আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৭- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬০১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৬১
৩৪৩০. আমলে মধ্যমপন্থা অবলম্বন এবং নিয়মিত করা।
৬০১৭। আবদান (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (ﷺ) এর কাছে কি রকম আমল সবচাইতে প্রিয় ছিল? তিনি বললেনঃ নিয়মিত আমল। আমি বললাম, তিনি রাতে কোন সময় উঠতেন? তিনি বললেনঃ যখন তিনি মোরগের ডাক শুনতেন।
باب الْقَصْدِ وَالْمُدَاوَمَةِ عَلَى الْعَمَلِ
6461 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ مَسْرُوقًا، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَيُّ العَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: «الدَّائِمُ» قَالَ: قُلْتُ: فَأَيَّ حِينٍ كَانَ يَقُومُ؟ قَالَتْ: «كَانَ يَقُومُ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মোরগ ডাকে শেষ রাতে। অতএব, এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূল স. তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য শেষ রাতে উঠতেন। সহীহ সনদে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে রাতের শেষ প্রহরে উঠার কথাও বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী: ১০৭৯) ইশার নামায পড়ে সাথে সাথে শুয়ে পড়া ছুন্নাত। এর উপর আমল করলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ পর্যনত্ম একজন সুস্থ মানুষের যতটুকু ঘুম প্রয়োজন তা পূরণ হয়ে যায় এবং তৃপ্তিসহকারে তাহাজ্জুদের আমলও করা যায়। এর বিপরীতে ঘুমাতে দেরি করলে বা আরো বেশী আগে উঠে গেলে ঘুমের চাহিদা অপূর্ণ থাকতে পারে যাতে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং হাদীসে উল্লিখিত নিয়মে রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশই তাহাজ্জুদের উত্তম ওয়াক্ত। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। শামী: ২/২৫) অবশ্য কোন কারণে শেষ রাতে উঠা সম্ভব হবে না এমন ধারনা হলে ইশার নামাযের পর (ছুন্নাত আদায় করে বিতিরের আগে বা পর) দু/চার রাকাত পড়ে নিলে সেটাও তাহাজ্জুদ হিসেবে গণ্য হবে। (তবারানী কাবীর-৭৮৭, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-৩৫২৫)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)