আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৮
৪৬৩. ইকামতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা।
৬৮৩। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা কাতার সোজা করে নেবে। আমি আমার পেছনের দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ব্যাখ্যাঃ
২- নামাযের জন্য এক্বামতের শুরুতে দাঁড়ানো হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তার পরবর্তী যুগের আমল দ্বারা প্রমাণিত,
১) হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, একদম নামাজের একামত শুরু হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ স্থানে আগমনের পূর্বেই আমরা দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করে নিলাম।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং ২৭৫, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ১৩৬৭)
২) হযরত ইবনে শিহাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, মুয়াজ্জিন সাহেব আল্লাহু আকবর' বলার সাথে সাথে সাহাবায়ে কেরামগণ দাঁড়িয়ে যেতেন। এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ স্থানে আসার পূর্বেই কাতার সোজা হয়ে যেত।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং ১৯৪২)
৩) হযরত ওমর বিন আব্দুল আজিজ এবং হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, মুয়াজ্জিন আল্লাহু আকবার বললেই মুসল্লীরা দাঁড়িয়ে যাবে, এবং হাইয়্যা আলাস সালাহ বলার সময় কাতার যেন পরিপূর্ণ সোজা হয়ে যায়, আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললে ইমাম সাহেব তাকবীর বলে নামাজ শুরু করে দিবে।(ফাতহুল বারী ২/১৪৯, উমদাতুল ক্বারী ৪/২১৫)
এ জাতীয় আরো অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়, যেগুলো দ্বারা বুঝে আসে ইকামতের শুরুতে দাঁড়ানোর প্রচলনও সেই নববী যুগ থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে।
সুতরাং যে আমল হাদিস সাহাবায়ে কেরামগণ ও তৎপরবর্তী যুগ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে তাকে মাকরুহ বলা এবং বার বার করার কারণে কবিরা গুনাহ বলা নিতান্তই ভুল। আল্লাহ আমাদের সকলকে এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করেন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আর হানাফী মাযহাবে ফিক্বহী কিতাব সমূহের যে সমস্ত কিতাবে حي على الفلاح বা قد قامت الصلاة বলার সময় দাঁড়ানোকে মুস্তাহাব বলা হয়েছে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল حي على الفلاح বা قد قامت الصلاة এর পূর্বেই সকলে দাঁড়িয়ে যাবে, এরপর আর কেউ বসে থাকবে না।হাশিয়াতুত ত্বাহতাবী ২/৩০৬, আহসানুল ফাতাওয়া ২/৩১১
২- নামাযের জন্য এক্বামতের শুরুতে দাঁড়ানো হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তার পরবর্তী যুগের আমল দ্বারা প্রমাণিত,
১) হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, একদম নামাজের একামত শুরু হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ স্থানে আগমনের পূর্বেই আমরা দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করে নিলাম।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং ২৭৫, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ১৩৬৭)
২) হযরত ইবনে শিহাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, মুয়াজ্জিন সাহেব আল্লাহু আকবর' বলার সাথে সাথে সাহাবায়ে কেরামগণ দাঁড়িয়ে যেতেন। এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ স্থানে আসার পূর্বেই কাতার সোজা হয়ে যেত।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং ১৯৪২)
৩) হযরত ওমর বিন আব্দুল আজিজ এবং হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, মুয়াজ্জিন আল্লাহু আকবার বললেই মুসল্লীরা দাঁড়িয়ে যাবে, এবং হাইয়্যা আলাস সালাহ বলার সময় কাতার যেন পরিপূর্ণ সোজা হয়ে যায়, আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললে ইমাম সাহেব তাকবীর বলে নামাজ শুরু করে দিবে।(ফাতহুল বারী ২/১৪৯, উমদাতুল ক্বারী ৪/২১৫)
এ জাতীয় আরো অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়, যেগুলো দ্বারা বুঝে আসে ইকামতের শুরুতে দাঁড়ানোর প্রচলনও সেই নববী যুগ থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে।
সুতরাং যে আমল হাদিস সাহাবায়ে কেরামগণ ও তৎপরবর্তী যুগ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে তাকে মাকরুহ বলা এবং বার বার করার কারণে কবিরা গুনাহ বলা নিতান্তই ভুল। আল্লাহ আমাদের সকলকে এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করেন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আর হানাফী মাযহাবে ফিক্বহী কিতাব সমূহের যে সমস্ত কিতাবে حي على الفلاح বা قد قامت الصلاة বলার সময় দাঁড়ানোকে মুস্তাহাব বলা হয়েছে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল حي على الفلاح বা قد قامت الصلاة এর পূর্বেই সকলে দাঁড়িয়ে যাবে, এরপর আর কেউ বসে থাকবে না।হাশিয়াতুত ত্বাহতাবী ২/৩০৬, আহসানুল ফাতাওয়া ২/৩১১
