রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৬
ভূমিকা অধ্যায়
সৎকর্মের বহুবিধ পন্থা।
দূর থেকে মসজিদে আসা-যাওয়ার ফযীলত
হাদীছ নং: ১৩৬
হযরত জাবির রাযি. থেকে আরও বর্ণিত, বনু সালিমা (নামক গোত্রটি তাদের এলাকা ছেড়ে) মসজিদে নববীর কাছে চলে আসতে চাইল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এ খবর পৌঁছলে তিনি তাদের বললেন, আমার কাছে খবর পৌঁছেছে যে, তোমরা নাকি মসজিদের কাছে চলে আসতে চাচ্ছ? তারা বললেন, হাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এরূপ ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, হে বনূ সালিমা! তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক। তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে। তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক । তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে। -মুসলিম. সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৬৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৪৬০৬
অপর এক বর্ণনায় আছে, প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা। এ মর্মে ইমাম বুখারী রহ. ও হযরত আনাস রাযি.-এর সূত্রে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১২০৩৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৭৮৪)
বনু সালিমা হচ্ছে আনসারদের একটি প্রসিদ্ধ গোত্র।
হাদীছ নং: ১৩৬
হযরত জাবির রাযি. থেকে আরও বর্ণিত, বনু সালিমা (নামক গোত্রটি তাদের এলাকা ছেড়ে) মসজিদে নববীর কাছে চলে আসতে চাইল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এ খবর পৌঁছলে তিনি তাদের বললেন, আমার কাছে খবর পৌঁছেছে যে, তোমরা নাকি মসজিদের কাছে চলে আসতে চাচ্ছ? তারা বললেন, হাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এরূপ ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, হে বনূ সালিমা! তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক। তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে। তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক । তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে। -মুসলিম. সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৬৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৪৬০৬
অপর এক বর্ণনায় আছে, প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা। এ মর্মে ইমাম বুখারী রহ. ও হযরত আনাস রাযি.-এর সূত্রে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১২০৩৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৭৮৪)
বনু সালিমা হচ্ছে আনসারদের একটি প্রসিদ্ধ গোত্র।
مقدمة الامام النووي
13 - باب في بيان كثرة طرق الخير
136 - العشرون: عَنْهُ، قَالَ: أراد بنو سَلِمَةَ أَن يَنتقِلوا قرب المسجِدِ فبلغ ذلِكَ رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ لهم: «إنَّهُ قَدْ بَلَغَني أنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنتَقِلُوا قُربَ المَسجِد؟» فقالُوا: نَعَمْ، يَا رَسُول اللهِ قَدْ أَرَدْنَا ذلِكَ. فَقَالَ: «بَنِي سَلِمَةَ، دِيَارَكُمْ، تُكْتَبْ آثَارُكُمْ، ديَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ». رواه مسلم. (1)
وفي روايةٍ: «إنَّ بِكُلِّ خَطوَةٍ دَرَجَةً». رواه مسلم.
رواه البخاري أيضًا بِمَعناه مِنْ رواية أنس - رضي الله عنه.
وَ «بَنُو سَلِمَةَ» بكسر اللام: قبيلة معروفة مِنَ الأنصار - رضي الله عنهم - وَ «آثَارُهُمْ»: خطاهُم.
وفي روايةٍ: «إنَّ بِكُلِّ خَطوَةٍ دَرَجَةً». رواه مسلم.
رواه البخاري أيضًا بِمَعناه مِنْ رواية أنس - رضي الله عنه.
