আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৭৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬২০৭
৩২৭৭. মুশরিকের কুনিয়াত।
মিসওয়ার (রাযিঃ) বলেন যে, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, "কিন্তু যদি ইবনে আবু তালিব চায়"।
মিসওয়ার (রাযিঃ) বলেন যে, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, "কিন্তু যদি ইবনে আবু তালিব চায়"।
৫৭৭৪। আবুল ইয়ামান ও ইসমাঈল (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি গাধার উপর সওয়ার ছিলেন। তখন তাঁর গায়ে একখানা ফাদাকী চাদর ছিল এবং তার পেছনে উসামা বসা ছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধের পূর্বে সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) এর শুশ্রুষা করার উদ্দেশ্যে হারিস ইবনে খাযরাজ গোত্র অভিমুখে রওয়ানা হচ্ছিলেন। তারা চলতে চলতে এক মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল ছিল। এটা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর (প্রকাশ্যে) ইসলাম গ্রহণের আগের ঘটনা। মজলিসটি ছিল মিশ্রিত; এতে ছিলেন মুসলমান, মুশরিক, মূর্তিপূজক ও ইয়াহুদী। মুসলমানদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)ও ছিলেন। সওয়ারীর চলার কারণে যখন উড়ন্ত ধূলাবালি মজলিসকে ঢেকে ফেলেছিল, তখন ইবনে উবাই তার চাদর দিয়ে তার নাক ঢেকে নিয়ে বললঃ তোমরা আমাদের উপর ধূলি উড়িওনা। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সালাম করলেন এবং সওয়ারী থামিয়ে নামলেন। তারপর তিনি তাদের আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়ে কুরআন পড়ে শোনালেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল তাঁকে বললঃ হে ব্যক্তি! আপনি যা বলছেন যদি তা ঠিক হয়ে থাকে, তবে তার চেয়ে উত্তম কথা আর কিছুই নেই। তবে আপনি আমাদের মজলিসসমূহে এসে আমাদের কষ্ট দিয়েন না। যে আপনার কাছে যায়, তাকেই আপনি উপদেশ দিবেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বললেন, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের মজলিস সমূহে আসবেন। আমরা আপনার এ বক্তব্য পছন্দ করি। তখন মজলিসের মুসলমান, মুশরিক ও ইয়াহুদীরা পরস্পর গালমন্দ করতে লাগল। এমনকি তাদের মধ্যে হাঙ্গামা হওয়ার উপক্রম হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের থামাতে লাগলেন, অবশেষে তারা নীরব হল। তারপর নবী (ﷺ) নিজ সওয়ারীর উপর সওয়ার হয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন এবং সা'দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) এর নিকট পৌছলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে সা’দ! আবু হুবার অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই আমাকে যা বলেছে, তা কি তুমি শোননি? সে এমন এমন কথা বলেছে। তখন সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা আপনার প্রতি কুরবান। আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তার কথা ছেড়ে দিন। সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনার উপর কুরআন নাযিল করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আপনার প্রতি হক এমন সময় নাযিল করেছেন, যখন এই শহরের অধিবাসীরা পরস্পর পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা তাকে রাজ মুকুট পরাবে এবং (রাজকীয়) পাগড়ী তার মাথায় বাঁধবে। কিন্তু যখন আল্লাহ আপনাকে যে সত্য দিয়েছেন তা দিয়ে সেই সিদ্ধান্তকে নস্যাৎ করে দিলেন, তখন সে এতে রাগান্বিত হয়ে পড়েছে। এজন্যই সে আপনার সাথে এ ধরনের আচরণ করেছে, যা আপনি প্রত্যক্ষ করলেন। তারপর তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন, আর আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ তো এমনিতেই মুশরিক ও কিতাবীদের ক্ষমা করে দিতেন এবং তাদের নির্যাতনে ধৈর্যধারণ করতেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল, তোমরা তাদের থেকে নিশ্চয়ই আগের কথা শুনতে পাবে ...... শেষ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেনঃ কিতাবীরা অনেকেই কামনা করে......। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাদের ক্ষমা করতে থাকেন। অবশেষে তাঁকে তাদের সাথে জিহাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বদর অভিযান চালালেন, তখন এর মাধ্যমে আল্লাহ কাফির বীর পুরুষদের এবং কুরাইশদের সরদারদের মধ্যে যারা নিহত হওয়ার তাদের হত্যা করেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ বিজয়ীবেশে গনিমত নিয়ে ফিরলেন। তাদের সাথে কাফিরদের অনেক বাহাদুর ও কুরাইশদের অনেক নেতাও বন্দী হয়ে আসে। সে সময় আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল ও তার সঙ্গী মূর্তিপূজক মুশরিকরা বললঃ এ ব্যাপারে অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম তো প্রবল হয়ে পড়ছে। সুতরাং এখন তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাতে ইসলামের বায়আত কর। তারপর তারা সবাই (বাহ্যত) ইসলাম গ্রহণ করল।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল, তোমরা তাদের থেকে নিশ্চয়ই আগের কথা শুনতে পাবে ...... শেষ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেনঃ কিতাবীরা অনেকেই কামনা করে......। