আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৭১১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪১
৩২৫০. মেজবানকে মেহমানের (এ কথা) বলা যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না। এ সম্পর্কে নবী (ﷺ) থেকে আবু জুহায়ফার হাদীস রয়েছে।
৫৭১১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার আবু বকর (রাযিঃ) তার একজন কিংবা কয়েকজন মেহমান নিয়ে এলেন এবং সন্ধ্যার সময় নবী (ﷺ) এর কাছে গেলেন। তিনি ফিরে এলে আমার আম্মা তাকে বললেনঃ আপনি মেহমানকে, কিংবা বললেন, মেহমানদের (ঘরে) রেখে (এতো) রাতে কোথায় আটকা পড়েছিলেন? তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেনঃ আমি তাদের সামনে খাবার দিয়েছিলাম কিন্তু তারা বা সে তা খেতে অস্বীকার করল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) রেগে গালমন্দ বললেন ও বদদুআ করলেন। আর শপথ করলেন যে, তিনি খাবার খাবেন না। আমি লুকিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে বললেনঃ ওরে মূর্খ! তখন মহিলা (আমার আম্মা)ও কসম করলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি না খাবেন, ততক্ষণ আম্মাও খাবেন না।
এদিকে মেহমানটি বা মেহমানরাও কসম খেয়ে বসলেন যে, যতক্ষণ তিনি না খান, ততক্ষণ পর্যন্ত তারাও খাবেন না। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শয়তান থেকে। তারপর তিনি খাবার আনতে বললেন। আর তিনি নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। কিন্তু তারা খাওয়া আরম্ভ করে যতবারই লুকমা উঠাতে লাগলেন, তার নীচ থেকে তার চেয়েও বেশী খাবার বৃদ্ধি পেতে লাগল। তখন তিনি তার স্ত্রীকে ডেকে বললেনঃ হে বনী ফেরাসের বোন, এ কি? তিনি বললেনঃ আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো আমাদের পূর্বের খাবার থেকে এখন অনেক বেশী দেখছি। তখন সবাই খেলেন এবং তা থেকে তিনি নবী (ﷺ) এর খেদমতে কিছু পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি বর্ণনা করেন যে, তা থেকে তিনিও খেয়েছিলেন।
এদিকে মেহমানটি বা মেহমানরাও কসম খেয়ে বসলেন যে, যতক্ষণ তিনি না খান, ততক্ষণ পর্যন্ত তারাও খাবেন না। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শয়তান থেকে। তারপর তিনি খাবার আনতে বললেন। আর তিনি নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। কিন্তু তারা খাওয়া আরম্ভ করে যতবারই লুকমা উঠাতে লাগলেন, তার নীচ থেকে তার চেয়েও বেশী খাবার বৃদ্ধি পেতে লাগল। তখন তিনি তার স্ত্রীকে ডেকে বললেনঃ হে বনী ফেরাসের বোন, এ কি? তিনি বললেনঃ আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো আমাদের পূর্বের খাবার থেকে এখন অনেক বেশী দেখছি। তখন সবাই খেলেন এবং তা থেকে তিনি নবী (ﷺ) এর খেদমতে কিছু পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি বর্ণনা করেন যে, তা থেকে তিনিও খেয়েছিলেন।
بَابُ قَوْلِ الضَّيْفِ لِصَاحِبِهِ: لاَ آكُلُ حَتَّى تَأْكُلَ فِيهِ حَدِيثُ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
6141 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِضَيْفٍ لَهُ أَوْ بِأَضْيَافٍ لَهُ، فَأَمْسَى عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا جَاءَ، قَالَتْ لَهُ أُمِّي: احْتَبَسْتَ عَنْ ضَيْفِكَ - أَوْ عَنْ أَضْيَافِكَ - اللَّيْلَةَ، قَالَ: مَا عَشَّيْتِهِمْ؟ فَقَالَتْ: عَرَضْنَا عَلَيْهِ - أَوْ عَلَيْهِمْ - فَأَبَوْا - أَوْ فَأَبَى - فَغَضِبَ أَبُو بَكْرٍ، فَسَبَّ وَجَدَّعَ، وَحَلَفَ لاَ يَطْعَمُهُ، فَاخْتَبَأْتُ أَنَا، فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ، فَحَلَفَتِ المَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ أَوِ الأَضْيَافُ، أَنْ لاَ يَطْعَمَهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: كَأَنَّ هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَدَعَا بِالطَّعَامِ، فَأَكَلَ وَأَكَلُوا، فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلَّا رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ: يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ، مَا هَذَا؟ فَقَالَتْ: «وَقُرَّةِ عَيْنِي، إِنَّهَا الآنَ لَأَكْثَرُ قَبْلَ أَنْ نَأْكُلَ، فَأَكَلُوا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ أَنَّهُ أَكَلَ مِنْهَا»


বর্ণনাকারী: