আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩২৩
৩০৯০. নবী (ﷺ) যা বলেছেন এবং আলেমদেরকে ঐক্যের প্রতি যে উৎসাহ প্রদান করেছেন। আর যেসব বিষয়ে হারামাঈন মক্কা ও মদীনার আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। মদীনায় নবী করীম (ﷺ), মুহাজিরীন ও আনসারদের স্মৃতিচিহ্ন এবং নবী (ﷺ) এর নামাযের স্থান, মিম্বর ও কবর সম্পর্কে।
৬৮২৪। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) কে পবিত্র কুরআনের তালীম দিতাম। উমর (রাযিঃ) যখন জীবনের সর্বশেষ হজ্জ পালন করতে আসলেন, তখন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) মিনায় আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি আজ আমীরুল মু'মিনীনদের নিকট থাকলে দেখতে পেতে যে, তার কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, জনৈক ব্যক্তি বলেছে, যদি আমীরুল মু’মিনীন মারা যেতেন, তাহলে আমরা অমুক ব্যক্তির হাতে বায়’আত নিতে পারতাম। উমর (রাযিঃ) বললেন, আজ বিকেলে দাঁড়িয়ে আমি তাদেরকে সতর্ক করব, যারা মুসলমানদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে চায়। আমি বললাম, আপনি এটি করবেন না। কেননা, এখন হজ্জের মৌসুম। এখন সাধারণ লোকের উপস্থিতির সময়। তারা আপনার মজলিসকে ঘিরে ফেলবে। আমার ভয় হচ্ছে যে, তারা আপনার বক্তব্য যথাযথভাবে অনুধাবন করবে না। রদবদল করে চারদিকে ছড়িয়ে দেবে। বরং এখন আপনি হিজরত ও সুন্নতের আবাসগৃহ মদীনায় পৌছা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করুন। এরপর একমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুহাজির ও আনসার সাহাবাদের নিকট আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তারা আপনার বক্তব্য সংরক্ষণ করবে এবং তার যথাযথ মর্যাদা প্রদান করবে। উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি মদীনায় পৌছলে সবচেয়ে আগে এটি করব। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা মদীনায় উপিস্থিত হলাম। তখন উমর (রাযিঃ) ভাষণ প্রসঙ্গে বললেন, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ (ﷺ) কে সত্য বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তন্মধ্যে ‘রজম’ (তথা পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা) এর আয়াতও রয়েছে।
باب مَا ذَكَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَحَضَّ عَلَى اتِّفَاقِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَمَا أَجْمَعَ عَلَيْهِ الْحَرَمَانِ مَكَّةُ وَالْمَدِينَةُ، وَمَا كَانَ بِهَا مِنْ مَشَاهِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَمُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمِنْبَرِ وَالْقَبْرِ
7323 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِمِنًى: لَوْ شَهِدْتَ أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ أَتَاهُ رَجُلٌ قَالَ: إِنَّ فُلاَنًا يَقُولُ: لَوْ مَاتَ أَمِيرُ المُؤْمِنِينَ لَبَايَعْنَا فُلاَنًا، فَقَالَ عُمَرُ: «لَأَقُومَنَّ العَشِيَّةَ، فَأُحَذِّرَ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ» ، قُلْتُ: لاَ تَفْعَلْ، فَإِنَّ المَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ، يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ، فَأَخَافُ أَنْ لاَ يُنْزِلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا، فَيُطِيرُ بِهَا كُلُّ مُطِيرٍ، فَأَمْهِلْ حَتَّى تَقْدَمَ المَدِينَةَ دَارَ الهِجْرَةِ [ص:104] وَدَارَ السُّنَّةِ، فَتَخْلُصَ بِأَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ المُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، فَيَحْفَظُوا مَقَالَتَكَ وَيُنْزِلُوهَا عَلَى وَجْهِهَا، فَقَالَ: «وَاللَّهِ لَأَقُومَنَّ بِهِ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ بِالْمَدِينَةِ» ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقَدِمْنَا المَدِينَةَ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الكِتَابَ، فَكَانَ فِيمَا أُنْزِلَ آيَةُ الرَّجْمِ»
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৬৮২৪ | মুসলিম বাংলা