আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৬৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৯৩
৩২৩০. মুচকি হাসি ও হাসি প্রসঙ্গে।
৫৬৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে মাহবুব ও খলীফা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট জুমআর দিন মদীনায় এল, যখন তিনি খুতবা দিচ্ছিলেন। সে বললঃ বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে, আপনি বৃষ্টিপাতের জন্য আপনার রবের নিকট দুআ করুন। তখন নবীজী আকাশের দিকে তাকালেন, তখন আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখছিলাম না। তখন তিনি বৃষ্টিপাতের জন্য দুআ করলেন। এ সময় মেঘ এসে মিলিত হতে লাগল। তারপর এমন বৃষ্টিপাত হল যে, মদীনার খাল-নালাগুলো প্রবাহিত হতে লাগল এবং ক্রমাগত পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকল, মাঝে আর বিরতি হয়নি।
পরবর্তী জুমআয় যখন নবী (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমরা তো ডুবে গেছি। আপনি আপনার রবের কাছে দুআ করুন, যেন তিনি আমাদের উপর থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। তখন তিনি হেসে দিলেন এবং দু’বার অথবা তিনবার দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! (বৃষ্টি) আশেপাশে নিয়ে যান, আমাদের উপর নয়। তখন মেঘপুঞ্জ দূর হয়ে গিয়ে মদীনার আশে-পাশে বর্ষণ করতে লাগল। আমাদের উপর আর বর্ষিত হল না। এতে আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) এর মুজিযা ও তার দুআ কবুল হওয়ার নিদর্শন দেখান।
পরবর্তী জুমআয় যখন নবী (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমরা তো ডুবে গেছি। আপনি আপনার রবের কাছে দুআ করুন, যেন তিনি আমাদের উপর থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। তখন তিনি হেসে দিলেন এবং দু’বার অথবা তিনবার দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! (বৃষ্টি) আশেপাশে নিয়ে যান, আমাদের উপর নয়। তখন মেঘপুঞ্জ দূর হয়ে গিয়ে মদীনার আশে-পাশে বর্ষণ করতে লাগল। আমাদের উপর আর বর্ষিত হল না। এতে আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) এর মুজিযা ও তার দুআ কবুল হওয়ার নিদর্শন দেখান।
باب التَّبَسُّمِ وَالضَّحِكِ
6093 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، وَهُوَ يَخْطُبُ بِالْمَدِينَةِ، فَقَالَ: قَحَطَ المَطَرُ، فَاسْتَسْقِ رَبَّكَ. فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ وَمَا نَرَى مِنْ سَحَابٍ، فَاسْتَسْقَى، فَنَشَأَ السَّحَابُ بَعْضُهُ إِلَى بَعْضٍ، ثُمَّ مُطِرُوا حَتَّى سَالَتْ مَثَاعِبُ المَدِينَةِ، فَمَا زَالَتْ إِلَى الجُمُعَةِ المُقْبِلَةِ مَا تُقْلِعُ، ثُمَّ قَامَ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَقَالَ: غَرِقْنَا، فَادْعُ رَبَّكَ يَحْبِسْهَا عَنَّا، فَضَحِكَ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا» مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، فَجَعَلَ السَّحَابُ يَتَصَدَّعُ عَنِ المَدِينَةِ يَمِينًا وَشِمَالًا، يُمْطَرُ مَا حَوَالَيْنَا وَلاَ يُمْطِرُ مِنْهَا شَيْءٌ [ص:25]، يُرِيهِمُ اللَّهُ كَرَامَةَ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِجَابَةَ دَعْوَتِهِ
