মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
৩. তাক্বদীরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১৪
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৬) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, শেষ পরিণতি কী হয় তা না দেখে কারো সম্পর্কে তোমাদের পুলকিত কিংবা অবাক হওয়া উচিত নয়। কেননা, (এটা সত্য যে,) কোন আমলকারী তার জীবনের সুদীর্ঘকাল অথবা তার সময়কালের বিরাট অংশ নেক আমল করে কাটিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারতো। কিন্তু (পরবর্তীতে) সে উল্টে যায় এবং বদ আমল করতে থাকে। (অবশেষে তার পরিণতি হয় দোযখ), অপরদিকে (দেখা যায় যে,) আল্লাহ্ কোন বান্দা তার সময়কালের বিরাট অংশ বদ আমল করলো, যদি ঐ সময়ে তার মৃত্যু হতো, তবে সে দোযখে প্রবেশ করতো। (কিন্তু না) পরে সে প্রত্যাবর্তন করে এবং নেক আমল করতে থাকে এবং যখন আল্লাহ তা'আলা কোন বান্দার জন্য কল্যাণ চান তখন সেই বান্দাকে মৃত্যুর পূর্বে কল্যাণে নিয়োজিত করেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! কিভাবে তাকে কল্যাণে নিয়োজিত করবেন? উত্তরে তিনি বললেন, তাকে সৎ কর্মের তাওফীক দান করবেন। অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান। (তিরমিযী, এই হাদীসটিকে সহীহ্ বলেছেন। হাদীসটি আবূ ইয়ালা সাঈদ ইবন্ মনসুর, আব্দ ইবন্ হুমাইদ প্রমুখও বর্ণনা করেছেন।) -
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(6) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا عليكم ألا تعجبوا بأحد حتى تنظروا بم يختم له، فإن العامل يعمل زمانا طويلا من عمره أو برهة من دهره بعمل صالح لو مات عليه دخل الجنة، ثم يتحول
فيعمل عملا سيئا، وإن العبد ليعمل البرهة من دهره بعمل سيء لو مات عليه دخل النار ثم يتحول فيعمل عملا صالحا، وإذا أراد الله بعبد خيرا استعمله قبل موته، قالوا يا رسول الله وكيف يستعمله قال يوفقه لعمل صالح ثم يقبضه عليه
فيعمل عملا سيئا، وإن العبد ليعمل البرهة من دهره بعمل سيء لو مات عليه دخل النار ثم يتحول فيعمل عملا صالحا، وإذا أراد الله بعبد خيرا استعمله قبل موته، قالوا يا رسول الله وكيف يستعمله قال يوفقه لعمل صالح ثم يقبضه عليه