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাদের ক্ষমা করতে থাকেন। অবশেষে তাঁকে তাদের সাথে জিহাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বদর অভিযান চালালেন, তখন এর মাধ্যমে আল্লাহ কাফির বীর পুরুষদের এবং কুরাইশদের সরদারদের মধ্যে যারা নিহত হওয়ার তাদের হত্যা করেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ বিজয়ীবেশে গনিমত নিয়ে ফিরলেন। তাদের সাথে কাফিরদের অনেক বাহাদুর ও কুরাইশদের অনেক নেতাও বন্দী হয়ে আসে। সে সময় আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল ও তার সঙ্গী মূর্তিপূজক মুশরিকরা বললঃ এ ব্যাপারে অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম তো প্রবল হয়ে পড়ছে। সুতরাং এখন তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাতে ইসলামের বায়আত কর। তারপর তারা সবাই (বাহ্যত) ইসলাম গ্রহণ করল।
بَابُ كُنْيَةِ المُشْرِكِ وَقَالَ مِسْوَرٌ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِلَّا أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ»
6207 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ عَلَى حِمَارٍ، عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَدَكِيَّةٌ، وَأُسَامَةُ وَرَاءَهُ، يَعُودُ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فِي بَنِي حَارِثِ بْنِ الخَزْرَجِ، قَبْلَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَسَارَا حَتَّى [ص:46] مَرَّا بِمَجْلِسٍ فِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ، فَإِذَا فِي المَجْلِسِ أَخْلاَطٌ مِنَ المُسْلِمِينَ وَالمُشْرِكِينَ عَبَدَةِ الأَوْثَانِ وَاليَهُودِ، وَفِي المُسْلِمِينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَلَمَّا غَشِيَتِ المَجْلِسَ عَجَاجَةُ الدَّابَّةِ، خَمَّرَ ابْنُ أُبَيٍّ أَنْفَهُ بِرِدَائِهِ وَقَالَ: لاَ تُغَبِّرُوا عَلَيْنَا، فَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ وَقَفَ، فَنَزَلَ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ القُرْآنَ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ: أَيُّهَا المَرْءُ، لاَ أَحْسَنَ مِمَّا تَقُولُ إِنْ كَانَ حَقًّا، فَلاَ تُؤْذِنَا بِهِ فِي مَجَالِسِنَا، فَمَنْ جَاءَكَ فَاقْصُصْ عَلَيْهِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَاغْشَنَا فِي مَجَالِسِنَا، فَإِنَّا نُحِبُّ ذَلِكَ، فَاسْتَبَّ المُسْلِمُونَ وَالمُشْرِكُونَ وَاليَهُودُ حَتَّى كَادُوا يَتَثَاوَرُونَ، فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخَفِّضُهُمْ حَتَّى سَكَتُوا، ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَابَّتَهُ، فَسَارَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْ سَعْدُ، أَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالَ أَبُو حُبَابٍ - يُرِيدُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَيٍّ - قَالَ كَذَا وَكَذَا» فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ، اعْفُ عَنْهُ وَاصْفَحْ، فَوَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الكِتَابَ، لَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالحَقِّ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ، وَلَقَدِ اصْطَلَحَ أَهْلُ هَذِهِ البَحْرَةِ عَلَى أَنْ يُتَوِّجُوهُ وَيُعَصِّبُوهُ بِالعِصَابَةِ، فَلَمَّا رَدَّ اللَّهُ ذَلِكَ بِالحَقِّ الَّذِي أَعْطَاكَ شَرِقَ بِذَلِكَ، فَذَلِكَ فَعَلَ بِهِ مَا رَأَيْتَ. فَعَفَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَعْفُونَ عَنِ المُشْرِكِينَ وَأَهْلِ الكِتَابِ كَمَا أَمَرَهُمُ اللَّهُ، وَيَصْبِرُونَ عَلَى الأَذَى، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الكِتَابَ} [آل عمران: 186] الآيَةَ. وَقَالَ: {وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ} [البقرة: 109] فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَأَوَّلُ فِي العَفْوِ عَنْهُمْ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ حَتَّى أَذِنَ لَهُ فِيهِمْ، فَلَمَّا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدْرًا، فَقَتَلَ اللَّهُ بِهَا مَنْ قَتَلَ مِنْ صَنَادِيدِ الكُفَّارِ وَسَادَةِ قُرَيْشٍ، فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مَنْصُورِينَ غَانِمِينَ، مَعَهُمْ أُسَارَى مِنْ صَنَادِيدِ الكُفَّارِ، وَسَادَةِ قُرَيْشٍ، قَالَ ابْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ المُشْرِكِينَ عَبَدَةِ الأَوْثَانِ: هَذَا أَمْرٌ قَدْ تَوَجَّهَ، فَبَايِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الإِسْلاَمِ، فَأَسْلَمُوا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যদি এমন কোনও স্থানে যাওয়া হয়, যেখানে মুসলিম-অমুসলিম বিভিন্ন শ্রেণির লোক আছে, তবে সালাম দেওয়া হবে কি না? আলোচ্য হাদীছটিতে তার উত্তর পাওয়া যায়। একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম একটি মজলিসের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে মজলিসে মুসলিম, ইহুদি ও অগ্নিপূজারী তিনও শ্রেণির লোক ছিল।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
