আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৬- দুআ - যিকরের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩১৬
৩৩৫৩. রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর দুআ করা।
৫৮৭৭। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাত কাটালাম। তখন নবী (ﷺ) উঠে তার প্রয়োজনাদি সেরে মুখ-হাত ধুয়ে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে আবার জেগে উঠে পানির মশকের নিকট গিয়ে এর মুখ খুললেন। এরপর মাঝারি রকমের এমন উযু করলেন যে; তাতে বেশী পানি লাগালেন না। অথচ পুরা উযুই করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করতে লাগলেন। তখন আমিও জেগে উঠলাম। তবে আমি কিছু দেরী করে উঠলাম। এজন্য যে, আমি এটা পছন্দ করলাম না যে, তিনি আমার অনুসরণকে দেখে ফেলেন। যা হোক আমি উযু করলাম। তখনও তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। সুতরাং আমি গিয়ে তাঁর বামদিকে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমার কান ধরে তার ডানদিকে আমাকে ঘুরিয়ে নিলেন।
এরপর তার তেরো রাকআত নামায পূর্ণ হলো। তারপর তিনি আবার কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাকও ডাকতে লাগলেন। তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি ঘুমে নাক ডাকতেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে জাগালেন। তখন তিনি নতুন উযু না করেই নামায আদায় করলেন। তার দুআর মধ্যে এ দুআও ছিলঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে-বামে, আমার উপর-নীচে, আমার সামনে-পেছনে এবং আমার জন্য নূর দান করুন।
কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, এ সাতটি আমার তাবুতের মত। এরপর আমি আব্বাস রাঃ এর পুত্রদের একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তিনি আমাকে এ সাতটি অঙ্গের কথা বর্ণনা করলেন এবং রগ, গোশত, রক্ত, চুল ও চামড়ার উল্লেখ করলেন এবং আরো দুটির কথা উল্লেখ করেন।
এরপর তার তেরো রাকআত নামায পূর্ণ হলো। তারপর তিনি আবার কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাকও ডাকতে লাগলেন। তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি ঘুমে নাক ডাকতেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে জাগালেন। তখন তিনি নতুন উযু না করেই নামায আদায় করলেন। তার দুআর মধ্যে এ দুআও ছিলঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে-বামে, আমার উপর-নীচে, আমার সামনে-পেছনে এবং আমার জন্য নূর দান করুন।
কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, এ সাতটি আমার তাবুতের মত। এরপর আমি আব্বাস রাঃ এর পুত্রদের একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তিনি আমাকে এ সাতটি অঙ্গের কথা বর্ণনা করলেন এবং রগ, গোশত, রক্ত, চুল ও চামড়ার উল্লেখ করলেন এবং আরো দুটির কথা উল্লেখ করেন।
