আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭৭- স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৯১
২৯৩৪. ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর স্বপ্ন এবং আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর, ইউসুফ তার পিতাকে বলেছিল, ‘হে আমার পিতা! আমি তো দেখেছি একাদশ নক্ষত্র, সূর্য এবং চন্দ্রকে; দেখেছি এদেরকে আমার প্রতি সিজদাবনত অবস্থায়। সে বলল, ‘হে আমার বৎস! তোমার স্বপ্ন-বৃত্তান্ত তোমার ভাইদের নিকট বর্ণনা কর না; করলে তারা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। এমনিভাবে তোমার পালনকর্তা তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে বাণীসমূহের নিগুঢ় তত্ত্ব শিক্ষা দেবেন এবং পূর্ণ করবেন স্বীয় অনুগ্রহ তোমার প্রতি ও ইয়াকুব পরিবার-পরিজনের প্রতি; যেমন ইতিপূর্বে তোমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহাকের প্রতি পূর্ণ করেছেন। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (১২ঃ ৪-৬)। এবং আল্লাহর বাণীঃ এবং ইউসুফ বলল, ‘হে আমার পিতা! এটাই আমার পূর্বেকার স্বপ্নের ব্যাখ্যা; আমার প্রতিপালক তা সত্যে পরিণত করেছেন এবং তিনি আমাকে কারাগার হতে মুক্ত করে এবং শয়তান আমার ও আমার ভাইদের সম্পর্ক নষ্ট করার পরও আপনাদেরকে মরু অঞ্চল হতে এখানে এনে দিয়ে আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা তা নিপুণতার সঙ্গে করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজ্য দান করেছ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়েছ। হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! তুমিই ইহলোক ও পরলোকে আমার অভিভাবক। তুমি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দাও এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত কর।’ (১২ঃ ১০০-১০১)।
অনুচ্ছেদঃ ২৯৩৫. ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর স্বপ্ন এবং আল্লাহর বাণীঃ এরপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল তখন ইবরাহীম বলল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করছি, এখন তোমার অভিমত কি বল ?’ সে বলল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ্ র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে আহ্বান করে বললাম, ‘হে ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে!’-এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। (৩৭ঃ ১০২-১০৫)।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, আসলামা শব্দের অর্থ তাদেরকে যে বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তারা মেনে নিল। আর ‘তাল্লাহু’ শব্দের অর্থ তার চেহারা মাটিতে রাখল।
অনুচ্ছেদঃ ২৯৩৬. একাধিক লোকের অভিন্ন স্বপ্ন দেখা।
অনুচ্ছেদঃ ২৯৩৫. ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর স্বপ্ন এবং আল্লাহর বাণীঃ এরপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল তখন ইবরাহীম বলল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করছি, এখন তোমার অভিমত কি বল ?’ সে বলল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ্ র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে আহ্বান করে বললাম, ‘হে ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে!’-এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। (৩৭ঃ ১০২-১০৫)।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, আসলামা শব্দের অর্থ তাদেরকে যে বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তারা মেনে নিল। আর ‘তাল্লাহু’ শব্দের অর্থ তার চেহারা মাটিতে রাখল।
অনুচ্ছেদঃ ২৯৩৬. একাধিক লোকের অভিন্ন স্বপ্ন দেখা।
৬৫২০। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদল লোককে লাইলাতুল কদর (রমযানের) শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আর কিছু সংখ্যক লোককে তা শেষ দশ রাতের মধ্যে দেখানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা লাইলাতুল কদর শেষ সাত রাতের মধ্যেই তালাশ কর।
بَابُ رُؤْيَا يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ قَالَ يَا بُنَيَّ لاَ تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلَى إِخْوَتِكَ فَيَكِيدُوا لَكَ كَيْدًا إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلْإِنْسَانِ عَدُوٌّ مُبِينٌ وَكَذَلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ وَيُعَلِّمُكَ مِنْ تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَعَلَى آلِ يَعْقُوبَ كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِنْ قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} . وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَبَتِ هَذَا تَأْوِيلُ رُؤْيَايَ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّي حَقًّا وَقَدْ أَحْسَنَ بِي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنَ السِّجْنِ وَجَاءَ بِكُمْ مِنَ البَدْوِ مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ إِخْوَتِي إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ إِنَّهُ هُوَ العَلِيمُ الحَكِيمُ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ المُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ} قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " فَاطِرٌ وَالبَدِيعُ وَالمُبْدِعُ وَالبَارِئُ وَالخَالِقُ وَاحِدٌ. مِنَ البَدْوِ: بَادِيَةٍ "
بَابُ رُؤْيَا إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي المَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي المُحْسِنِينَ} [الصافات: 103] قَالَ مُجَاهِدٌ: " أَسْلَمَا: سَلَّمَا مَا أُمِرَا بِهِ، وَتَلَّهُ: وَضَعَ وَجْهَهُ بِالأَرْضِ "
بَابُ التَّوَاطُؤِ عَلَى الرُّؤْيَا
بَابُ رُؤْيَا إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي المَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي المُحْسِنِينَ} [الصافات: 103] قَالَ مُجَاهِدٌ: " أَسْلَمَا: سَلَّمَا مَا أُمِرَا بِهِ، وَتَلَّهُ: وَضَعَ وَجْهَهُ بِالأَرْضِ "
بَابُ التَّوَاطُؤِ عَلَى الرُّؤْيَا
6991 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ أُنَاسًا أُرُوا لَيْلَةَ القَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، وَأَنَّ أُنَاسًا [ص:32] أُرُوا أَنَّهَا فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَمِسُوهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ»
