আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন

হাদীস নং: ৭০১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫২৫
৩১৪৬. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা আমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যেই বল তিনি তো অন্তর্যামী (৬৭ঃ ১৩)।
(আল্লাহর বাণী) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত (৬৭ঃ ১৪)। يَتَخَافَتُونَ এর অর্থ يَتَسَارُّونَ (চুপে চুপে পড়ে)।
৭০১৭। আমর ইবনে যুরারা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মহান আল্লাহর বাণীঃ নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না ......... (১৭ঃ ১১০) এ প্রসঙ্গে বলেনঃ এ নির্দেশ যখন নাযিল হল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় গোপনে অবস্থান করতেন। অথচ তিনি যখন সাহাবীগণকে নিয়ে নামায আদায় করতেন, কুরআন উচ্চস্বরে পড়তেন। মুশরিকরা এ কুরআন শুনলে কুরআন, কুরআন এর অবতীর্ণকারী এবং বাহক সবাইকে গালমন্দ করত। এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা তার নবী (ﷺ) কে বলে দিলেন, আপনার নামাযকে এমন উচ্চস্বরে করবেন না অর্থাৎ আপনার কিরাআতকে। তাহলে মুশরিকরা শুনতে পেয়ে কুরআন সম্পর্কে গালমন্দ করবে। আর এ কুরআন আপনার সাহাবীদের কাছে এত ক্ষীণ স্বরেও পড়বেন না, যাতে আপনার কিরাআত তারা শুনতে না পায়। বরং এ দু'য়ের মাঝামাঝি পথ অবলম্বন করুন।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوابِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ أَلاَ يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ} {يَتَخَافَتُونَ} يَتَسَارُّونَ
7525 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ تَجْهَرْ [ص:154] بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] ، قَالَ: «نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ، فَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالقُرْآنِ، فَإِذَا سَمِعَهُ المُشْرِكُونَ، سَبُّوا القُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ» ، فَقَالَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ} [الإسراء: 110] : أَيْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ المُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا القُرْآنَ: {وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] ، عَنْ أَصْحَابِكَ فَلاَ تُسْمِعُهُمْ {وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا} [الإسراء: 110]

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ আয়াত এবং হযরত ইবনে আব্বাস রা.-এর তাফসীর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সশব্দে কুরআন পাঠের মূল উদ্দেশ্য মুক্তাদীদেরকে কুরআন শুনানো। অতএব, যার পেছনে কোন মুক্তাদী নেই এমন একাকি ব্যক্তির জন্য জিহরী (সশব্দে) নামাযে সশব্দে কুরআন পড়া জরুরী নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৩৩)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৭০১৭ | মুসলিম বাংলা