মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

৪. ইলমের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪১৬৬
হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি বিষয়ক অনুচ্ছেদ
(৬০) যা (ইমাম আহমদ ইবন্ হাম্বালের পুত্র) আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবন্‌ মু'ঈন বলেন, আব্দুর রাযযাক আমাকে বলেন, তুমি আমার নিকট থেকে অন্তত একটি হাদীস লিখিত পাণ্ডুলিপি ছাড়া গ্রহণ কর। আমি বললাম, কখনোই না, আমি (লিখিত পাণ্ডুলিপির প্রমাণ ছাড়া মৌখিক বর্ণনার ওপর নির্ভর করে) একটি অক্ষরও গ্রহণ করতে রাযী নই।*

* তাবেয়ীগণের যুগ থেকে মুহাদ্দিসগণ হাদীস শিক্ষার সাথে সাথে তা লিখে রাখতেন। হাদীস শিক্ষাদানের সময় তাঁরা সাধারণত পাণ্ডুলিপি দেখে হাদীস পড়ে শেখাতেন। কখনো বা মুখস্থ পড়ে হাদীস শেখাতেন তবে পাণ্ডুলিপি নিজের হিফাজতে রাখতেন যেন প্রয়োজনের সময় তা দেখে নেয়া যায়। এই যুগে ও পরবর্তী যুগে মুহাদ্দিসগণ হাদীস শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে সমন্বয়কে অত্যন্ত জরুরী মনে করতেন, প্রথমত হাদীসটি উস্তাদের মুখ থেকে শাব্দিকভাবে শোনা বা তাকে মুখে পড়ে শোনানো, দ্বিতীয়ত পঠিত হাদীসটি নিজ হাতে লিখে নেয়া, তৃতীয়ত উস্তাদের পাণ্ডুলিপির সাথে নিজের লেখা পাণ্ডুলিপি মিলিয়ে সংশোধন করে নেয়া। কোনো মুহাদ্দিস স্বকর্ণে শ্রবণ ব্যতীত শুধু পাণ্ডুলিপি দেখে হাদীস শেখালে বা পাণ্ডুলিপি ছাড়া শুধু মুখস্থ হাদীস শেখালে তা গ্রহণ করতে তাঁরা আপত্তি করতেন। এই জন্যই ইমাম আব্দুর রাযযাক সান'আনীর মত সুপ্রসিদ্ধ ও বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনাকারী মুহাদ্দিসের নিকট থেকেও ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবন্‌ মুঈন লিখিত ও সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপির সমন্বয় ব্যতিরেকে একটি হাদীস গ্রহণ করতেও রাযী হন নি।
فصل فى الرخصة فى كتابة الحديث
(60) ز وعن عبد الله قال قال يحيي بن معين (1) قال لى عبدالرازق (2) اكتب عنى ولو حديثا واحدا من غير كتاب فقلت لا ولا حرفا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান