মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

৩. তাক্বদীরের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬২১ -
(৪) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরে বিশ্বাস রেখে কাজ করা প্রসঙ্গে
(৩১) আবূ আব্দুর রহমান আস-সুলামী, আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, একদা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বসে আছেন, তাঁর হাতে ছিল একখণ্ড কাষ্ঠ, যা দিয়ে মাটি পেটানো যায় (মুগুর ধরনের)। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মস্তক উত্তোলন করে ইরশাদ করলেন, তোমাদের প্রত্যেকের আত্মাকে জান্নাত অথবা দোযখে নিজ নিজ ঠিকানা অবগত করানো হয়েছে। হযরত আলী (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে আমরা আমল করবো কেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, আমল করে যাও, যাকে যে কর্মের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তার কাছে সহজ করা হয়েছে। (অতঃপর রাসূল (ﷺ) পবিত্র কুরআনের এই আয়াত পাঠ করেন - فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی ..... لِلۡعُسۡرٰی
“অতএব, যে দান করে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে; আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্য সহজ পথ দান করবো; আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে; আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্য সহজ পথ দান করবো।” (সূরা আল-লায়ল, ৫-১০ )
(একই বর্ণনাকারী থেকে অপর বর্ণনায় আছে) আলী (রা) বলেন, আমরা একদা ‘বাকী'উল গারকাদ' নামক একটি জানাযার সাথে ছিলাম। এমন সময় সেখানে আমাদের কাছে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আগমন করলেন এবং বসলেন; আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তাঁর সাথে ছিল একটি লাঠি যার উপর ভর করা যায়। অতঃপর রাসূল (ﷺ) তাঁর দৃষ্টি উত্তোলন করলেন এবং বললেন, তোমাদের প্রত্যেকের আত্মার জন্য জান্নাত অথবা দোযখে তার ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে; আরও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে- (প্রতিটি) আত্মার বদকার অথবা নেককার হওয়ার বিষয়। উপস্থিত জনতা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ), তাহলে আমরা কি আমাদের কিতাবের (তাক্বদীর) উপর ভরসা করে আমল বা কর্ম পরিত্যাগ করব না? কারণ যে নেককার হবে, সে নেকীর (কল্যাণ) দিকে ধাবিত হবে এবং যে বদকার হবে, সে বদির (অকল্যাণ, অশুভ ও ভয়াবহতার) প্রতি ধাবিত হবে? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, না তোমরা আমল করে যাও, প্রত্যেকেই সহজ পন্থা পাবে। সুতরাং যে বদকার হবে, তার জন্য অশুভ ও বদকাজ সহজ করা হবে; আর যে কল্যাণকামী ও নেককার হবে, তার জন্য কল্যাণময় কর্ম সহজ করা হবে। অতঃপর রাসূল (ﷺ) পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ পাঠ করেন-فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی ..... لِلۡعُسۡرٰی(বুখারী, মুসলিম, আবূ ইয়া'লা।)
(4) باب في العمل مع القدر
(31) وعن أبي عبد الرحمن السلمي عن علي رضي الله عنه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم جالسا وفي يده عود ينكت 1 به قال فرفع رأسه فقال ما منكم من نفس إلا وقد علم منزلها من الجنة والنار قال فقال يا رسول الله فلم نعمل، قال اعملوا فكل ميسر لما خلق له، أما من أعطى واتقى وصدق بالحسنى فسنيسره لليسرى، وأما من بخل واستغنى وكذب بالحسنى فسنيسره للعسرى
(وعنه في أخرى) 2 عن علي (رضي الله عنه) قال كنا مع جنازة في بقيع الغرقد 3 فأتانا رسول الله صلى الله عليه وسلم فجلس وجلسنا حوله ومعه مخصرة 4 ينكت بها ثم رفع بصره فقال ما منكم من نفس منفوسة إلا وقد كتب مقعدها من الجنة والنار إلا قد كتبت شقية أو سعيدة فقال القوم يا رسول الله أفلا نمكث على كتابنا وندع العمل فمن كان من أهل السعادة فسيصير إلى السعادة، ومن كان من أهل الشقوة فسيصير إلى الشقوة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعملوا فكل ميسر، أما من كان من أهل الشقوة فإنه ييسر لعمل الشقوة، وأما من كان من أهل السعادة فإنه ييسر لعمل السعادة
ثم قرأ فأما من أعطى واتقى إلى قوله فسنيسره للعسرى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ - হাদীস নং ৩১ | মুসলিম বাংলা