মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

৭. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫২৪
নামাযের অধ্যায়
(১৫) সূরা ফাতিহার তাফসীর এবং যারা বলে বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহার অংশ নয় তাদের দলীল সংক্রান্ত পরিচ্ছেদ
(৫২০) আ'লা ইবন আব্দুর রহমান ইবন্ ইয়াকুব থেকে বর্ণিত, হিশাম ইবন্ যোহরা এর যুক্তদাস আবু সাইব (র) তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি আবু হুরায়রা (রা)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত আদায় করল অথচ তাতে উম্মুল কুরআন তিলাওয়াত করল না, (অন্য এক বর্ণনামতে ফাতিহাতুল কিতাব তিলাওয়াত করল না তবে সে সালাত যেন অকালে পতিত, যা পূর্ণতা লাভ করার পূর্বেই পতিত হয়েছে।
আবূ সাইব (রা) আবূ হুরায়রা (রা)-কে বলেন, আমি কখনও কখনও ইমামের পেছনে সালাত আদায় করি। আবু সাইব (রা) বলেন; তখন আবূ হুরায়রা (রা) আমার বাহুতে খোঁচা দিয়ে বললেন, ওহে পারস্যবাসী তুমি তা মনে মনে পড়বে। আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে দু'ভাগে বিভক্ত করেছি। অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আমার বান্দা আমার কাছে যা চায়, তাই সে পায়। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা পড়।
তিনি বলেন, যখন বান্দা বলে, الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ 'আল-হাম্দু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন' (সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। আর যখন বান্দা বলে, الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 'আর-রাহমানির রাহীম' (যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করছে। অতঃপর যখন বান্দা বলে, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ 'মালিকি ইয়াওমিদ্দীন' (যিনি কর্মফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গৌরব প্রকাশ করছে। মহান আল্লাহ আরও বলেন, এ কথাগুলো আমার ও আমার বান্দার মাঝে সেতুবন্ধন। বান্দা যখন বলে, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ 'ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়‍্যাকা নাস্তা'য়ীন', আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি), তখন আল্লাহ বলেন, আমি এটা আমার বান্দার জন্যই পেয়েছি এবং আমার বান্দা যা চায় তাকে তা-ই দিব। তিনি বলেন: অতঃপর যখন বান্দা বলে, اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ 'ইহদিনাস, সিরাতাল মুস্তাকীম........ ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন' (অর্থাৎ আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাঁদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছো। তাদের পথ নয়, যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।) তখন আল্লাহ বলেন, এ সব আমার বান্দার জন্য, আর সে যা চায়, আমি তাকে তা-ই দিব।
(উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহার অপর নাম।)
(ফাতিহাতুল কিতাব সূরা ফাতিহার আরও একটি নাম।)
(আবূ হুরায়রা (রা) থেকে অন্য এক সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে) তবে তাতে বলা হয়েছে- যে সালাতে সূরাতুল ফাতিহা তিলাওয়াত করা হয় না। তা অপূর্ণাঙ্গ, অপরিপক্ক, অপরিপক্ক। উক্ত হাদীসে আরও উল্লেখ রয়েছে, যখন বান্দা বলে, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ 'কর্মফল দিবসের মালিক' তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার কাছে ন্যস্ত্ব করেছে। অতঃপর যখন বান্দা বলে, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই কাছে সাাহয্য প্রার্থনা করি তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে সেতুবন্ধন, আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তা-ই পাবে। আল্লাহ আবার বলেন, সে আমার নিকট কি চায়? তখন বান্দা আল্লাহর কাছে চাইবে اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাঁদের পথ যাঁদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছো, তাদের পথ নয়, যারা ক্রোধে নিপতিত ও পথভ্রষ্ট। তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার বান্দার জন্যই। তুমি যা চেয়েছো তাই পাবে। আল্লাহ আবার বলবেন, আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তা-ই পাবে।
(মুসলিম, ইমাম মালিক, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ (র) স্ব স্ব হাদীসগ্রন্থে অত্র হাদীসখানা উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الصلاة
(15) باب تفسير سورة الفاتحة وحجة من قال ان البسملة ليست آية منها
(524) عن العلاء بن عبد الرَّحمن بن يعقوب أنَّ أبا السَّائب مولى هشام بن زهرة أخبره أنَّه سمع أبا هريرة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلَّى صلاةً لم يقرأ فيها بأمِّ القرآن (1) (وفى روايةٍ بفاتحة الكتاب) فهى خداجٌ (2) هى خداجٌ غير تمامٍ، قال أبو السَّائب لأبى هريرة إنِّى أكون أحيانًا وراء الإمام، قال أبو السَّائب فغمز (3) أبو هريرة ذراعى فقال يا فارسى اقرأها فى نفسك، إنِّى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول قال الله عزَّ وجلَّ قسمت الصَّلاة (4) بينى وبين عبدى نصفين فنصفها لى (5) ونصفها لعبدى (6) ما سأل، (7) قال أبو هريرة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقرءوا يقول فيقول العبد (8) الحمد لله ربِّ العالمين، فيقول الله حمدني (9) عبدي، ويقول العبد الرَّحمن الرَّحيم، (1) فيقول الله أثنى علىَّ عبدي، فيقول العبد مالك يوم الدِّين، (2) فيقول الله مجَّدنى عبدى، وقال هذه (3) بينى وبين عبدى، يقول العبد إيَّاك نعبد وإيَّاك نستعين قال أجدها، (4) لعبدى ولعبدى ما سأل، (5) قال يقول عبدى اهدنا الصِّراط المستقيم (6) صراط الَّذين أنعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضَّالِّين يقول الله عزَّ وجلَّ هذا (7) لعبدى ولعبدى ما سأل (وعنه من طريقٍ ثانٍ (8) بنحوه) وفيه أيُّما صلاةٍ لا يقرأ فيها بفاتحة الكتاب فهى خداجٌ ثمَّ هى خداجٌ ثمَّ هى خداجٌ، وفيه فإذا قال مالك يوم الدِّين قال فوَّض إلىِّ عبدى (1) فإذا قال إيَّاك نعبد وإيَّاك نستعين، قال فهذه بينى وبين عبدى ولعبدى ما سأل، وقال مرَّة ما سألنى فيسأله عبده اهدنا الصِّراط المستقيم صراط الَّذين أنعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضَّالِّين، قال هذا لعبدى، لك ما سألت، وقال مرَّة ولعبدى ما سألنى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান