রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৮
অধ্যায়ঃ ৫৫ দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তির ফযীলত, অল্পেতুষ্টির প্রতি উৎসাহদান ও দারিদ্র্যের মাহাত্ম্য।
আসহাবুস সুফফার চরম দারিদ্র্যাবস্থা
হাদীছ নং : ৪৬৮
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সুফফাবাসীদের মধ্যে এমন সত্তরজনকে দেখেছি, যাদের মধ্যে এমন একজনও ছিল না, যার চাদর ছিল। হয়তো একটি লুঙ্গি ছিল কিংবা একটি কম্বল, যা তারা তাদের গলায় বেঁধে রাখতেন। তার কোনওটি আবার পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত পৌঁছত। কোনওটি পৌঁছত হাঁটু পর্যন্ত। তারা সেটি হাত দিয়ে ধরে রাখতেন, যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায় - বুখারী।
হাদীছ নং : ৪৬৮
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সুফফাবাসীদের মধ্যে এমন সত্তরজনকে দেখেছি, যাদের মধ্যে এমন একজনও ছিল না, যার চাদর ছিল। হয়তো একটি লুঙ্গি ছিল কিংবা একটি কম্বল, যা তারা তাদের গলায় বেঁধে রাখতেন। তার কোনওটি আবার পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত পৌঁছত। কোনওটি পৌঁছত হাঁটু পর্যন্ত। তারা সেটি হাত দিয়ে ধরে রাখতেন, যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায় - বুখারী।
55 - باب فضل الزهد في الدنيا والحث على التقلل منها وفضل الفقر
468 - وعنه - رضي الله عنه - قَالَ: لَقَدْ رَأيْتُ سَبعِينَ مِنْ أهْلِ الصُّفَّةِ، مَا منهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ: إمَّا إزارٌ، وَإمَّا كِسَاءٌ، قَدْ رَبَطُوا في أعنَاقِهِمْ، فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْن، وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الكَعْبَيْنِ، فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ كَراهِيَةَ أَنْ تُرَى عَوْرَتُهُ. رواه البخاري. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. যে বলেছেন 'আমি সুফাবাসীদের মধ্যে এমন সত্তরজনকে দেখেছি...' এর দ্বারা বোঝা যায় তাদের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। বেশি ছিলও বটে। কেননা তাদের মধ্যে অনেকে "বি'রে মাউনা”-এর ঘটনায় শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. তাদের দেখতে পাননি। কেননা সে ঘটনাটি ঘটেছিল হিজরী ৪র্থ সনে, আর হযরত আবু হুরায়রা রাদি, ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হিজরী ৭ম সনে খায়বারের যুদ্ধকালে।
সুফফাবাসী সাহাবীগণ কী পরিমাণ গরীব ছিলেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন যে, তাদের কারও رداء ছিল না। رداء বলা হয় ওই কাপড়কে, যা দ্বারা শরীরের উপরের অংশ ঢাকা হয়। সেকালে সাধারণত পোশাক হতো সেলাইবিহীন কাপড়। একটা কাপড়কে কেটে দু'টুকরো করে এক টুকরো দ্বারা শরীরের নিচের অংশ ঢাকা হতো। তাকে বলা হতো ازار (লুঙ্গি)। অন্য অংশ দ্বারা ঢাকা হতো শরীরের উপরের অংশ। সুফ্ফাবাসী সাহাবীদের রিদা অর্থাৎ শরীর ঢাকার চাদর ছিল না। তাদের সকলের যে ইযার ছিল তাও নয়। কারও কারও ইযার ছিল, যেমনটা হযরত আবু হুরায়রা রাযি.