আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
হাদীস নং: ৬৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৩২
৩১২৫. আল্লাহর বাণীঃ ফিরিশতাগন এবং রূহ আল্লাহর দিকে উর্ধ্বগামী হয় (৭০ঃ ৪)। এবং আল্লাহর বাণীঃ তাঁরই দিকে পবিত্র বাণীসমূহ আরোহণ করে (৩৫ঃ ১০)।
৬৯২৬। কাবীসা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) এর সমীপে সামান্য কিছু স্বর্ণ পাঠানো হলে তিনি চারজনকে তা বণ্টন করে দেন।
ইসহাক ইবনে নসর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আলী (রাযিঃ) ইয়ামানে অবস্থানকালে নবী (ﷺ) এর কাছে কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠিয়েছিলেন। নবী (ﷺ) বনু মুজাশি গোত্রের আকরা ইবনে হাবিস হানযালী, উয়ায়না ইবনে হিসন ইবনে বদর ফাযারী, আলকামা ইবনে উলাছা আমিরী ও বনু কিলাবের একজন এবং বনু নাবহান গোত্রের যায়দ আল খায়ল তাঈর মধ্যে তা বন্টন করে দেন। এই কারণে কুরাইশ ও আনসারীগণ অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, নবী (ﷺ) নজদবাসী সরদারদেরকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে বিমুখ করছেন। এই প্রেক্ষিতে নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তাদের হৃদয় আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। তখন কোটরাগত চোখ, উচু কপাল, অধিক দাঁড়ি, উচ্চ চোয়াল ও মুণ্ডানো মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি সামনে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমিই যদি তার নাফরমানী করি, তবে তাঁর অনুগত হবে আর কে? আর এজন্যই তিনি আমাকে লোকের উপর আমানতদার নির্ধারণ করেছেন, অথচ তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। এমন সময় দলের মধ্য থেকে এক লোক, সম্ভবত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ) সেই ব্যক্তিটিকে হত্যা করার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে অনুমতি চাইলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন। সে লোকটি চলে যাওয়ার পর নবী (ﷺ) বললেনঃ এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন কিছু লোক আসবে, যারা কুরআন পড়বে, তবে কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে শিকারের দেহ ভেদ করে তীর বের হয়ে যায়। মূর্তিপূজারীদেরকে তারা ছেড়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করবে। যদি আমি তাদেরকে পাই, তাহলে আদ জাতির হত্যার মত তাদেরকে হত্যা করব।
ইসহাক ইবনে নসর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আলী (রাযিঃ) ইয়ামানে অবস্থানকালে নবী (ﷺ) এর কাছে কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠিয়েছিলেন। নবী (ﷺ) বনু মুজাশি গোত্রের আকরা ইবনে হাবিস হানযালী, উয়ায়না ইবনে হিসন ইবনে বদর ফাযারী, আলকামা ইবনে উলাছা আমিরী ও বনু কিলাবের একজন এবং বনু নাবহান গোত্রের যায়দ আল খায়ল তাঈর মধ্যে তা বন্টন করে দেন। এই কারণে কুরাইশ ও আনসারীগণ অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, নবী (ﷺ) নজদবাসী সরদারদেরকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে বিমুখ করছেন। এই প্রেক্ষিতে নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তাদের হৃদয় আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। তখন কোটরাগত চোখ, উচু কপাল, অধিক দাঁড়ি, উচ্চ চোয়াল ও মুণ্ডানো মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি সামনে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমিই যদি তার নাফরমানী করি, তবে তাঁর অনুগত হবে আর কে? আর এজন্যই তিনি আমাকে লোকের উপর আমানতদার নির্ধারণ করেছেন, অথচ তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। এমন সময় দলের মধ্য থেকে এক লোক, সম্ভবত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ) সেই ব্যক্তিটিকে হত্যা করার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে অনুমতি চাইলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন। সে লোকটি চলে যাওয়ার পর নবী (ﷺ) বললেনঃ এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন কিছু লোক আসবে, যারা কুরআন পড়বে, তবে কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে শিকারের দেহ ভেদ করে তীর বের হয়ে যায়। মূর্তিপূজারীদেরকে তারা ছেড়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করবে। যদি আমি তাদেরকে পাই, তাহলে আদ জাতির হত্যার মত তাদেরকে হত্যা করব।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {تَعْرُجُ المَلاَئِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ} [المعارج: 4] ، وَقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: {إِلَيْهِ يَصْعَدُ الكَلِمُ الطَّيِّبُ} [فاطر: 10]
7432 - حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، أَوْ أَبِي نُعْمٍ، شَكَّ قَبِيصَةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: بُعِثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذُهَيْبَةٍ، فَقَسَمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: بَعَثَ عَلِيٌّ وَهُوَ بِاليَمَنِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا، فَقَسَمَهَا بَيْنَ الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الحَنْظَلِيِّ، ثُمَّ أَحَدِ بَنِي مُجَاشِعٍ، وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الفَزَارِيِّ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلاَثَةَ العَامِرِيِّ، ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلاَبٍ وَبَيْنَ زَيْدِ الخَيْلِ الطَّائِيِّ، ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ، فَتَغَيَّظَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ فَقَالُوا: يُعْطِيهِ صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ، وَيَدَعُنَا قَالَ: «إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ» ، فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ العَيْنَيْنِ، نَاتِئُ الجَبِينِ، كَثُّ اللِّحْيَةِ، مُشْرِفُ الوَجْنَتَيْنِ، مَحْلُوقُ الرَّأْسِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، اتَّقِ اللَّهَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَنْ يُطِيعُ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ، فَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ، وَلاَ تَأْمَنُونِي» ، فَسَأَلَ رَجُلٌ مِنَ القَوْمِ قَتْلَهُ، أُرَاهُ خَالِدَ بْنَ الوَلِيدِ، فَمَنَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا وَلَّى، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا، قَوْمًا يَقْرَءُونَ القُرْآنَ، لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ، وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ، لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ»


বর্ণনাকারী: