আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৭- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১৭
৩৪৫৪. শিঙ্গায় ফুঁৎকার।
মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকা আকৃতির, ‘যাজরাহ’ মানে চিৎকার, এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নাকুর মানে শিঙ্গা, ‘রাজিফা’ প্রথম ফুঁৎকার, ‘রাদিফা’ দ্বিতীয় ফুঁৎকার।
মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকা আকৃতির, ‘যাজরাহ’ মানে চিৎকার, এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নাকুর মানে শিঙ্গা, ‘রাজিফা’ প্রথম ফুঁৎকার, ‘রাদিফা’ দ্বিতীয় ফুঁৎকার।
৬০৭৩। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু’ব্যক্তি পরস্পরে গালাগালি করল। একজন মুসলমান, অপরজন ইহুদী। মুসলমান বলল, শপথ ঐ মহান সত্তার, যিনি মুহাম্মাদ (ﷺ) কে জগতবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। ইহুদী বলল, শপথ ঐ মহান সত্তার, যিনি মুসা (আলাইহিস সালাম) কে জগতবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। রাবী বলেন, এতে মুসলমান রাগাম্বিত হয়ে গেল এবং ইহুদীর মুখমণ্ডলে একটি চপেটাঘাত করে বসল। এরপর ইহুদী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে তার মাঝে এবং মুসলমানের মাঝে যা ঘটেছিল এ সম্পর্কে তাকে অবহিত করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমাকে মুসা (আলাইহিস সালাম) এর উপর প্রাধান্য দিও না। কেননা কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে, আর আমিই হব সেই ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম হুশে আসব। হুশ ফিরে পেয়েই আমি দেখতে পাব যে, মুসা (আলাইহিস সালাম) আরশে আযীমের কিনারা ধরে আছেন। আমি জানিনা মুসা (আলাইহিস সালাম) কি সেই লোক যিনি বেহুশ হবেন আর আমার পূর্বেই প্রকৃতিস্থ হয়ে যাবেন, নাকি তিনি সেই লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা বেহুশ হয়ে যাওয়া থেকে স্বতন্ত্র রেখেছেন।