-এর বর্ণনা দ্বারা বোঝা যায়। তিনি বলছেন-(হয়তো একটি লুঙ্গি ছিল কিংবা একটি কম্বল)। অর্থাৎ কারও হয়তো লুঙ্গি ছিল। আবার কারও লুঙ্গিও ছিল না, তবে কম্বল ছিল। যার ইযার ছিল তিনি তো তা দ্বারা শরীরের নিচের অংশ ঢাকতেন। উপরের অংশ খোলাই থাকত, যেহেতু তা ঢাকার মত কিছু ছিল না। যার লুঙ্গিও ছিল না তবে কম্বল ছিল, তিনি সেটি তার গলায় বেঁধে নিতেন। অর্থাৎ সেটি দ্বারা শরীরের উভয় অংশ ঢাকার চেষ্টা করতেন। হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. জানাচ্ছেন যে, তার কোনওটি পায়ের গোছার মাঝখান পর্যন্ত পৌঁছত। কোনওটি আরেকটি লম্বা ছিল। সেটি পৌঁছত পায়ের টাখনু পর্যন্ত। এভাবে শরীরে কম্বল জড়ানোর দ্বারা সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তারা শরীরের মাঝখান বরাবর হাত দিয়ে কমলের উভয় প্রান্ত জড়িয়ে ধরে রাখতেন। বোঝা গেল, কম্বল বলতে আমরা যে বড়সড় আচ্ছাদন বুঝি, তাদের কম্বল সেরকম ছিল না। এমনই ছোট ছিল, যার মাঝখান ধরে না রাখলে সতর খুলে যাওয়ার ভয় থাকত। ভাবা যায় কেমন গরীব তারা ছিলেন।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে অপর এক বর্ণনায় আছে যে, এরকম সাহাবী যখন রুকূ'তে যেতেন, তখন কাপড় মুঠো করে ধরে রাখতেন, পাছে সতর প্রকাশ হয়ে যায়।
হযরত জাবির রাযি.-এর ঘটনা বর্ণিত আছে যে, একদিন তিনি অতি ভোরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন। তিনি একটি চাদর দ্বারা শরীর জড়িয়ে নিয়েছিলেন। চাদরটি এমন ছোট ছিল যে, দু'দিক থেকে পেঁচিয়ে আনলে তা দ্বারা সারা শরীর ঢাকা যেত না। তাই তিনি সেটি দু'পাশ থেকে জড়িয়ে এনে থুতনি দ্বারা সম্মুখদিক চেপে ধরলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার তাঁর দিকে লক্ষ করছিলেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে কী দেখছেন? শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জাবির! এটা কী রকমের কাপড় পরা? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। কাপড়টা খুব ছোট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
إِذَا كَانَ وَاسِعًا فَخَالِف بَيْنَ طَرَفَيْهِ، وَإِذَا كَانَ ضَيِّقًا فَاشْدُدْهُ عَلَى حَقوكَ
কাপড় বড় হলে উভয়দিক থেকে পেঁচিয়ে পরবে। আর যদি ছোট হয়, কোমরে বেঁধে নেবে।
হযরত সাহল ইবন সা'দ রাযি. বর্ণনা করেন-
كان رجال يصلون مع النبي صلى الله عليه وسلم عاقدي أزرهم على أعناقهم، كهيئة الصبيان، ويقال للنساء: «لا ترفعن رءوسكن حتى يستوي الرجال جلوسا
অনেক পুরুষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে নামায পড়ত গলায় ইযার বাঁধা অবস্থায়, ঠিক শিশুদের মতো। মহিলাদের বলা হতো পুরুষরা সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত তোমরা মাথা তুলবে না।
মহিলাদেরকে আগে মাথা তুলতে নিষেধ করা হতো এ কারণে যে, ইযার ছোট হওয়ায় সিজদা অবস্থায় পুরুষদের পেছন থেকে সতর খুলে যেত। তাহলে কী রকম গরীব তারা ছিলেন?
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, একটি কাপড়ে নামায পড়া যাবে কি না। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন-
أَو لِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ
"তোমাদের প্রত্যেকের কি দুটি কাপড় আছে?"
