আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭২- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
হাদীস নং: ৬৩৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৫৬
২৮৬৩. যে ব্যক্তি প্রমাণ ব্যতীত অশ্লীলতা ও অন্যের কলংকিত হওয়াকে প্রকাশ করে এবং অপবাদ রটায়।
৬৩৯২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) এর নিকট লি'আনকারীদের সম্পর্কে আলোচনা করা হল। তখন আসিম ইবনে আদী (রাযিঃ) এ সম্বন্ধে কিছু কটুক্তি করলেন। তারপর তিনি ফিরে গেলেন। তখন তার স্বগোত্রের এক ব্যক্তি তার কাছে এসে অভিযোগ করল যে, সে তার স্ত্রীর কাছে অন্য এক ব্যক্তিকে পেয়েছে। আসিম (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার ঐরূপ উক্তির দরুনই এ পরীক্ষায় পড়েছি। এরপর তিনি তাকে নবী (ﷺ) এর কাছে নিয়ে গেলেন। আর সে তাঁকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জানায়, যার সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছে। এ ব্যক্তিটি গৌর বর্ণের, হালকা-পাতলা, সোজা চুল বিশিষ্ট ছিল।
আর যে ব্যক্তি দাবি করেছে যে, সে তাকে তার স্ত্রীর কাছে পেয়েছে সে ছিল মেটে বর্ণের, মোটা গোড়ালী, স্থুল গোশত বিশিষ্ট। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আল্লাহ! স্পষ্ট করে দিন। ফলে সে মহিলাটি ঐ ব্যক্তি সদৃশ সন্তান জন্ম দিল যার কথা তার স্বামী উল্লেখ করেছিল যে, তাকে তার স্ত্রীর সাথে পেয়েছে। তখন নবী (ﷺ) উভয়ের মধ্যে লি'আন কার্যকর করলেন। তখন এক ব্যক্তি এ মজলিসেই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, এটা কি সে মহিলা যার সষ্পর্কে নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি আমি কাউকে বিনা প্রমাণে রজম করতাম, তাহলে একে রজম করতাম? তিনি বললেনঃ না। ওটা ঐ মহিলা, যে ইসলামে থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে অপকর্ম করত।
আর যে ব্যক্তি দাবি করেছে যে, সে তাকে তার স্ত্রীর কাছে পেয়েছে সে ছিল মেটে বর্ণের, মোটা গোড়ালী, স্থুল গোশত বিশিষ্ট। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আল্লাহ! স্পষ্ট করে দিন। ফলে সে মহিলাটি ঐ ব্যক্তি সদৃশ সন্তান জন্ম দিল যার কথা তার স্বামী উল্লেখ করেছিল যে, তাকে তার স্ত্রীর সাথে পেয়েছে। তখন নবী (ﷺ) উভয়ের মধ্যে লি'আন কার্যকর করলেন। তখন এক ব্যক্তি এ মজলিসেই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, এটা কি সে মহিলা যার সষ্পর্কে নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি আমি কাউকে বিনা প্রমাণে রজম করতাম, তাহলে একে রজম করতাম? তিনি বললেনঃ না। ওটা ঐ মহিলা, যে ইসলামে থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে অপকর্ম করত।
باب مَنْ أَظْهَرَ الْفَاحِشَةَ وَاللَّطْخَ وَالتُّهَمَةَ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ
6856 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ذُكِرَ التَّلاَعُنُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي ذَلِكَ قَوْلًا ثُمَّ انْصَرَفَ، وَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ يَشْكُو أَنَّهُ وَجَدَ مَعَ أَهْلِهِ رَجُلًا، فَقَالَ عَاصِمٌ: مَا ابْتُلِيتُ بِهَذَا إِلَّا لِقَوْلِي، فَذَهَبَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي وَجَدَ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ، وَكَانَ ذَلِكَ الرَّجُلُ مُصْفَرًّا، قَلِيلَ اللَّحْمِ، سَبِطَ الشَّعَرِ، وَكَانَ الَّذِي ادَّعَى عَلَيْهِ أَنَّهُ وَجَدَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ آدَمَ خَدِلًا، كَثِيرَ اللَّحْمِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ بَيِّنْ» فَوَضَعَتْ شَبِيهًا بِالرَّجُلِ الَّذِي ذَكَرَ زَوْجُهَا أَنَّهُ وَجَدَهُ عِنْدَهَا، فَلاَعَنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمَا، فَقَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عَبَّاسٍ فِي المَجْلِسِ: هِيَ الَّتِي قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ رَجَمْتُ أَحَدًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ رَجَمْتُ هَذِهِ» فَقَالَ: لاَ، تِلْكَ امْرَأَةٌ كَانَتْ تُظْهِرُ فِي الإِسْلاَمِ السُّوءَ
