আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১৩
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
৫৬৮৩। মক্কী ও মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার নবী (ﷺ) খেজুরের পাতা দিয়ে, অথবা চাটাই দিয়ে একটি ছোট হুজরা তৈরী করলেন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঐ হুজরায় (রাতে নফল) নামায আদায় করতে লাগলেন। তখন একদল লোক তাঁর খোঁজে এসে তার সঙ্গে নামায আদায় করতে লাগল। পরবর্তী এক রাতে লোকজন সেখানে এসে হাযির হল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দেরী করলেন এবং তাদের দিকে বেরিয়ে আসলেন না। তারা উচ্চস্বরে আওয়াজ দিতে লাগলেন এবং ঘরের দরজায় কংকর নিক্ষেপ করতে লাগলেন। তখন তিনি রাগাম্বিত হয়ে তাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ তোমরা যা করছ তাতে আমি আশঙ্কা করছি যে, সম্ভবত এটি না তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয়। সুতরাং তোমাদের উচিত তোমরা ঘরেই নামায আদায় করবে। কারণ ফরয ব্যতীত অন্য নামায নিজ নিজ ঘরে পড়াই উত্তম।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয ব্যতীত যে কোন নামাযই ঘরে পড়া উত্তম। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/২২) সহীহ সনদে হযরত আব্দুল্লাহ বিন সাআদ রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, আমার ঘর মাসজিদের কত নিকটে। এতদ্‌সত্ত্বেও আমার নিকট মাসজিদে নামায আদায় করার চেয়ে ঘরে নামায আদায় করা উত্তম। তবে ফরয নামায হলে ভিন্ন কথা। (ইবনে মাযা-১৩৭৮) শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
অবশ্য ফরযের পরের ছুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ না পড়ে বের হয়ে গেলে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে, উক্ত নামায হয়তো আর পড়া হবে না তাহলে মাসজিদ থেকে ছুন্নাত পড়ে বের হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন