ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৪০. অপরাধ ও সাজার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫১০
কাসামার ক্ষেত্রে বিবাদীগণ শপথ করবেন
(২৫১০) তাবিয়ি সুলাইমান ইবন ইয়াসার বলেন, বনু সা'দ গোত্রের একব্যক্তি ঘোড়া চালিয়ে যাওয়ার সময় তার ঘোড়াটি জুহাইনা গোত্রের একব্যক্তির আঙুল মাড়িয়ে দেয়। আঙুলের রক্তক্ষরণে লোকটি মারা যায়। তখন উমার ইবনুল খাত্তাব যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদেরকে (বনু সা'দ গোত্রের মানুষদেরকে) বললেন, উক্ত ক্ষতের কারণে তার মৃত্যু হয় নি, এই মর্মে তোমরা কি পঞ্চাশটি শপথ করবে? তারা এরূপ শপথ করতে অস্বীকার করেন এবং এতে পাপ হতে পারে বলে তারা ভয় পান। তখন তিনি অন্যদেরকে (বাদীগণকে) বলেন, তোমরা কি শপথ করবে (যে, উক্ত ক্ষতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে ) ? তারাও এরূপ শপথ করতে অস্বীকার করেন । তখন উমার বনু সা'দ গোত্রকে অর্ধেক দিয়াত প্রদানের নির্দেশ দেন।
عن سليمان بن يسار أن رجلا من بني سعد بن ليث أجرى فرسا فوطئ على إصبع رجل من جهينة فنزي منها فمات فقال عمر بن الخطاب رضي الله عنه للذي ادعي عليهم أتحلفون بالله خمسين يمينا ما مات منها فأبوا وتخرجوا وقال للآخرين أتحلفون أنتم فأبوا فقضى عمر بن الخطاب رضي الله عنه بشطر الدية على السعديين.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, উপরের হাদীসগুলো থেকে জানা যায় যে, কাসামা বা গণ-শপথের ক্ষেত্রে প্রথমে বাদীপক্ষকে প্রমাণ উপস্থিত করতে বলা হবে। তারা প্রমাণ উপস্থিত করতে ব্যর্থ হলে বিবাদীগণকে শপথ করতে নির্দেশ দেওয়া হবে কোনো কোনো হাদীসে এর বিপরীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক্ষেত্রে প্রথমেই বাদীকে শপথ করাতে হবে। ইসলামি বিচার ব্যবস্থার মূলনীতি হল, বাদীর উপর প্রমাণ উপস্থিত করার দায়িত্ব এবং বিবাদী শপথ করবে। এই মূলনীতিটি প্রথম পদ্ধতি, অর্থাৎ কাসামার ক্ষেত্রে বাদী থেকে প্রমাণ দাবি করা এবং বিবাদীকে শপথ করানোর পদ্ধতিই সমর্থন করে এবং এই অর্থের হাদীসগুলোকে বিপরীত অর্থের হাদীসগুলোর চেয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণ করে। আল্লাহই ভালো জানেন।
