আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৯৭
৩১৮০. সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেয়া ও আলিঙ্গন করা।
৫৫৭১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার হাসান ইবনে আলীকে চুম্বন করেন। ঐ সময় তার নিকট আকরা' ইবনে হাবিস তামিমী (রাযিঃ) বসা ছিলেন। আকরা ইবনে হাবিস (রাযিঃ) বললেনঃ আমার দশটি পুত্র আছে, আমি তাদের কাউকেই কোনদিন চুম্বন করিনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে তাকালেন, তারপর বললেনঃ যে দয়া করে না, তাকে দয়া করা হয় না।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছে জানানো হয়েছে যে, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় নাতি হাসান রাযি.-কে চুমু দিয়েছিলেন আর তা দেখে আকরা' ইব্ন হাবিস রাযি., যিনি তখন তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন, আশ্চর্য হয়ে যান। সম্ভবত এর আগে তিনি কখনও কারও দ্বারা কোনও শিশুকে চুমু খাওয়ার বিষয়টা দেখেননি। তাঁর কাছে এটা একটা অভিনব কাণ্ড মনে হয়েছিল। তাই বলে উঠেন, আমার তো দশ-দশটি সন্তান আছে, যাদের কাউকে আমি কখনও চুমু খাইনি।

হযরত আকরা— রাযি. ছিলেন তামীম গোত্রের লোক। তিনি গোত্রের একজন নেতা ছিলেন। প্রথমদিকে ইসলামের উপর তাঁর দৃঢ়তা ছিল না; দোদুল্যমান অবস্থায় ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নানাভাবে তাঁর মন জয়ের চেষ্টা করেন। পরিশেষে ঈমানের উপর তাঁর পরিপক্কতা আসে। তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে মক্কাবিজয় এবং হুনায়ন ও তায়েফের যুদ্ধে শরীক ছিলেন। পরবর্তীকালে ইয়ামামার যুদ্ধ, দূমাতুল জান্দালের যুদ্ধ, আম্বার বিজয় ও ইরাকের বিভিন্ন রণক্ষেত্রে লড়াই করেছেন। পরিশেষে হযরত উছমান রাযি.-এর আমলে ‘জূযাজান'-এর যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। কারও মতে তিনি ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হন।

হযরত আকরা রাযি. মরু অঞ্চলে বসবাসকারী একজন বেদুঈন ছিলেন। বেদুঈনগণ সাধারণত কঠোর ও রূঢ় চরিত্রের হয়ে থাকে। হযরত আকরা— রাযি.-এর মত একজন গোত্রপতি, যাঁর কিনা দশ-দশটি সন্তান ছিল, জানাচ্ছেন তিনি কখনও তাঁর কোনও সন্তানকে চুমু দেননি। এর দ্বারা বেদুঈন চরিত্রের রুক্ষতা অনুমান করা যায়। সেইসঙ্গে এটাও বোঝা যায় যে, সেকালে শিশুদেরকে চুমু খাওয়ার ব্যাপক রেওয়াজ ছিল না। কেননা হযরত আকরা' রাযি.-এর মত একজন গোত্রপতির বিভিন্ন এলাকায় সফর করার কথা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলামেশা করা তার পক্ষে স্বাভাবিক। সে সুবাদে তাদের আচার-আচরণও তার চোখে পড়ে থাকবে। তা সত্ত্বেও হযরত হাসান রাযি.-কে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চুমু খাওয়ার বিষয়টি দেখে তাঁর কাছে আশ্চর্য বোধ হয়েছে। এর স্বাভাবিক অর্থ দাঁড়ায়- তিনি শিশুকে চুমু খাওয়ার বিষয়টি এই প্রথম দেখলেন, এর আগে কখনও দেখেননি। এর দ্বারা জাহিলী যুগের শিশু-পরিচর্যা বিষয়ে একটা ধারণা লাভ হয়। বর্তমানকালে তো শিশু-পরিচর্যা একটা পৃথক শাস্ত্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তাদের স্বতন্ত্র অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের প্রতি পিতামাতা ও অভিভাবকদের আলাদা দায়িত্ব-কর্তব্য নিরূপিত হয়ে গেছে এবং তাদের লালন-পালনে আদর-সোহাগ ও স্নিগ্ধ-কোমল আচরণের প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেছে। জাহিলী যুগের মানুষ এসব বিষয়ে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সেই সর্বগ্রাসী অন্ধকারের মধ্যে শিশু-পরিচর্যার ক্ষেত্রেও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবযুগের সূচনা ঘটান। এ ক্ষেত্রে তিনি যে আদর্শের আলো ছড়িয়েছিলেন, পরবর্তীকালের মানুষ তার দ্যুতিতেই শিশু অধিকারের চেতনা পেয়েছে। সর্বপ্রথম রূঢ় কঠোর আরবগণ তাঁর কাছ থেকে শিশুর প্রতি ব্যবহারের সবক হাসিল করেছে। তারপর তাদের কাছ থেকে বিশ্বময় তার ক্রমবিস্তার ঘটেছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিশুপ্রীতি
এ হাদীছে বর্ণিত শিশুকে চুমু দেওয়ার দ্বারা শিশুদের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্নেহ-মমতার পরিচয় পাওয়া যায়। শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ বাৎসল্য সম্পর্কে বহু হাদীছ ও বহু ঘটনা আছে। যেমন এক বর্ণনায় আছেঃ- إن رسول اللہ ﷺ كان يصلي وهو حامل أمامة بنت زينب بنت رسول اللہ ﷺ، فإذا سجد وضعها وإذا قام حملها 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কন্যা যায়নাব রাযি.-এর মেয়ে উমামাকে বহনরত অবস্থায় নামায পড়তেন। যখন সিজদায় যেতেন তাকে রেখে দিতেন এবং যখন সিজদা থেকে উঠতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।

