আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭৫- বল-প্রয়োগে বাধ্য করা
হাদীস নং: ৬৪৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৪০
বল প্রয়োগে বাধ্য করা অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়। কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অবিচলিত। আর যে সত্য প্রত্যাখ্যানে হৃদয় উন্মুক্ত রাখল, তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব........ আয়াতের শেষ পর্যন্ত (১৬ঃ ১০৬)।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তবে যদি তোমরা তাদের নিকট হতে কোন ভয়ের আশঙ্কা কর........ (৩ঃ ২৮)। আর تقية একই অর্থ।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, যারা নিজেদের উপর জুলুম করে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশতাগণ বলে, তোমরা কী অবস্থায় ছিলে। তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তারা বলবে, তোমরা নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করতে পারতে, আল্লাহর দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না? ....... আল্লাহ পাপ মোচনকারী ও ক্ষমাশীল (৪ঃ ৯৭-৯৯)।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এবং অসহায় নরনারী ও শিশুগণের জন্যে, যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ-যার অধিবাসী জালিম, তা হতে আমাদেরকে অন্যত্র নিয়ে যাও; তোমার নিকট হতে কাউকেও আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হতে কাউকেও আমাদের সহায় কর’ (৪ঃ ৭৫)।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী রাহঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা অসহায়দেরকে ক্ষমাযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছেন, যারা আল্লাহর নির্দেশসমূহ পরিত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। আর বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তি এমনই অসহায় হয় যে, সে ঐ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না, যার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয়েছে।
হাসান (রাহঃ) বলেন, তাকিয়্যা কিয়ামত পর্যন্ত অবধারিত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, যাকে যালিমরা বাধ্য করার দরুন সে তালাক প্রদান করে ফেলে, তা কিছুই নয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ), ইবনে যুবাইর (রাযিঃ), শা’বী (রাহঃ) এবং হাসান (রাহঃ) ও এ মত পোষণ করেন। আর নবী (ﷺ) বলেছেন, সকল কাজই নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তবে যদি তোমরা তাদের নিকট হতে কোন ভয়ের আশঙ্কা কর........ (৩ঃ ২৮)। আর تقية একই অর্থ।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, যারা নিজেদের উপর জুলুম করে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশতাগণ বলে, তোমরা কী অবস্থায় ছিলে। তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তারা বলবে, তোমরা নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করতে পারতে, আল্লাহর দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না? ....... আল্লাহ পাপ মোচনকারী ও ক্ষমাশীল (৪ঃ ৯৭-৯৯)।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এবং অসহায় নরনারী ও শিশুগণের জন্যে, যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ-যার অধিবাসী জালিম, তা হতে আমাদেরকে অন্যত্র নিয়ে যাও; তোমার নিকট হতে কাউকেও আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হতে কাউকেও আমাদের সহায় কর’ (৪ঃ ৭৫)।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী রাহঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা অসহায়দেরকে ক্ষমাযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছেন, যারা আল্লাহর নির্দেশসমূহ পরিত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। আর বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তি এমনই অসহায় হয় যে, সে ঐ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না, যার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয়েছে।
হাসান (রাহঃ) বলেন, তাকিয়্যা কিয়ামত পর্যন্ত অবধারিত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, যাকে যালিমরা বাধ্য করার দরুন সে তালাক প্রদান করে ফেলে, তা কিছুই নয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ), ইবনে যুবাইর (রাযিঃ), শা’বী (রাহঃ) এবং হাসান (রাহঃ) ও এ মত পোষণ করেন। আর নবী (ﷺ) বলেছেন, সকল কাজই নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত।
৬৪৭১। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) নামাযে দু'আ করতেনঃ হে আল্লাহ! আইয়াশ ইবনে আবু রাবীআ, সালামা ইবনে হিশাম, ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদকে নাজাত দাও। হে আল্লাহ! অসহায় মুমিনদেরকে নাজাত দাও। হে আল্লাহ! মুযার গোত্রের উপর তোমার পাঞ্জা কঠোর করে নাও এবং তাদের ওপর ইউসুফের সময়কালীন দুর্ভিক্ষের বছরসমূহের ন্যায় বছর চাপিয়ে দাও।
كِتَابُ الإِكْرَاهِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [النحل: 106] وَقَالَ: {إِلَّا أَنْ تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً} [آل عمران: 28] : «وَهِيَ تَقِيَّةٌ» . وَقَالَ: {إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ المَلاَئِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الأَرْضِ} [النساء: 97]- إِلَى قَوْلِهِ - {عَفُوًّا غَفُورًا} [النساء: 43] وَقَالَ: {وَالمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ القَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا} [النساء: 75] : «فَعَذَرَ اللَّهُ المُسْتَضْعَفِينَ الَّذِينَ لاَ يَمْتَنِعُونَ مِنْ تَرْكِ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ، وَالمُكْرَهُ لاَ يَكُونُ إِلَّا مُسْتَضْعَفًا، غَيْرَ مُمْتَنِعٍ مِنْ فِعْلِ مَا أُمِرَ بِهِ» وَقَالَ الحَسَنُ: «التَّقِيَّةُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، فِيمَنْ يُكْرِهُهُ اللُّصُوصُ فَيُطَلِّقُ: «لَيْسَ بِشَيْءٍ» وَبِهِ قَالَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ وَالشَّعْبِيُّ، وَالحَسَنُ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ»
6940 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أُسَامَةَ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو فِي الصَّلاَةِ: «اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، وَالوَلِيدَ بْنَ الوَلِيدِ، اللَّهُمَّ أَنْجِ المُسْتَضْعَفِينَ مِنَ المُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ [ص:20] وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، وَابْعَثْ عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ»
