রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪৫
অধ্যায়ঃ ৫৩ ভয় ও আশার সমন্বয়।
জান্নাত ও জাহান্নামের নৈকট্য
হাদীছ নং : ৪৪৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জান্নাত তোমাদের প্রত্যেকের জুতার ফিতার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। জাহান্নামও অনুরূপ - বুখারী।
হাদীছ নং : ৪৪৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জান্নাত তোমাদের প্রত্যেকের জুতার ফিতার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। জাহান্নামও অনুরূপ - বুখারী।
53 - باب الجمع بين الخوف والرجاء
445 - وعن ابن مسعود - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «الجَنَّةُ أقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ، وَالنَّارُ مِثْلُ ذلك». رواه البخاري. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে বোঝানো হচ্ছে জুতার ফিতা যেমন হাতের নাগালে থাকে, হাত বাড়ালেই ধরা যায়, তেমনি জান্নাত ও জাহান্নামও মানুষের নাগালের মধ্যেই। অর্থাৎ জান্নাতও খুব সহজেই লাভ করা যায় এবং মানুষ জাহান্নামেও পৌঁছে যায় খুব সহজেই। জান্নাতে পৌছার মাধ্যম হল সৎকর্ম। জাহান্নামে পৌঁছার মাধ্যম অসৎকর্ম। লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি অসৎকর্মই করা অতি সহজ। হারাম খাওয়া, মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা, নামায না পড়া ইত্যাদি সবই সহজ কাজ। ইচ্ছা করলেই অনায়াসে করা যায়। কেউ জাহান্নামে যেতে চাইলে এসব কাজ করে ফেলুক। সোজা জাহান্নামে পৌঁছে যাবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদের হেফাজত করুন।
অনুরূপ সৎকর্মসমূহও করা সহজ বটে। আল্লাহ তা'আলা সম্পূর্ণ দীনকেই সহজ করেছেন। ইচ্ছা করলেই করা যায়। নামায পড়া, যাকাত দেওয়া, সত্য বলা, ওয়াদা রক্ষা করা ইত্যাদি এমনকিছু কঠিন কাজ নয়, যা করতে অনেক কষ্ট-ক্লেশের প্রয়োজন হয়। কষ্ট-ক্লেশ যা, তা কেবলই মনের ব্যাপার। অলস মন সহজে এসব করতে চায় না। কেননা এগুলো করতে চাইলে বাড়তি আয়েশ ও আমোদ-ফুর্তি ছাড়তে হয়। নফস ও মনের পক্ষে তা ছাড়াটা কঠিন। এজন্যই অনেকের কাছে ইবাদত-বন্দেগী ও নেক আমল কঠিন মনে হয়। বাস্তবিকপক্ষে তা কঠিন নয়। মোটকথা সৎকর্ম ও অসৎকর্ম দু'টোই করা সহজ। তবে একটির পরিণাম অনন্ত অফুরন্ত সুখ-শান্তি, অন্যটির পরিণাম অসীম অকল্পনীয় দুঃখ-কষ্ট। তাই কোনওটিকেই হেলা করতে নেই। সৎকর্মের পরিণাম যেহেতু চিরসুখের জান্নাত, তাই কোনও সৎকর্মকেই তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। যখনই কোনও সৎকর্মের অবকাশ আসে, সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলা চাই। ছোট ও সহজ বলে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। কে জানে হয়তো সেই ছোট্ট কাজটিই আল্লাহ তা'আলার কাছে খুব পসন্দ হয়ে যাবে। হয়তো তার ভিত্তিতেই জান্নাতের ফয়সালা হয়ে যাবে।
অনুরূপ কোনও পাপকর্মকেই অবজ্ঞা করতে নেই। আপাতদৃষ্টিতে যা ক্ষুদ্র, অনেক সময় সেরকম পাপও কবর ও জাহান্নামের শাস্তির কারণ হয়ে যায়। একটুখানি আগুনও একটা পাড়া জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে পারে। পাপকর্ম আগুনই বটে। তাই খুব সতর্ক থাকা চাই যাতে ছোট-বড় কোনও পাপই কখনও না হয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সৎকর্ম দ্বারা জান্নাত লাভ করা খুব সহজ। তাই আমাদেরকে সদা সৎকর্মে যত্নবান থাকতে হবে।
খ. ছোট ছোট পাপও অনেক সময় সোজা জাহান্নামে পৌঁছে দেয়। তাই ছোট-বড় সবরকম পাপ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
অনুরূপ সৎকর্মসমূহও করা সহজ বটে। আল্লাহ তা'আলা সম্পূর্ণ দীনকেই সহজ করেছেন। ইচ্ছা করলেই করা যায়। নামায পড়া, যাকাত দেওয়া, সত্য বলা, ওয়াদা রক্ষা করা ইত্যাদি এমনকিছু কঠিন কাজ নয়, যা করতে অনেক কষ্ট-ক্লেশের প্রয়োজন হয়। কষ্ট-ক্লেশ যা, তা কেবলই মনের ব্যাপার। অলস মন সহজে এসব করতে চায় না। কেননা এগুলো করতে চাইলে বাড়তি আয়েশ ও আমোদ-ফুর্তি ছাড়তে হয়। নফস ও মনের পক্ষে তা ছাড়াটা কঠিন। এজন্যই অনেকের কাছে ইবাদত-বন্দেগী ও নেক আমল কঠিন মনে হয়। বাস্তবিকপক্ষে তা কঠিন নয়। মোটকথা সৎকর্ম ও অসৎকর্ম দু'টোই করা সহজ। তবে একটির পরিণাম অনন্ত অফুরন্ত সুখ-শান্তি, অন্যটির পরিণাম অসীম অকল্পনীয় দুঃখ-কষ্ট। তাই কোনওটিকেই হেলা করতে নেই। সৎকর্মের পরিণাম যেহেতু চিরসুখের জান্নাত, তাই কোনও সৎকর্মকেই তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। যখনই কোনও সৎকর্মের অবকাশ আসে, সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলা চাই। ছোট ও সহজ বলে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। কে জানে হয়তো সেই ছোট্ট কাজটিই আল্লাহ তা'আলার কাছে খুব পসন্দ হয়ে যাবে। হয়তো তার ভিত্তিতেই জান্নাতের ফয়সালা হয়ে যাবে।
অনুরূপ কোনও পাপকর্মকেই অবজ্ঞা করতে নেই। আপাতদৃষ্টিতে যা ক্ষুদ্র, অনেক সময় সেরকম পাপও কবর ও জাহান্নামের শাস্তির কারণ হয়ে যায়। একটুখানি আগুনও একটা পাড়া জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে পারে। পাপকর্ম আগুনই বটে। তাই খুব সতর্ক থাকা চাই যাতে ছোট-বড় কোনও পাপই কখনও না হয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সৎকর্ম দ্বারা জান্নাত লাভ করা খুব সহজ। তাই আমাদেরকে সদা সৎকর্মে যত্নবান থাকতে হবে।
খ. ছোট ছোট পাপও অনেক সময় সোজা জাহান্নামে পৌঁছে দেয়। তাই ছোট-বড় সবরকম পাপ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
