আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৫৪
৩৩১০. মুসলিম ও মুশরিকদের মিশ্রিত মজলিসে সালাম দেয়া।
৫৮২০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার নবী (ﷺ) এমন একটি গাধার উপর সওয়ার হলেন, যার জিনের নীচে ফাদাকের তৈরী একখানি চাঁদর ছিল। তিনি উসামা ইবনে যায়দকে নিজের পেছনে বসিয়ে ছিলেন। তখন তিনি হারিস ইবনে খাযরাজ গোত্রের সা’দ ইবনে উবাদা এর শুশ্রুষা-খোঁজখবর নেয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। এটি ছিল বদর যুদ্ধের আগের ঘটনা। তিনি এমন এক মজলিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে মুসলমান, প্রতিমাপূজক মুশরিক ও ইয়াহুদী ছিল। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুলও ছিল। আর এ মজলিসে আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)ও উপস্থিত ছিলেন। যখন সওয়ারীর পদাঘাতে উড়ন্ত ধূলাবালী মজলিসকে ঢেকে ফেলছিল, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তার চাঁদর দিয়ে তার নাক ঢাকল।
তারপর বললঃ তোমরা আমাদের উপর ধুলাবালি উড়িয়োনা। তখন নবী (ﷺ) তাদের সালাম করলেন। তারপর এখানে থামলেন ও সওয়ারী থেকে নেমে তাদেরকে আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিলেন এবং তাদের কাছে কুরআন পাঠ করলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল বললঃ হে আগত ব্যক্তি! আপনার এ কথার চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। তবে আপনি যা বলছেন, যদিও তা সত্য, তবুও আপনি আমাদের মজলিসে এসব বলে আমাদের বিরক্ত করবেন না। আপনি আপনার নিজ ঠিকানায় ফিরে যান। এরপর আমাদের মধ্য থেকে কেউ আপনার নিকট গেলে তাকে এসব কথা বলবেন। তখন ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের মজলিসে আসবেন, আমরা এসব কথা পছন্দ করি। তখন মুসলিম, মুশরিক ও ইয়াহুদীদের মধ্যে পরস্পর গালাগালি শুরু হয়ে গেল। এমনকি তারা একে অন্যের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের থামাতে লাগলেন। অবশেষে তিনি তার সওয়ারীতে আরোহণ করে রওয়ানা হলেন এবং সা’দ ইবনে উবাদার কাছে পৌছলেন। তারপর তিনি বললেনঃ হে সা’দ! আবু হুবাব অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই কি বলেছে, তা কি তুমি শুননি? সে এমন এমন কথাবার্তা বলেছে। সা’দ (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তাকে মাফ করে দিন। আর তার কথা ছেড়ে দিন। আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাআলা আপনাকে যেসব নিআমত দান করার ছিল, তা সবই দান করেছেন। পক্ষান্তরে এ শহরের অধিবাসীরা তো পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা তাকে রাজ মুকুট পরাবে। আর তার মাথায় রাজকীয় পাগড়ী বেধে দিবে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে দ্বীনে হক দান করেছেন, তা দিয়ে তিনি তাদের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছেন। ফলে সে (ক্ষোভানলে) জ্বলছে, এজন্যই সে আপনার সঙ্গে এরূপ আচরণ করেছে, যা আপনি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন। তারপর নবী (ﷺ) তাকে মাফ করে দিলেন।
তারপর বললঃ তোমরা আমাদের উপর ধুলাবালি উড়িয়োনা। তখন নবী (ﷺ) তাদের সালাম করলেন। তারপর এখানে থামলেন ও সওয়ারী থেকে নেমে তাদেরকে আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিলেন এবং তাদের কাছে কুরআন পাঠ করলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল বললঃ হে আগত ব্যক্তি! আপনার এ কথার চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। তবে আপনি যা বলছেন, যদিও তা সত্য, তবুও আপনি আমাদের মজলিসে এসব বলে আমাদের বিরক্ত করবেন না। আপনি আপনার নিজ ঠিকানায় ফিরে যান। এরপর আমাদের মধ্য থেকে কেউ আপনার নিকট গেলে তাকে এসব কথা বলবেন। তখন ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের মজলিসে আসবেন, আমরা এসব কথা পছন্দ করি। তখন মুসলিম, মুশরিক ও ইয়াহুদীদের মধ্যে পরস্পর গালাগালি শুরু হয়ে গেল। এমনকি তারা একে অন্যের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের থামাতে লাগলেন। অবশেষে তিনি তার সওয়ারীতে আরোহণ করে রওয়ানা হলেন এবং সা’দ ইবনে উবাদার কাছে পৌছলেন। তারপর তিনি বললেনঃ হে সা’দ! আবু হুবাব অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই কি বলেছে, তা কি তুমি শুননি? সে এমন এমন কথাবার্তা বলেছে। সা’দ (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তাকে মাফ করে দিন। আর তার কথা ছেড়ে দিন। আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাআলা আপনাকে যেসব নিআমত দান করার ছিল, তা সবই দান করেছেন। পক্ষান্তরে এ শহরের অধিবাসীরা তো পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা তাকে রাজ মুকুট পরাবে। আর তার মাথায় রাজকীয় পাগড়ী বেধে দিবে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে দ্বীনে হক দান করেছেন, তা দিয়ে তিনি তাদের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছেন। ফলে সে (ক্ষোভানলে) জ্বলছে, এজন্যই সে আপনার সঙ্গে এরূপ আচরণ করেছে, যা আপনি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন। তারপর নবী (ﷺ) তাকে মাফ করে দিলেন।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যদি এমন কোনও স্থানে যাওয়া হয়, যেখানে মুসলিম-অমুসলিম বিভিন্ন শ্রেণির লোক আছে, তবে সালাম দেওয়া হবে কি না? আলোচ্য হাদীছটিতে তার উত্তর পাওয়া যায়। একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম একটি মজলিসের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে মজলিসে মুসলিম, ইহুদি ও অগ্নিপূজারী তিনও শ্রেণির লোক ছিল।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
