আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৭
৪২৬। ইশার নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত।
৬২৪। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ মুনাফিকদের উপর ফজর ও ইশার নামাযের চাইতে অধিক ভারী নামায আর নেই। এ দুনামাযের কি ফযীলত, তা যদি তারা জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা (জামাআতে) উপস্থিত হত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমি সংকল্প করেছিলাম যে, মুয়াযযিন কে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে এরপরও যারা নামাযে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমি সংকল্প করেছিলাম যে, মুয়াযযিন কে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে এরপরও যারা নামাযে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসের ভাষ্য মোতাবেক আযান শুনেও যারা মাসজিদে না যায় রসূল স. তাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ধমকি দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামায জামাতে আদায় করা একান্ত জরুরী।
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
