রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

৭. রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য

হাদীস নং: ৯৪৭
পরিচ্ছেদ:১৯ মায়্যিতের পক্ষ থেকে সদাকা করা ও তার জন্য দু'আ করা

'মায়্যিতের পক্ষ থেকে সদাকা করা...' সম্পর্কিত একটি আয়াত
وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ
অর্থ: এবং (ফায়-এর সম্পদ) তাদেরও প্রাপ্য, যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং আমাদের সেই ভাইদেরও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে।
(সূরা হাশর, আয়াত ১০)

ব্যাখ্যা
এ আয়াতটি 'ফায়'-এর সম্পদ বণ্টনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যাপক অর্থে ফায় বলা হয় অমুসলিমদের থেকে প্রাপ্ত সম্পদকে, তা যুদ্ধের মাধ্যমে হোক বা সন্ধির মাধ্যমে। যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জিত হয় তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে গণ্য হয়। বাকিটা যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। সন্ধিসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সবটাই রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চলে আসে। খলীফা বা রাষ্ট্রপ্রধান তা জনকল্যাণমূলক যে-কোনও খাতে ব্যয় করতে পারে। এর বিস্তারিত বিধি-বিধান আছে। ফিকহী গ্রন্থাবলিতে তা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। সূরা হাশরের ৬ থেকে ১০ নং পর্যন্ত আয়াতসমূহে মোটামুটিভাবে এর খাতসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। সবশেষে ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে- "এবং (ফায়-এর সম্পদ) তাদেরও প্রাপ্য, যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং আমাদের সেই ভাইদেরও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে”। অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মুমিন মুসলিম এর হকদার। সে মুমিন-মুসলিমদের বিশেষ দু'টি গুণের কথাও এ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম গুণ হল তারা পূর্ববর্তী আনসার-মুহাজিরদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। তারা তাদেরকে নিজেদের অগ্রবর্তী ভাই গণ্য করবে। এক ভাই যেমন অন্য ভাইকে ভালোবাসে, আনসার ও মুহাজিরদেরকে সেরকমই ভালোবাসবে। তাই নিজেদের জন্য যেমন আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে, তেমনি তাদের জন্যও ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। এটা ইঙ্গিত করে প্রকৃত মুমিন-মুসলিম হতে হলে তাকে অবশ্যই সাহাবায়ে কেরামের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি বজায় রাখতে হবে। যার অন্তরে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি নেই, সে মুমিন নামের উপযুক্ত নয়। হযরত মুসআব ইবন সাদ রাযি. বলতেন, উম্মতের মুসলিমগণ তিন ভাগে বিভক্ত। তাদের মধ্যে দুই ভাগ গত হয়ে গেছেন। তারা হলেন মুহাজির ও আনসার। বাকি আছে সেইসকল লোক, যারা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পোষণ করে। তোমরা যদি এ উম্মতের মধ্যে স্থান পেতে চাও, তবে এই তৃতীয় ভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
কেউ বলতে পারে, তাদের মধ্যেও তো দ্বন্দ্ব-কলহ ও যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হয়েছিল। এ অবস্থায় কীভাবে শ্রদ্ধাভক্তি বজায় রাখা সম্ভব? এর উত্তরও এ আয়াতের মধ্যে রয়েছে। তাদের মধ্যে যে যুদ্ধ-বিগ্রহ হবে, তা কি আল্লাহ তা'আলা জানতেন না? তা সত্ত্বেও তো তিনি এ আয়াতে তাদের জন্য দু'আ ও ইস্তিগফারের হুকুম করেছেন। বোঝা গেল তাদের আত্মকলহের কারণে শ্রদ্ধাভক্তি হারানো যাবে না। দীনের জন্য ও দীনের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য তাদের যে অসামান্য আত্মত্যাগ, সে কথা ভুলে যাওয়া চলবে না। ভুলত্রুটি যে-কারওই হতে পারে। সেজন্য তার প্রাপ্য ঘৃণা ও বিদ্বেষ নয়। বরং তার প্রাপ্য হল দু'আ ও ইস্তিগফার। সাহাবায়ে কেরামের মতো মহান জামাতের দ্বারা ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে কীভাবে তারা অশ্রদ্ধার পাত্র হতে পারেন? তাদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি কর্তব্য ভক্তি-শ্রদ্ধার সঙ্গে দু'আ করা, যাতে আল্লাহ তা'আলা তাদের ভুল-ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দেন এবং প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুমহান সাহচর্যের বদৌলতে জান্নাতের সমুচ্চ মাকাম তাদের দান করেন। তারা তো সে মাকামের উপযুক্ত হয়েই আছেন। তা সত্ত্বেও এরূপ দু'আ করার দ্বারা দু'আকারী নিজেই উপকৃত হবে। তাদের প্রতি ভক্তি-ভালোবাসার কারণে নিজের দীন ও ঈমান অধিকতর শক্তিশালী হবে। আখিরাতে নাজাতলাভের সম্ভাবনা সুদৃঢ় হবে। যদিও আয়াতটি আনসার ও মুহাজিরদের কেন্দ্র করে নাযিল হয়েছে, কিন্তু এর শব্দাবলি ব্যাপক। তাই যে-কোনও পরবর্তীকালীন মুমিনদের কর্তব্য তাদের পূর্বকালীন মুমিনদের জন্য দু'আ ও ইস্তিগফার করা। অর্থাৎ যে-কেউ মারা যায়, জীবিতদের উচিত তার জন্য দু'আ করা, যাতে আল্লাহ তা'আলা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন। গুনাহ মাফ হয় যেমন দু'আর দ্বারা, তেমনি সদাকার দ্বারাও। তাই মৃতব্যক্তির গুনাহমাফির জন্য তার পক্ষ থেকে দান-সদাকাও করা চাই।
আয়াতটিতে সাধারণ মুমিন-মুসলিমদের দ্বিতীয় গুণ বলা হয়েছে যে, তারা একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। সুতরাং উল্লিখিত অংশের পর আয়াতটিতে বলা হয়েছে-
وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوْبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ (এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনও হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু)। সুতরাং সত্যিকারের মুমিন হতে চাইলে অপর কোনও মুমিন-মুসলিমের প্রতি অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ রাখা চলবে না।

