আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩১
৪৭৩. রাতের নামায।
৬৯৫। আব্দুল আ'লা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসে একটি ছোট কামরা বানালেন। তিনি [বুসর ইবনে সাঈদ (রাহঃ)] বলেন, মনে হয়, [যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ)] কামরাটি চাটাইর তৈরী ছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি সেখানে কয়েক রাত নামায আদায় করেন। আর তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কিছু সাহাবীও তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করতেন। তিনি যখন তাঁদের সম্বন্ধে জানতে পারলেন, তখন তিনি বসে থাকলেন। পরে তিনি তাঁদের কাছে এসে বললেন, তোমাদের কার্যকলাপ দেখে আমি বুঝতে পেরেছি। হে লোকেরা! তোমরা তোমাদের ঘরেই নামায আদায় কর। কেননা, ফরজ নামায ব্যতীত লোকেরা ঘরে যে নামায আদায় করে তা-ই উত্তম।
আফফান (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) সূত্রেও নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বলেছেন।
আফফান (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) সূত্রেও নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বলেছেন।
باب صَلاَةِ اللَّيْلِ
731 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّخَذَ حُجْرَةً - قَالَ: حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مِنْ حَصِيرٍ - فِي رَمَضَانَ، فَصَلَّى فِيهَا لَيَالِيَ، فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا عَلِمَ بِهِمْ جَعَلَ يَقْعُدُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: «قَدْ عَرَفْتُ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صَنِيعِكُمْ، فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ صَلاَةُ المَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا المَكْتُوبَةَ» قَالَ عَفَّانُ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى، سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، عَنْ بُسْرٍ، عَنْ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয ব্যতীত যে কোন নামাযই ঘরে পড়া উত্তম। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/২২) সহীহ সনদে হযরত আব্দুল্লাহ বিন সাআদ রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, আমার ঘর মাসজিদের কত নিকটে। এতদ্সত্ত্বেও আমার নিকট মাসজিদে নামায আদায় করার চেয়ে ঘরে নামায আদায় করা উত্তম। তবে ফরয নামায হলে ভিন্ন কথা। (ইবনে মাযা-১৩৭৮) শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
অবশ্য ফরযের পরের ছুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ না পড়ে বের হয়ে গেলে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে, উক্ত নামায হয়তো আর পড়া হবে না তাহলে মাসজিদ থেকে ছুন্নাত পড়ে বের হবে।
অবশ্য ফরযের পরের ছুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ না পড়ে বের হয়ে গেলে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে, উক্ত নামায হয়তো আর পড়া হবে না তাহলে মাসজিদ থেকে ছুন্নাত পড়ে বের হবে।


বর্ণনাকারী: