আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৪৭
৩০৯২. মহান আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (১৮ঃ ৫৪)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না.......... (২৯ঃ ৪৬)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না.......... (২৯ঃ ৪৬)।
৬৮৪৬। আবুল ইয়ামান ও মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এবং রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) এর নিকট আসলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা নামায আদায় করেছ কি? আলী (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের জীবন তো আল্লাহর কুদরতের হাতে। তিনি আমাদেরকে যখন (নামায এর জন্য ঘুম থেকে) জাগিয়ে দিতে চান, জাগিয়ে দেন। আলী (রাযিঃ) এর এ কথা বলার সাথে সাথেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চলে গেলেন, আলীর কথার কোন প্রতিউত্তর তিনি আর দিলেন না। আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি শুনতে পেলাম, তিনি চলে যাচ্ছে, আর উরুতে হাত মেরে মেরে বললেনঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ তোমার কাছে রাতে যে আগন্তুক আসে তাকে ’তারিক’ বা নৈশ অতিথি বলে। ’তারিক’ একটি নক্ষত্রকেও বলা হয়। আর ’ছাকিব’ অর্থ হল জ্যোতিষ্মান। এইজন্যই আগুন যে জালায় তাকে লক্ষ্য করে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, তুমি আগুন জ্বালিয়ে তোল।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ তোমার কাছে রাতে যে আগন্তুক আসে তাকে ’তারিক’ বা নৈশ অতিথি বলে। ’তারিক’ একটি নক্ষত্রকেও বলা হয়। আর ’ছাকিব’ অর্থ হল জ্যোতিষ্মান। এইজন্যই আগুন যে জালায় তাকে লক্ষ্য করে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, তুমি আগুন জ্বালিয়ে তোল।
بَابُ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا} [الكهف: 54] وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ تُجَادِلُوا أَهْلَ الكِتَابِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ} [العنكبوت: 46]
7347 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ - [ص:107] عَلَيْهَا السَّلاَمُ - بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُمْ: «أَلاَ تُصَلُّونَ؟» ، فَقَالَ عَلِيٌّ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ، وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعَهُ وَهُوَ مُدْبِرٌ، يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهُوَ يَقُولُ: {وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا} [الكهف: 54] ، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " يُقَالُ: مَا أَتَاكَ لَيْلًا فَهُوَ طَارِقٌ "، وَيُقَالُ {الطَّارِقُ} [الطارق: 2] : «النَّجْمُ» ، وَ {الثَّاقِبُ} [الطارق: 3] : «المُضِيءُ» ، يُقَالُ: «أَثْقِبْ نَارَكَ لِلْمُوقِدِ»
