথবা বললেন, লোকগুলো কারা? তারা বলল- আমরা রাবী’আ গোত্রের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে বললেন, তোমরা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়ার আগেই এসেছ বলে মুবারকবাদ।
রাবী বলেন- তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল আমরা বহু দূর থেকে আপনার খিদমতে হাযির হয়েছি। আমাদের ও আপনার মধ্যে কাফির মুযার গোত্র বিদ্যমান। আমরা শাহরুল হারাম ব্যতীত আপনার কাছে নিরাপদে পৌছতে অপারগ। সুতরাং আপনি আমাদের ইসলামের সূস্পষ্ট বিধান সম্পর্কে নির্দেশ দান করুন, যেন আমরা আমাদের পশ্চাতের লোকজনকে তা অবহিত করতে পারি এবং তদানূযায়ী আমল করে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তাদের চারটি বিষয় পালনের নির্দেশ দিলেন এবং চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করলেন। এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, তোমরা জানো এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কী? আরয করলেন, আল্লাহ ও তার রাসুল(ﷺ) এ বিষয়ে ভাল জানেন।
রাসুল(ﷺ) বললেন, এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল আর তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা পালন করবে এবং গনিমত-লব্ধ সামগ্রীর এক-পঞ্চমাংশ দান করবে।
তিনি তাদের চারটি বিষয়ে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। তা হচ্ছে- দুব্বা, হানতাম, মুযাফফাত। চতুর্থটি সম্বন্ধে শু’বা বলেন, এরপর রাবী কখনো ‘নাকির’ কখনোবা ‘মুকায়্যার’ শব্দ উল্লেখ করেছেন।* রাসুল(ﷺ) বললেন, এসব বিধান হিফাজত করবে এবং যারা আসেনি তাদের তা জানিয়ে দিবে।
আবু বকর (রাহঃ)-এর রিওয়ায়েতে مَنْ وَرَاءَكُمْ (যারা আসেনি) কথাটি রয়েছে কিন্তুالْمُقَيَّرِ শব্দটি নেই।
* আলকাতরা জাতীয় পদার্থের প্রলেপ দেওয়া পাত্র।
রাবী বলেন- তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল আমরা বহু দূর থেকে আপনার খিদমতে হাযির হয়েছি। আমাদের ও আপনার মধ্যে কাফির মুযার গোত্র বিদ্যমান। আমরা শাহরুল হারাম ব্যতীত আপনার কাছে নিরাপদে পৌছতে অপারগ। সুতরাং আপনি আমাদের ইসলামের সূস্পষ্ট বিধান সম্পর্কে নির্দেশ দান করুন, যেন আমরা আমাদের পশ্চাতের লোকজনকে তা অবহিত করতে পারি এবং তদানূযায়ী আমল করে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তাদের চারটি বিষয় পালনের নির্দেশ দিলেন এবং চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করলেন। এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, তোমরা জানো এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কী? আরয করলেন, আল্লাহ ও তার রাসুল(ﷺ) এ বিষয়ে ভাল জানেন।
রাসুল(ﷺ) বললেন, এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল আর তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা পালন করবে এবং গনিমত-লব্ধ সামগ্রীর এক-পঞ্চমাংশ দান করবে।
তিনি তাদের চারটি বিষয়ে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। তা হচ্ছে- দুব্বা, হানতাম, মুযাফফাত। চতুর্থটি সম্বন্ধে শু’বা বলেন, এরপর রাবী কখনো ‘নাকির’ কখনোবা ‘মুকায়্যার’ শব্দ উল্লেখ করেছেন।* রাসুল(ﷺ) বললেন, এসব বিধান হিফাজত করবে এবং যারা আসেনি তাদের তা জানিয়ে দিবে।
আবু বকর (রাহঃ)-এর রিওয়ায়েতে مَنْ وَرَاءَكُمْ (যারা আসেনি) কথাটি রয়েছে কিন্তুالْمُقَيَّرِ শব্দটি নেই।
* আলকাতরা জাতীয় পদার্থের প্রলেপ দেওয়া পাত্র।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَلْفَاظُهُمْ، مُتَقَارِبَةٌ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، - عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ كُنْتُ أُتَرْجِمُ بَيْنَ يَدَىِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَبَيْنَ النَّاسِ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ تَسْأَلُهُ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ، فَقَالَ إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ الْوَفْدُ أَوْ مَنِ الْقَوْمُ " . قَالُوا رَبِيعَةُ . قَالَ " مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ النَّدَامَى " . قَالَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَأْتِيكَ مِنْ شُقَّةٍ بَعِيدَةٍ وَإِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَىَّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ وَإِنَّا لاَ نَسْتَطِيعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلاَّ فِي شَهْرِ الْحَرَامِ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا نَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ . قَالَ فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ . قَالَ أَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ بِاللَّهِ وَحْدَهُ . وَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَأَنْ تُؤَدُّوا خُمُسًا مِنَ الْمَغْنَمِ " . وَنَهَاهُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ . قَالَ شُعْبَةُ وَرُبَّمَا قَالَ النَّقِيرِ . قَالَ شُعْبَةُ وَرُبَّمَا قَالَ الْمُقَيَّرِ . وَقَالَ " احْفَظُوهُ وَأَخْبِرُوا بِهِ مِنْ وَرَائِكُمْ " . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَتِهِ " مَنْ وَرَاءَكُمْ " وَلَيْسَ فِي رِوَايَتِهِ الْمُقَيَّرِ .
