আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬২২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৭৯
২৭৬৬. এমন কিছুতে কসম করা, যার উপর কসমকারীর মালিকানা নেই এবং গুনাহের কাজের জন্য কসম ও রাগের বশবর্তী হয়ে কসম করা।
৬২২২। আব্দুল আযীয ও হাজ্জাজ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উরওয়া ইবনে যুবাইর, সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব, আলকামা ইবনে ওয়াক্কাস ও উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) সম্পর্কে অপবাদ রটনাকারীরা যা বলেছিল তা শুনতে পেলাম। আল্লাহ তাআলা এ মর্মে তাঁর নিস্কলুষতা প্রকাশ করে দিয়েছেন। উপরোক্ত বর্ণনাকারীগণ প্রত্যেকেই আমার নিকট উল্লেখিত ঘটনার অংশ বিশেষ বর্ণনা করেছেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন আল্লাহ তাআলা إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ থেকে দশখানা আয়াত আমার নিস্কলুষতা প্রকাশ করণার্থে নাযিল করেছেন। আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে মিসতাহ-এর ভরণ-পোষণ করতেন।
অপবাদ প্রদানের কারণে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! মিসতাহ যখন আয়েশার ব্যাপারে অপবাদ রটিয়েছে; এরপর আমি আর তার জন্য কখনও কিছু খরচ করব না। তখন আল্লাহ তাআলা وَلاَ يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ أَنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَى এ আয়াত নাযিল করেন। আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আল্লাহ তা'আলা আমাকে ক্ষমা করে দিন, এটা আমি নিশ্চয়ই পছন্দ করি। তিনি পুনরায় মিসতাহ-এর ভরণ-পোষণের জন্য ঐ খরচ দেওয়া শুরু করলেন, যা তিনি পূর্বে তাকে দিতেন এবং তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তার খরচ দেওয়া আর কখনও বন্ধ করব না।
অপবাদ প্রদানের কারণে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! মিসতাহ যখন আয়েশার ব্যাপারে অপবাদ রটিয়েছে; এরপর আমি আর তার জন্য কখনও কিছু খরচ করব না। তখন আল্লাহ তাআলা وَلاَ يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ أَنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَى এ আয়াত নাযিল করেন। আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আল্লাহ তা'আলা আমাকে ক্ষমা করে দিন, এটা আমি নিশ্চয়ই পছন্দ করি। তিনি পুনরায় মিসতাহ-এর ভরণ-পোষণের জন্য ঐ খরচ দেওয়া শুরু করলেন, যা তিনি পূর্বে তাকে দিতেন এবং তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তার খরচ দেওয়া আর কখনও বন্ধ করব না।
باب الْيَمِينِ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ، وَفِي الْمَعْصِيَةِ، وَفِي الْغَضَبِ
6679 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا الحَجَّاجُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ النُّمَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ الأَيْلِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، قَالَ: سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ، وَعَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ قَالَ لَهَا أَهْلُ الإِفْكِ مَا قَالُوا، فَبَرَّأَهَا اللَّهُ مِمَّا قَالُوا، كُلٌّ حَدَّثَنِي طَائِفَةً مِنَ الحَدِيثِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ} العَشْرَ الآيَاتِ كُلَّهَا فِي بَرَاءَتِي، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، وَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى مِسْطَحٍ لِقَرَابَتِهِ مِنْهُ: وَاللَّهِ لاَ أُنْفِقُ عَلَى مِسْطَحٍ شَيْئًا أَبَدًا، بَعْدَ الَّذِي قَالَ لِعَائِشَةَ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {وَلاَ يَأْتَلِ أُولُو الفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ، أَنْ يُؤْتُوا أُولِي القُرْبَى} الآيَةَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ: " بَلَى وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لِي، فَرَجَعَ إِلَى مِسْطَحٍ النَّفَقَةَ الَّتِي كَانَ يُنْفِقُ عَلَيْهِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لاَ أَنْزِعُهَا عَنْهُ أَبَدًا "
