আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬২৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৯১
২৭৭৩. যখন কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যকে হারাম করে নেয়।
এবং আল্লাহর বাণীঃ হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির জন্য কেন তা হারাম করেছেন?(৬৬ঃ১)।
এবং আল্লাহর বাণীঃ ঐ সমস্ত পবিত্র বস্তুকে হারাম করো না, যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
৬২৩৪। হাসান ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এক সময় যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) এর কাছে অবস্থান করছিলেন এবং তার কাছে মধু পান করেছিলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এবং হাফসা (রাযিঃ) পরস্পরে পরামর্শ করলাম যে, নবী (ﷺ) আমাদের দু’জনের মধ্যে যার কাছে আগে আসবেন তখন আমরা তাঁকে এ কথাটি বলব যে, আপনার মুখ থেকে তো মাগাফীরের গন্ধ পাচ্ছি। আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? এরপর তিনি কোন একজনের ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন তিনি তাঁকে ঐ কথাটি বললেন। তখন নবী (ﷺ) জবাব দিলেন, না, বরং আমি যয়নাব বিনতে জাহাশের কাছে মধু পান করেছি। এরপরে আর কখনও এ কাজটি করব না। তখনই এ আয়াত নাযিল হলঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ......إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ
“তোমরা উভয়ে যদি আল্লাহর কাছে তওবা কর” এখানে সম্বোধন আয়িশা ও হাফসা (রাযিঃ) এর প্রতি। আর وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ নবী (ﷺ) যখন তাঁর কোন স্ত্রীর কাছে কথাকে গোপন করেন। এ আয়াতখানা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথাبَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً “বরং আমি মধু পান করেছি” এর প্রতি ইঙ্গিত করণার্থে নাযিল হয়েছে।
ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) হিশাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কসম করে ফেলেছি এ কাজটি আমি আর কখনও করব না। তুমি এ ব্যাপারটি কারও কাছে প্রকাশ করো না।
بَابُ إِذَا حَرَّمَ طَعَامَهُ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ، تَبْتَغِي مَرْضَاةَ أَزْوَاجِكَ، وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ، قَدْ فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ} وَقَوْلُهُ: {لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ} [المائدة: 87]
6691 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الحَجَّاجُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: زَعَمَ عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ: تَزْعُمُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلًا، فَتَوَاصَيْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ: أَنَّ أَيَّتَنَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْتَقُلْ: إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ، أَكَلْتَ مَغَافِيرَ، فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «لاَ، بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ» فَنَزَلَتْ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ} [التحريم: 1] {إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ} [التحريم: 4] . لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ {وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا} [التحريم: 3] . لِقَوْلِهِ: «بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا» ، وقَالَ لِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى: عَنْ هِشَامٍ: «وَلَنْ أَعُودَ لَهُ، وَقَدْ حَلَفْتُ، فَلاَ تُخْبِرِي بِذَلِكِ أَحَدًا»
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন