আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭২- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
হাদীস নং: ৬৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮২১ - ৬৮২২
২৮৪৫. যে ব্যক্তি এমন অপরাধ করল যা হদ এর আওতাভুক্ত নয় এবং সে ইমামকে অবগত করল। তবে তওবার পর তার উপর কোন শাস্তি প্রয়োগ হবে না, যখন সে ফতোয়া জানার জন্য আসে।
আতা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এমন ব্যক্তিকে শাস্তি দেননি।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, নবীজী শাস্তি দেননি ঐ ব্যক্তিকে, যে রমযানে স্ত্রী সঙ্গম করেছে এবং উমর (রাযিঃ) শাস্তি দেননি হরিণ শিকারীকে।
এ ব্যাপারে আবু উসমান (রাহঃ) থেকে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা রয়েছে।
আতা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এমন ব্যক্তিকে শাস্তি দেননি।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, নবীজী শাস্তি দেননি ঐ ব্যক্তিকে, যে রমযানে স্ত্রী সঙ্গম করেছে এবং উমর (রাযিঃ) শাস্তি দেননি হরিণ শিকারীকে।
এ ব্যাপারে আবু উসমান (রাহঃ) থেকে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা রয়েছে।
৬৩৬৪। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি রমযানে আপন স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংযোগ করে ফেললো। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফতোয়া জানতে চাইল। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, একটি গোলাম আযাদ করার সামর্থ্য তোমার আছে কি? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে কি দু’মাস রোযা পালন করতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।
লাঈস (রাহঃ) এর সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে মসজিদে আসল। তখন সে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসের থেকে? সে বলল, আমি রমযানের মধ্যে (দিনের বেলায়) আমার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে ফেলেছি। তখন তিনি তাকে বললেনঃ তুমি সাদ্কা কর। সে বলল, আমার কাছে কিছুই নেই। সে বসে রইল। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি একটি গাধা হাকিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এল। আর তার সাথে ছিল খাদ্যদ্রব্য।
আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ আমি অবগত নই যে, নবী (ﷺ) এর কাছে কি আসল? অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি কোথায়? সে বলল, এই তো আমি। তিনি বললেনঃ এগুলো নিয়ে সাদ্কা করে দাও। সে বলল, আমার চেয়ে অধিক অভাবী লোকদের? আমার পরিবারের কাছে সামান্য আহার্যও নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে তা তোমরাই খেয়ে নাও।
লাঈস (রাহঃ) এর সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে মসজিদে আসল। তখন সে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসের থেকে? সে বলল, আমি রমযানের মধ্যে (দিনের বেলায়) আমার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে ফেলেছি। তখন তিনি তাকে বললেনঃ তুমি সাদ্কা কর। সে বলল, আমার কাছে কিছুই নেই। সে বসে রইল। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি একটি গাধা হাকিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এল। আর তার সাথে ছিল খাদ্যদ্রব্য।
আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ আমি অবগত নই যে, নবী (ﷺ) এর কাছে কি আসল? অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি কোথায়? সে বলল, এই তো আমি। তিনি বললেনঃ এগুলো নিয়ে সাদ্কা করে দাও। সে বলল, আমার চেয়ে অধিক অভাবী লোকদের? আমার পরিবারের কাছে সামান্য আহার্যও নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে তা তোমরাই খেয়ে নাও।
بَابُ مَنْ أَصَابَ ذَنْبًا دُونَ الْحَدِّ فَأَخْبَرَ الإِمَامَ فَلاَ عُقُوبَةَ عَلَيْهِ بَعْدَ التَّوْبَةِ إِذَا جَاءَ مُسْتَفْتِيًا قَالَ عَطَاءٌ لَمْ يُعَاقِبْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ وَلَمْ يُعَاقِبِ الَّذِي جَامَعَ فِي رَمَضَانَ، وَلَمْ يُعَاقِبْ عُمَرُ صَاحِبَ الظَّبْيِ، وَفِيهِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَجُلاً، وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ، فَاسْتَفْتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَلْ تَجِدُ رَقَبَةً ". قَالَ لاَ. قَالَ " هَلْ تَسْتَطِيعُ صِيَامَ شَهْرَيْنِ ". قَالَ لاَ. قَالَ " فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ".
وَقَالَ اللَّيْثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ قَالَ احْتَرَقْتُ. قَالَ " مِمَّ ذَاكَ ". قَالَ وَقَعْتُ بِامْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ. قَالَ لَهُ " تَصَدَّقْ ". قَالَ مَا عِنْدِي شَىْءٌ. فَجَلَسَ وَأَتَاهُ إِنْسَانٌ يَسُوقُ حِمَارًا وَمَعَهُ طَعَامٌ ـ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا أَدْرِي مَا هُوَ ـ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ ". فَقَالَ هَا أَنَا ذَا. قَالَ " خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ ". قَالَ عَلَى أَحْوَجَ مِنِّي مَا لأَهْلِي طَعَامٌ قَالَ " فَكُلُوهُ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَدِيثُ الأَوَّلُ أَبْيَنُ قَوْلُهُ " أَطْعِمْ أَهْلَكَ ".
وَقَالَ اللَّيْثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ قَالَ احْتَرَقْتُ. قَالَ " مِمَّ ذَاكَ ". قَالَ وَقَعْتُ بِامْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ. قَالَ لَهُ " تَصَدَّقْ ". قَالَ مَا عِنْدِي شَىْءٌ. فَجَلَسَ وَأَتَاهُ إِنْسَانٌ يَسُوقُ حِمَارًا وَمَعَهُ طَعَامٌ ـ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا أَدْرِي مَا هُوَ ـ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ ". فَقَالَ هَا أَنَا ذَا. قَالَ " خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ ". قَالَ عَلَى أَحْوَجَ مِنِّي مَا لأَهْلِي طَعَامٌ قَالَ " فَكُلُوهُ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَدِيثُ الأَوَّلُ أَبْيَنُ قَوْلُهُ " أَطْعِمْ أَهْلَكَ ".
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায়ের নিয়ম
একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন ফকির-মিসকীনকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, রোযা রাখতে সক্ষম হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৯৪
কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই।
ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘যার উপর কাফফারা হিসাবে দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখা জরুরি সে যদি মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারে, তাহলে আবার নতুন করে রোযা রাখা শুরু করবে।’-আলমুহাল্লা ৪/৩৩১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৬
#সংগৃহীত
কাফফারা আদায়ের নিয়ম
একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন ফকির-মিসকীনকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, রোযা রাখতে সক্ষম হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৯৪
কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই।
ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘যার উপর কাফফারা হিসাবে দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখা জরুরি সে যদি মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারে, তাহলে আবার নতুন করে রোযা রাখা শুরু করবে।’-আলমুহাল্লা ৪/৩৩১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৬
#সংগৃহীত