অপর এক বর্ণনায় আছে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে খুব দীর্ঘ সিজদা করেছিলেন। এ কারণে নামাযের পর সাহাবীগণ তাঁকে বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আজ খুব দীর্ঘ সিজদা করেছেন, তাই আমাদের ধারণা হয়েছিল হয়তো-বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেছে কিংবা আপনার প্রতি ওহী নাযিল হচ্ছে। তিনি বললেনঃ- كل ذلك لم يكن، ولكن ابني ارتحلني فكرهت أن أعجله حتى يقضي حاجته এর কোনওটিই হয়নি। প্রকৃতপক্ষে আমার সন্তান (অর্থাৎ হযরত হাসান বা হুসাইন) আমার পিঠে সওয়ার হয়েছিল, তাই সে তার আশ না মেটানো পর্যন্ত আমি তাড়াতাড়ি করে সিজদা থেকে উঠতে অপছন্দ করেছিলাম।

অপর এক বর্ণনায় আছে, একদা তিনি জুমু'আর খুতবা দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় হযরত হাসান রাযি. ও হুসাইন রাযি. নতুন জামা পরে আছাড়-পিছাড় খেতে খেতে তাঁর দিকে ছুটে আসছিলেন। তাদের দিকে চোখ পড়তেই তিনি মিম্বর থেকে নেমে গেলেন এবং তাদেরকে কোলে তুলে নিলেন। পরে তিনি এর কারণ বর্ণনা করলেনঃ- رأيت هذين يعثران في قميصهما فلم أصير 'আমি এদেরকে তাদের জামাগায়ে আছাড়-পিছাড় খেতে দেখলাম, আমি তা সহ্য করতে পারলাম না।

এমনকি তিনি নামাযে থাকা অবস্থায় কোনও শিশুর কান্না শুনলে নামায সংক্ষেপ করে ফেলতেন। কেননা নামায লম্বা করলে ওই শিশুর নামাযরত মায়ের কষ্ট হবে। তিনি এভাবে তাকে কষ্ট দিতে পছন্দ করতেন না। শিশুদের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্নেহ-মমতার এরকম আরও বহু ঘটনা আছে। তাঁর জীবনাদর্শ ইসলামের বাস্তব নমুনা। সুতরাং এসব ঘটনা প্রমাণ করে শিশুদের প্রতি স্নেহশীল থাকা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। আদর-সোহাগে তাদেরকে চুমু খাওয়া এ শিক্ষারই অংশ।