আয়াতটির শিক্ষা
ক. সাহাবীগণ তথা আনসার ও মুহাজিরগণ ঈমান ও ইসলামের ক্ষেত্রে অপরাপর সকল মুমিনের চেয়ে অগ্রগামী। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি বজায় রাখতে হবে।
খ. নিজের জন্য যেমন দু'আ-ইস্তিগফার করা হয়, তেমনি আনসার ও মুহাজিরদের জন্যও দু'আ ও ইস্তিগফার করা চাই।
গ. নিজ ভাইকে যেমন আন্তরিকভাবে মহব্বত করা হয়, তেমনি সাহাবায়ে কেরামের প্রতিও অন্তরে গভীর মহব্বত রাখতে হবে।
ঘ. জীবিতদের উচিত মৃত সকল মুমিন নর-নারীর জন্য দু'আ-ইস্তিগফার করা।
ঙ. মৃতব্যক্তির গুনাহমাফির জন্য তার পক্ষ থেকে সাধ্যমতো দান-সদাকাও করা উচিত।
চ. প্রকৃত মুমিন কখনও অন্য মুমিনের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে না।
জীবিতদের দান-সদাকা ইত্যাদি দ্বারা মৃত মুমিনদের উপকারলাভ
হাদীছ নং: ৯৪৭

উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, আমার মা হঠাৎ করেই মারা গেছেন। আমার মনে হয় তিনি কথা বলতে পারলে দান-সদাকা করতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান- সদাকা করি, তবে কি তিনি ছাওয়াব পাবেন? তিনি বললেন, হাঁ। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৩৮৮; সহীহ মুসলিম: ১০০৪; সুনানে আবু দাউদ: ২৮৮১; সুনানে নাসাঈ : ৩৬৪৯; সুনানে ইবন মাজাহ: ২৭১৬; মুসনাদুল হুমায়দী: ২৪৫; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ১৬২৪৩; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১২০৭৭; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৪৪৩৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা: ২৪৯৯)
باب الصدقة عن الميت والدعاء لَهُ
قَالَ الله تَعَالَى: {وَالَّذِينَ جَاءوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإيمَانِ} [الحشر: 10].
947 - وعن عائشة رضي الله عنها: أنَّ رجلًا قَالَ للنبيِّ - صلى الله عليه وسلم: إنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا وَأُرَاهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ، فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইহজীবন মানুষের কর্মক্ষেত্র। মৃত্যু দ্বারা মানুষের যাবতীয় কাজকর্মের পরিসমাপ্তি ঘটে। মৃত্যুর পরের জীবন হল তার কর্মফল ভোগের সময়। ইহজীবনে ভালো কাজ করে থাকলে মৃত্যুর পর থেকেই সে তার সুফল ভোগ করতে পারবে। তেমনি মন্দ কাজ করলেও মৃত্যুর পর থেকেই তার কুফল ভোগ শুরু হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা অশেষ দয়ার অধিকারী। মুমিনদের বেলায় তিনি এমন কিছু ব্যবস্থা দান করেছেন, যা তাদের মৃত্যুর পর তাদের পক্ষ থেকে অন্য কেউ করলেও তারা তা দ্বারা উপকৃত হতে পারে। আলোচ্য হাদীছটি দ্বারা তা সুস্পষ্টভাবেই জানা যায়। এ হাদীছে জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তার মা হঠাৎ করে মারা গেলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জানতে চেয়েছিলেন যে, তিনি তার মায়ের পক্ষ থেকে দান-সদাকা করলে তার ছাওয়াব তার মা পাবে কি না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানালেন যে, হাঁ, সে তার ছাওয়াব পাবে।