وَ «بَنُو سَلِمَةَ» بكسر اللام: قبيلة معروفة مِنَ الأنصار - رضي الله عنهم - وَ «آثَارُهُمْ»: خطاهُم.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বনু সালিমার লোকজন মসজিদে নববীর কাছে চলে আসতে চেয়েছিলেন নেক উদ্দেশ্যেই। তারা মনে করেছিলেন মসজিদের কাছে থাকলে জামাত ধরা সহজ হবে এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে দীনী ইলম শেখারও সুযোগ বেশি পাবেন। তা সত্ত্বেও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাদের এলাকা ছেড়ে আসতে নিষেধ করলেন। নিষেধ করলেন এ কারণে যে, যদিও কাছে আসার ভালো কিছু দিক রয়েছে, কিন্তু দূর থেকে আসার যে স্বতন্ত্র ফযীলত আছে তা তো পাবে না। সে ফযীলত যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝানোর জন্য তিনি দু'-দু'বার বললেন- “তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক। তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে। তোমরা আপন বাসভূমিতেই থাক। তোমাদের পদক্ষেপসমূহ লেখা হবে”।
অর্থাৎ মসজিদ থেকে দূরে থাকায় তোমাদের বেশি পথ হাঁটতে হবে। তাতে তোমাদের পদক্ষেপ-সংখ্যা অনেক বেশি হবে। যত পদক্ষেপ তত ছাওয়াব। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَ أَثَارَهُمْ
অর্থ : আমি লিখে রাখি তারা (আখিরাতের জন্য) যা অগ্রিম পাঠায় এবং তাদের পদক্ষেপসমূহ। সূরা ইয়াসীন, আয়াত ১২
অর্থাৎ নেক আমলের জন্য পথ চলতে গিয়ে যত কদম ফেলা হয় তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে ছাওয়াব লেখা হয়। বলাবাহুল্য, মসজিদে যাতায়াত করা অনেক বড় নেক আমল। তাই এর প্রত্যেকটি কদমের বিনিময়েও ছাওয়াব লেখা হয়ে থাকে। যেমন অপর এক হাদীছে আছে, প্রত্যেক কদমে একটি গুনাহ মাফ হয় এবং একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। কাজেই দূর থেকে মসজিদে আসতে যেহেতু তোমাদের অনেক বেশি কদম পড়বে, সেহেতু তোমাদের গুনাহও অনেক বেশি মাফ হবে এবং মর্যাদাও অনেক বেশি উঁচু হবে। এমন ফযীলত তোমরা ছাড়বে কেন? কাছে চলে আসলে তো এটা পাবে না। তাই আপন জায়গায়ই থাক। সুতরাং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরামর্শ মোতাবেক তারা বাসস্থান পরিবর্তনের ইচ্ছা ত্যাগ করে আগের জায়গায়ই থেকে গেলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানা গেল কারও বাড়ি মসজিদ থেকে দূরে হওয়া দোষের নয়, যদি উদ্দেশ্য থাকে দূর থেকে মসজিদে আসার ছাওয়াব হাসিল করা।
খ. মসজিদে পায়ে হেঁটে আসা উত্তম। তাতে প্রত্যেক কদমে গুনাহ মাফ হয় ও মর্যাদা বাড়ে।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিক্ষা পাওয়া যায় দীনী বিষয়ে 'উলামায়ে কিরামের পরামর্শ মেনে চলা বাঞ্ছনীয় ।
ঘ. দীনী মুরুব্বীর কর্তব্য তার অনুসারীকে দীনের ব্যাপারে উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া।
অর্থাৎ মসজিদ থেকে দূরে থাকায় তোমাদের বেশি পথ হাঁটতে হবে। তাতে তোমাদের পদক্ষেপ-সংখ্যা অনেক বেশি হবে। যত পদক্ষেপ তত ছাওয়াব। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَ أَثَارَهُمْ
অর্থ : আমি লিখে রাখি তারা (আখিরাতের জন্য) যা অগ্রিম পাঠায় এবং তাদের পদক্ষেপসমূহ। সূরা ইয়াসীন, আয়াত ১২
অর্থাৎ নেক আমলের জন্য পথ চলতে গিয়ে যত কদম ফেলা হয় তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে ছাওয়াব লেখা হয়। বলাবাহুল্য, মসজিদে যাতায়াত করা অনেক বড় নেক আমল। তাই এর প্রত্যেকটি কদমের বিনিময়েও ছাওয়াব লেখা হয়ে থাকে। যেমন অপর এক হাদীছে আছে, প্রত্যেক কদমে একটি গুনাহ মাফ হয় এবং একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। কাজেই দূর থেকে মসজিদে আসতে যেহেতু তোমাদের অনেক বেশি কদম পড়বে, সেহেতু তোমাদের গুনাহও অনেক বেশি মাফ হবে এবং মর্যাদাও অনেক বেশি উঁচু হবে। এমন ফযীলত তোমরা ছাড়বে কেন? কাছে চলে আসলে তো এটা পাবে না। তাই আপন জায়গায়ই থাক। সুতরাং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরামর্শ মোতাবেক তারা বাসস্থান পরিবর্তনের ইচ্ছা ত্যাগ করে আগের জায়গায়ই থেকে গেলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানা গেল কারও বাড়ি মসজিদ থেকে দূরে হওয়া দোষের নয়, যদি উদ্দেশ্য থাকে দূর থেকে মসজিদে আসার ছাওয়াব হাসিল করা।
খ. মসজিদে পায়ে হেঁটে আসা উত্তম। তাতে প্রত্যেক কদমে গুনাহ মাফ হয় ও মর্যাদা বাড়ে।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিক্ষা পাওয়া যায় দীনী বিষয়ে 'উলামায়ে কিরামের পরামর্শ মেনে চলা বাঞ্ছনীয় ।
ঘ. দীনী মুরুব্বীর কর্তব্য তার অনুসারীকে দীনের ব্যাপারে উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)