রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৩. আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
হাদীস নং: ৭৬৩
পরিচ্ছেদ : ১৩ মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা মাকরূহ তবে তা মাকরূহে তানযীহী, তাহরীমী নয়
হাদীছ নং: ৭৬৩
হযরত উম্মু ছাবিত কাবশা বিনত ছাবিত রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে আসলেন। তিনি একটি ঝুলন্ত মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে পান করলেন। আমি উঠে গিয়ে মশকের মুখটি কেটে নিলাম। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৯২; সুনানে ইবন মাজাহ ৩৪২৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪২)
হযরত উম্মু ছাবিত কাবশা বিনত ছাবিত রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে আসলেন। তিনি একটি ঝুলন্ত মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে পান করলেন। আমি উঠে গিয়ে মশকের মুখটি কেটে নিলাম। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৯২; সুনানে ইবন মাজাহ ৩৪২৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪২)
باب كراهة الشرب من فم القربة ونحوها وبيان أنه كراهة تنزيه لا تحريم
763 - وعن أم ثابتٍ كَبْشَةَ بنتِ ثابتٍ أُختِ حَسَّانَ بن ثابتٍ رضي الله عنهما، قالت: دخل عَلَيَّ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - فَشَرِبَ مِنْ فيِّ قِرْبَةٍ مُعَلَّقَةٍ قَائِمًا، فَقُمْتُ إِلَى فِيهَا فَقَطَعْتُهُ. رواه الترمذي، (1)
وقال: «حديث حسن صحيح».
وإنّما قَطَعَتْهَا: لِتَحْفَظَ مَوْضِع فَمِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وَتَتَبَرَّكَ بِهِ، وتَصُونَهُ عَن الابْتِذَال. وهذا الحديث محمولٌ عَلَى بيان الجواز، والحديثان السابقان لبيان الأفضل والأكمل، والله أعلم.
وقال: «حديث حسن صحيح».
وإنّما قَطَعَتْهَا: لِتَحْفَظَ مَوْضِع فَمِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وَتَتَبَرَّكَ بِهِ، وتَصُونَهُ عَن الابْتِذَال. وهذا الحديث محمولٌ عَلَى بيان الجواز، والحديثان السابقان لبيان الأفضل والأكمل، والله أعلم.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা তিনটি বিষয় জানা যায়।
(ক) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করেছেন। এর দ্বারা বোঝা গেল দাঁড়িয়ে পানি পান করা মাকরূহে তানযীহী, হারাম নয়।
(খ) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেছেন। অথচ পেছনে দুই হাদীছে তিনি এভাবে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় ওই নিষেধাজ্ঞা হারাম পর্যায়ের নয়। নানারকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বলেই তা নিষেধ করা হয়েছে। তার মানে ওভাবে পানি পান করা অপসন্দনীয়। অর্থাৎ মাকরূহে তানযীহী। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যে মশকে মুখ দিয়ে পান করেছেন, এটা প্রমাণ করে এভাবে পান করা জায়েয আছে, যদিও মাকরূহ বা অপসন্দনীয়।
(গ) হযরত উম্মু ছাবিত রাযি. মশকের মুখ কেটে নিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন, যেহেতু মশকের মুখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ লেগেছিল, তাই মশকের সে স্থানটি তাবাররুক হিসেবে নিজের কাছে সংরক্ষণ করার জন্য তিনি সেটি কেটে নিয়েছিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নেই। এতে নানা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
খ. এ হাদীছ দ্বারা তাবাররুকের বৈধতা প্রমাণ হয়। কাজেই কেউ যদি আল্লাহওয়ালাদের কোনও স্মৃতিচিহ্ন তাবাররুক হিসেবে সংরক্ষণ করে, তবে তাতে আপত্তি করার কোনও বৈধতা নেই।
(ক) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করেছেন। এর দ্বারা বোঝা গেল দাঁড়িয়ে পানি পান করা মাকরূহে তানযীহী, হারাম নয়।
(খ) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেছেন। অথচ পেছনে দুই হাদীছে তিনি এভাবে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় ওই নিষেধাজ্ঞা হারাম পর্যায়ের নয়। নানারকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বলেই তা নিষেধ করা হয়েছে। তার মানে ওভাবে পানি পান করা অপসন্দনীয়। অর্থাৎ মাকরূহে তানযীহী। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যে মশকে মুখ দিয়ে পান করেছেন, এটা প্রমাণ করে এভাবে পান করা জায়েয আছে, যদিও মাকরূহ বা অপসন্দনীয়।
(গ) হযরত উম্মু ছাবিত রাযি. মশকের মুখ কেটে নিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন, যেহেতু মশকের মুখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ লেগেছিল, তাই মশকের সে স্থানটি তাবাররুক হিসেবে নিজের কাছে সংরক্ষণ করার জন্য তিনি সেটি কেটে নিয়েছিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নেই। এতে নানা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
খ. এ হাদীছ দ্বারা তাবাররুকের বৈধতা প্রমাণ হয়। কাজেই কেউ যদি আল্লাহওয়ালাদের কোনও স্মৃতিচিহ্ন তাবাররুক হিসেবে সংরক্ষণ করে, তবে তাতে আপত্তি করার কোনও বৈধতা নেই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