অন্যান্য বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, ওই সাহাবী হলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি. তাঁর মায়ের নাম 'আমরা বিনতে মাস'ঊদ। তাঁর মৃত্যুকালে হযরত সা'দ রাযি. উপস্থিত ছিলেন না। কোনও এক সফরে ছিলেন। ফিরে আসার পর তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর মা হঠাৎ করেই মারা গেছেন। কথা বলার সুযোগ পাননি। ধারণা ছিল যে, কথা বলতে পারলে হয়তো নিজেই সদাকা করতেন অথবা সদাকা করার অসিয়ত করতেন। মা যখন তা করতে পারেননি, তখন তাঁর পক্ষ থেকে তার প্রিয়পুত্রের সদাকা করার আগ্রহ হল। কিন্তু তাঁর সদাকা করার দ্বারা মা উপকৃত হবেন কি না অর্থাৎ তার ছাওয়ার তাঁর মায়ের আমলনামায় লেখা হবে কি না, সে কথা তাঁর জানা ছিল না। এজন্যই এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি যখন জানালেন যে তাঁর দান-খয়রাত করার দ্বারা তাঁর মা উপকৃত হবেন, তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাক্ষী রেখে বললেন যে, আমি আমার 'মিখরাফ' নামক খেজুর বাগানটি তাঁর ঈসালে ছাওয়াবের জন্য সদাকা করে দিলাম। (সহীহ বুখারী: ২৭৫৬; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৫৩৭০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১২৬৩১)

প্রশ্ন হতে পারে, একজনের কৃত আমলের ছাওয়াব আরেকজন কীভাবে পেতে পারে? কুরআন মাজীদে তো ইরশাদ হয়েছে-
وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى
আর এই যে, মানুষ নিজের প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কোনও কিছুর (বিনিময় লাভের) হকদার হয় না। (সূরা নাজম, আয়াত ৩৯)

এর উত্তর হল, মৌলিকভাবে আয়াতটির সম্পর্ক কাফেরদের সঙ্গে। ঈমান না থাকার কারণে তাদের নিজেদের আমলই তো গ্রহণযোগ্য হয় না। সেখানে অন্যের কৃত আমলের ছাওয়াব তা কি করে পেতে পারে? মুমিনদের বেলায় আল্লাহ তা'আলার রহমত ও দয়া অনেক বিস্তৃত। তিনি একান্তই নিজ মেহেরবানিতে তাদেরকে অন্যের কৃত আমলের ছাওয়াবও দান করে থাকেন। কেউ যদি এই নিয়তে কোনও সৎকর্ম করে যে, তার ছাওয়াব যেন তার পিতা-মাতা বা অন্য কোনও প্রিয়জন পায়, তবে আল্লাহ তা'আলা তার নিয়ত অনুযায়ী সে প্রিয়জনকে আমলটির ছাওয়াব দিয়ে থাকেন। পরিভাষায় একে ঈসালে ছাওয়াব (ছাওয়াব পৌঁছানো) বলে। এ হাদীছটি দ্বারা প্রমাণ হয় যে, ঈসালে ছাওয়াব শরী'আতসম্মত।

তাছাড়া এক দৃষ্টিতে সন্তানের আমল পিতা-মাতার আমলই বটে। তা এই দৃষ্টিতে যে, পিতা-মাতা সে শিক্ষাদান করার ফলেই সন্তান নেক আমল করে। এভাবে তার অনেক আমলে পিতা-মাতারও ভূমিকা থাকে। সে কারণে ঈসালে ছাওয়াব ছাড়া এমনিতেও পিতা-মাতা সন্তানের নেক আমলের ছাওয়াবে অংশীদার হয়।

হাদীছটি দ্বারা হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-এর মাতৃভক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। সন্তানের কর্তব্য সে জীবদ্দশায় যেমন পিতা-মাতার খেদমত করে, তেমনি পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাদের দীনী খেদমতের চেষ্টা করা। ঈসালে ছাওয়াব করা অর্থাৎ তারা ছাওয়াব পাবে এই নিয়তে দান-খয়রাত বা অন্য কোনও সৎকর্ম করা তাদের দীনী খেদমত। এর দ্বারা কবরে ও আখিরাতে উপকৃত হয়ে থাকে, যেমনটা আলোচ্য হাদীছ দ্বারা জানা গেল।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. জীবিতদের দান-খয়রাত ও সৎকর্ম দ্বারা মৃতরা উপকৃত হয়ে থাকে।

খ. সন্তানের কর্তব্য মৃত পিতা-মাতার জন্য ঈসালে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে সাধ্যমতো দান-খয়রাত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি সৎকর্ম করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
রিয়াযুস সালিহীন - হাদীস নং ৯৪৭ | মুসলিম বাংলা