আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯
৪৭২. ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে দেওয়াল বা সুতরা থাকলে।
হাসান (রাহঃ) বলেন, তোমার ও ইমামের মধ্যে নহর থাকলেও ইক্তিদা করতে অসুবিধা নেই।
আবু মিজলায (রাহঃ) বলেন, যদি ইমামের তাকবীর শোনা যায় তাহলে ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে রাস্তা বাঁ দেওয়াল থাকলেও ইক্তিদা করা যায়।*
* ফিক্হ-র গ্রন্থাদিতে বলা হয়েছে, খাল বলতে যদি ছোট নালা-নর্দমা হয় এবং রাস্তা বলতে এমন সরু রাস্তা যাতে গরুর গাড়ি চলতে পারে না, তাহলে স্থান এক বলে গণ্য হবে, যা ইক্তিদা শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরী। খাল বা রাস্তা যদি এর চেয়ে বড় হয় অথবা দুই কাতার জুড়ে বা তার সমপরিমাণ হয় তাহলে ইক্তিদা সহীহ হবে না। তবে বড় হওয়ার ক্ষেত্রে যদি রাস্তায়ও কিছু মানুষ জামাতে দাঁড়ায় বা খালের উপর পুল ব্রিজ থাকে অথবা খালে পাশাপাশি নৌকা রেখে তাতেও নামাযী দাঁড়ায়, তাহলে ইক্তিদা সহীহ হয়ে যাবে। (ফতওয়ার গ্রন্থাদি দ্রষ্টব্য)
হাসান (রাহঃ) বলেন, তোমার ও ইমামের মধ্যে নহর থাকলেও ইক্তিদা করতে অসুবিধা নেই।
আবু মিজলায (রাহঃ) বলেন, যদি ইমামের তাকবীর শোনা যায় তাহলে ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে রাস্তা বাঁ দেওয়াল থাকলেও ইক্তিদা করা যায়।*
* ফিক্হ-র গ্রন্থাদিতে বলা হয়েছে, খাল বলতে যদি ছোট নালা-নর্দমা হয় এবং রাস্তা বলতে এমন সরু রাস্তা যাতে গরুর গাড়ি চলতে পারে না, তাহলে স্থান এক বলে গণ্য হবে, যা ইক্তিদা শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরী। খাল বা রাস্তা যদি এর চেয়ে বড় হয় অথবা দুই কাতার জুড়ে বা তার সমপরিমাণ হয় তাহলে ইক্তিদা সহীহ হবে না। তবে বড় হওয়ার ক্ষেত্রে যদি রাস্তায়ও কিছু মানুষ জামাতে দাঁড়ায় বা খালের উপর পুল ব্রিজ থাকে অথবা খালে পাশাপাশি নৌকা রেখে তাতেও নামাযী দাঁড়ায়, তাহলে ইক্তিদা সহীহ হয়ে যাবে। (ফতওয়ার গ্রন্থাদি দ্রষ্টব্য)
৬৯৩। মুহাম্মাদ (ইবনে সালাম) (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতের নামায তাঁর নিজ কামরায় আদায় করতেন। কামরার দেওয়ালটি ছিল নিচু। ফলে একদিন সাহাবীগণ নবী (ﷺ) এর শরীর মুবারক দেখতে পেলেন এবং (দেওয়ালের অপর পার্শ্বে) সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে নামায আদায় করলেন। সকালে তারা একথা বলাবলি করছিলেন। দ্বিতীয় রাতে তিনি (নামাযে) দাঁড়ালেন। সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে নামায আদায় করলেন। দু’ বা তিন রাত তারা এরূপ করলেন। এরপর (রাতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে থাকলেন, আর বের হলেন না। ভোরে সাহাবীগণ এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। তখন তিনি বললেনঃ আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, রাতের নামায তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হতে পারে।
باب إِذَا كَانَ بَيْنَ الإِمَامِ وَبَيْنَ الْقَوْمِ حَائِطٌ أَوْ سُتْرَةٌ وَقَالَ الْحَسَنُ لاَ بَأْسَ أَنْ تُصَلِّيَ وَبَيْنَكَ وَبَيْنَهُ نَهْرٌ. وَقَالَ أَبُو مِجْلَزٍ يَأْتَمُّ بِالإِمَامِ وَإِنْ كَانَ بَيْنَهُمَا طَرِيقٌ أَوْ جِدَارٌ إِذَا سَمِعَ تَكْبِيرَ الإِمَامِ
729 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فِي حُجْرَتِهِ، وَجِدَارُ الحُجْرَةِ قَصِيرٌ، فَرَأَى النَّاسُ شَخْصَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ أُنَاسٌ يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ، فَأَصْبَحُوا فَتَحَدَّثُوا [ص:147] بِذَلِكَ، فَقَامَ اللَّيْلَةَ الثَّانِيَةَ، فَقَامَ مَعَهُ أُنَاسٌ يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ، صَنَعُوا ذَلِكَ لَيْلَتَيْنِ - أَوْ ثَلاَثًا - حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ، جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَخْرُجْ، فَلَمَّا أَصْبَحَ ذَكَرَ ذَلِكَ النَّاسُ فَقَالَ: «إِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُكْتَبَ عَلَيْكُمْ صَلاَةُ اللَّيْلِ»