একবার এক প্রশ্নকর্তাকে লক্ষ্য করে হযরত জাবির রাযি. বলেছিলেন-
أَيُّنَا كَانَ لَهُ ثَوْبَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে আমাদের মধ্যে কার দুটি কাপড় ছিল?"
অর্থাৎ খুব কম জনেরই ছিল। সাহাবায়ে কেরামের অভাব-অনটন ও দারিদ্র্য্যাবস্থা সম্পর্কে এরকম বহু বর্ণনা আছে। তাদের অধিকাংশেই অল্পে সন্তুষ্ট থাকতেন। বেশি বেশি উপার্জন করা বা উপার্জিত সম্পদ ধরে রাখা ও তা বিলাসিতায় খরচ করার প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল না। তারা কৃচ্ছতার জীবনই পসন্দ করতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আখিরাতমুখী বান্দারূপে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সর্বদা তাদেরকে সতর্ক করতেন যাতে তারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ-বিলাসিতা থেকে আত্মরক্ষা করে চলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কেরামের যুহদ ও ভোগবিমুখতার পরিচয় পাওয়া যায়। তারা সর্বকালের সেরা মানুষ। নিজেদের জীবনযাত্রায় তাদের সে জীবনধারার কথা স্মরণ রাখা আমাদের অবশ্যকর্তব্য।
সুফফাবাসী সাহাবীগণ কী পরিমাণ গরীব ছিলেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন যে, তাদের কারও رداء ছিল না। رداء বলা হয় ওই কাপড়কে, যা দ্বারা শরীরের উপরের অংশ ঢাকা হয়। সেকালে সাধারণত পোশাক হতো সেলাইবিহীন কাপড়। একটা কাপড়কে কেটে দু'টুকরো করে এক টুকরো দ্বারা শরীরের নিচের অংশ ঢাকা হতো। তাকে বলা হতো ازار (লুঙ্গি)। অন্য অংশ দ্বারা ঢাকা হতো শরীরের উপরের অংশ। সুফ্ফাবাসী সাহাবীদের রিদা অর্থাৎ শরীর ঢাকার চাদর ছিল না। তাদের সকলের যে ইযার ছিল তাও নয়। কারও কারও ইযার ছিল, যেমনটা হযরত আবু হুরায়রা রাযি.-এর বর্ণনা দ্বারা বোঝা যায়। তিনি বলছেন-(হয়তো একটি লুঙ্গি ছিল কিংবা একটি কম্বল)। অর্থাৎ কারও হয়তো লুঙ্গি ছিল। আবার কারও লুঙ্গিও ছিল না, তবে কম্বল ছিল। যার ইযার ছিল তিনি তো তা দ্বারা শরীরের নিচের অংশ ঢাকতেন। উপরের অংশ খোলাই থাকত, যেহেতু তা ঢাকার মত কিছু ছিল না। যার লুঙ্গিও ছিল না তবে কম্বল ছিল, তিনি সেটি তার গলায় বেঁধে নিতেন। অর্থাৎ সেটি দ্বারা শরীরের উভয় অংশ ঢাকার চেষ্টা করতেন। হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. জানাচ্ছেন যে, তার কোনওটি পায়ের গোছার মাঝখান পর্যন্ত পৌঁছত। কোনওটি আরেকটি লম্বা ছিল। সেটি পৌঁছত পায়ের টাখনু পর্যন্ত। এভাবে শরীরে কম্বল জড়ানোর দ্বারা সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তারা শরীরের মাঝখান বরাবর হাত দিয়ে কমলের উভয় প্রান্ত জড়িয়ে ধরে রাখতেন। বোঝা গেল, কম্বল বলতে আমরা যে বড়সড় আচ্ছাদন বুঝি, তাদের কম্বল সেরকম ছিল না। এমনই ছোট ছিল, যার মাঝখান ধরে না রাখলে সতর খুলে যাওয়ার ভয় থাকত। ভাবা যায় কেমন গরীব তারা ছিলেন।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে অপর এক বর্ণনায় আছে যে, এরকম সাহাবী যখন রুকূ'তে যেতেন, তখন কাপড় মুঠো করে ধরে রাখতেন, পাছে সতর প্রকাশ হয়ে যায়।
