ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩৯. বন্ধক রাখার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৫৩
বন্ধক বিনষ্ট হওয়া ও অন্যান্য বন্ধক বিষয়ক বিধানাবলি
(২৪৫৩) আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বন্ধক আটককৃত হবে না। বন্ধকের লাভ ও উপকারিতা লাভ করবে তার মালিক এবং এর দায়ভার ও তার মালিকের।
عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعا: لا يغلق الرهن لصاحبه غنمه وعليه غرمه.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, এর অর্থ হল, বন্ধককৃত দ্রব্যের মালিকানা বন্ধকগ্রহণকারী লাভ করবে না, বরং বন্ধকদাতারই থাকবে । বন্ধক এমনভাবে বন্ধকগ্রহণকারীর নিকট স্থায়ী আটক হবে না যে, তার মালিকানা সে পেয়ে যাবে এবং তার হাত থেকে তা ছাড়ানো যাবে না। জাহিলি যুগে এরূপ হত । কবি যুহাইর বলেন:
وفارقتك برهن لا فكاك له • يوم الوداع فأمسى الرهن قد غلقا
‘বিদায়ের দিনে এমন একটি বন্ধকের বিনিময়ে তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি যে বন্ধক কোনোভাবে ছাড়ানো যাবে না, ফলে বন্ধকটি আটক হয়ে গেল'।
তাহাবি সহীহ সনদে মদীনার প্রসিদ্ধ তাবিয়ি ফকীহ আবুয যিনাদ আব্দুল্লাহ ইবন যাকওয়ান (মৃত্যু ১৩০হি.) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদের (মদীনার তাবিয়ি) ফকীহগণ যাদের কথার উপরে চূড়ান্তভাবে নির্ভর করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়িব, উরওয়া ইবনুয যুবাইর, কাসিম ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবু বাকর, আবু বাকর ইবন আব্দুর রাহমান ইবনুল হারিস, খারিজা ইবন যাইদ ইবন সাবিত, উবাইদুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ- এরা সকলেই বলেছেন যে, বন্ধক যদি (বন্ধকগ্রহণকারীর নিকটে) নষ্ট হয়ে যায় এবং তার মূল্য জানা সম্ভব না হয় তবে বন্ধকের মধ্যে যা আছে তা-সহ গৃহীত বলে গণ্য হবে। (অর্থাৎ বন্ধকদাতা ও বন্ধকগ্রহণকারী কেউ কারো কাছে কিছু পাওনা দাবি করবেন না বা কেউ কাউকে কিছু ফেরত দিবেন না)। এদের মধ্যে কোনো কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এই বক্তব্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ।
وفارقتك برهن لا فكاك له • يوم الوداع فأمسى الرهن قد غلقا
‘বিদায়ের দিনে এমন একটি বন্ধকের বিনিময়ে তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি যে বন্ধক কোনোভাবে ছাড়ানো যাবে না, ফলে বন্ধকটি আটক হয়ে গেল'।
তাহাবি সহীহ সনদে মদীনার প্রসিদ্ধ তাবিয়ি ফকীহ আবুয যিনাদ আব্দুল্লাহ ইবন যাকওয়ান (মৃত্যু ১৩০হি.) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদের (মদীনার তাবিয়ি) ফকীহগণ যাদের কথার উপরে চূড়ান্তভাবে নির্ভর করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়িব, উরওয়া ইবনুয যুবাইর, কাসিম ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবু বাকর, আবু বাকর ইবন আব্দুর রাহমান ইবনুল হারিস, খারিজা ইবন যাইদ ইবন সাবিত, উবাইদুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ- এরা সকলেই বলেছেন যে, বন্ধক যদি (বন্ধকগ্রহণকারীর নিকটে) নষ্ট হয়ে যায় এবং তার মূল্য জানা সম্ভব না হয় তবে বন্ধকের মধ্যে যা আছে তা-সহ গৃহীত বলে গণ্য হবে। (অর্থাৎ বন্ধকদাতা ও বন্ধকগ্রহণকারী কেউ কারো কাছে কিছু পাওনা দাবি করবেন না বা কেউ কাউকে কিছু ফেরত দিবেন না)। এদের মধ্যে কোনো কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এই বক্তব্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ।