হযরত জাবির রাযি.-এর ঘটনা বর্ণিত আছে যে, একদিন তিনি অতি ভোরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন। তিনি একটি চাদর দ্বারা শরীর জড়িয়ে নিয়েছিলেন। চাদরটি এমন ছোট ছিল যে, দু'দিক থেকে পেঁচিয়ে আনলে তা দ্বারা সারা শরীর ঢাকা যেত না। তাই তিনি সেটি দু'পাশ থেকে জড়িয়ে এনে থুতনি দ্বারা সম্মুখদিক চেপে ধরলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার তাঁর দিকে লক্ষ করছিলেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে কী দেখছেন? শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জাবির! এটা কী রকমের কাপড় পরা? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। কাপড়টা খুব ছোট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
إِذَا كَانَ وَاسِعًا فَخَالِف بَيْنَ طَرَفَيْهِ، وَإِذَا كَانَ ضَيِّقًا فَاشْدُدْهُ عَلَى حَقوكَ
কাপড় বড় হলে উভয়দিক থেকে পেঁচিয়ে পরবে। আর যদি ছোট হয়, কোমরে বেঁধে নেবে।
হযরত সাহল ইবন সা'দ রাযি. বর্ণনা করেন-
كان رجال يصلون مع النبي صلى الله عليه وسلم عاقدي أزرهم على أعناقهم، كهيئة الصبيان، ويقال للنساء: «لا ترفعن رءوسكن حتى يستوي الرجال جلوسا
অনেক পুরুষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে নামায পড়ত গলায় ইযার বাঁধা অবস্থায়, ঠিক শিশুদের মতো। মহিলাদের বলা হতো পুরুষরা সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত তোমরা মাথা তুলবে না।
মহিলাদেরকে আগে মাথা তুলতে নিষেধ করা হতো এ কারণে যে, ইযার ছোট হওয়ায় সিজদা অবস্থায় পুরুষদের পেছন থেকে সতর খুলে যেত। তাহলে কী রকম গরীব তারা ছিলেন?
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, একটি কাপড়ে নামায পড়া যাবে কি না। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন-
أَو لِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ
"তোমাদের প্রত্যেকের কি দুটি কাপড় আছে?"
একবার এক প্রশ্নকর্তাকে লক্ষ্য করে হযরত জাবির রাযি. বলেছিলেন-
أَيُّنَا كَانَ لَهُ ثَوْبَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে আমাদের মধ্যে কার দুটি কাপড় ছিল?"
অর্থাৎ খুব কম জনেরই ছিল। সাহাবায়ে কেরামের অভাব-অনটন ও দারিদ্র্য্যাবস্থা সম্পর্কে এরকম বহু বর্ণনা আছে। তাদের অধিকাংশেই অল্পে সন্তুষ্ট থাকতেন। বেশি বেশি উপার্জন করা বা উপার্জিত সম্পদ ধরে রাখা ও তা বিলাসিতায় খরচ করার প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল না। তারা কৃচ্ছতার জীবনই পসন্দ করতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আখিরাতমুখী বান্দারূপে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সর্বদা তাদেরকে সতর্ক করতেন যাতে তারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ-বিলাসিতা থেকে আত্মরক্ষা করে চলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কেরামের যুহদ ও ভোগবিমুখতার পরিচয় পাওয়া যায়। তারা সর্বকালের সেরা মানুষ। নিজেদের জীবনযাত্রায় তাদের সে জীবনধারার কথা স্মরণ রাখা আমাদের অবশ্যকর্তব্য।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