হৃদয়হীনতা বহু অনর্থের মূল
যাহোক, হযরত হাসান রাযি.-কে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চুমু খাওয়া দেখে যখন আকরা' ইব্ন হাবিস রাযি. বললেন- আমার দশটি সন্তান আছে যাদের কাউকে আমি কখনও চুমু দেইনি, তখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দিকে বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে তাকালেন। কেননা দশটি সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও কখনও তাদের কাউকে চুমু না দেওয়া চরম রূঢ় স্বভাবের পরিচায়ক। সন্তানের প্রতি বাৎসল্য তো মানুষের স্বভাবগত। তা এ কেমন বাবা, যে তার সারাটা জীবনে দশটি সন্তানের কাউকে চুমু দেয়নি! স্বভাবের এতটা কঠোরতা কিছু ভালো গুণ নয় যে, এমন সোজাসাপ্টা বলে দিল- আমি তাদের কাউকে কখনও চুমু দেইনি। এ কঠোরতা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

কঠোরপ্রাণ মানুষ অভাবনীয় অসৎকাজ করতে পারে। তাদের দ্বারা সন্তান হত্যা করাও এমনকি জ্যান্ত দাফন করাও অসম্ভব কাজ নয়। জাহিলী যুগের মানুষ বাস্তবে তো এটা করতও। কঠোর চরিত্রের কারণে তারা আরও নানারকম অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত হত। কাজেই মুজাহাদা-সাধনা দ্বারা এ চরিত্র বদল করা দরকার। নচেৎ এরূপ লোকের দ্বারা অন্যায়-অনুচিত কাজ হতেই থাকবে আর তাতে করে আল্লাহর রহমত ও দয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। পাপিষ্ঠের প্রতি আল্লাহ দয়া করেন না। তাঁর দয়া বর্ষিত হয় সৎকর্মশীলের প্রতি। মনের দয়া-মমতা মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে। যার মনে দয়ামায়া নেই, সে সৎকর্মে আগ্রহী হয় না। ফলে আল্লাহর দয়াও পায় না। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংক্ষেপে সে কথাই বলেছেন যে (যে ব্যক্তি দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হয় না)। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর বান্দাদের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তাআলাও তাকে দয়া করেন না। অপর এক হাদীছে তিনি ইরশাদ করেনঃ- الراحمون يرحمهم الرحمن، إرحموا أهل الأرض يرحمكم من في السماء ‘যারা দয়াশীল, দয়াময় আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করেন। যারা পৃথিবীতে আছে তাদের প্রতি দয়া কর, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।

ইসলামী শিক্ষায় দয়ামায়ার ব্যাপকতা
এ হাদীছে কেবল শিশু নয়, কেবল মুসলিম নয়; বরং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের প্রতি দয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি পশুপাখির প্রতিও। এক হাদীছে আছে, জনৈক পাপী ব্যক্তি একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহ তাআলার রহমত লাভ করেছিলেন। তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়েছিল। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! পশুপাখির প্রতি দয়া করলেও আমরা ছাওয়াব পাব? তিনি বলেনঃ- في كل كبد رطبة أجر ‘প্রত্যেক তাজা কলিজার প্রতি অর্থাৎ প্রত্যেক জীবিতের প্রতি দয়া প্রদর্শনে ছাওয়াব আছে।

লক্ষণীয় যে, নিজ সন্তানদের চুমু না খাওয়ার দ্বারা যদিও আকরা' ইব্ন হাবিস রাযি.-এর চারিত্রিক কঠোরতার পরিচয় পাওয়া যায়, তবুও নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি তাঁকে বললেন না যে, তোমার মন তো বড় শক্ত। বরং নীতিকথা শুনিয়ে দিলেন যে, যে ব্যক্তি দয়া করে না তার প্রতি দয়া করা হয় না। এর মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, আকরা ইব্ন হাবিস রাযি.-এর চরিত্রে দয়ামায়ার ঘাটতি আছে এবং তার উচিত এ ঘাটতি পূরণে চেষ্টা করা অর্থাৎ দয়ামায়ার গুণ অর্জনে সচেষ্ট হওয়া। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে ইশারা-ইঙ্গিত ও নীতিকথার উল্লেখ দ্বারা তাঁকে সংশোধন করতে চেয়েছেন। এর দ্বারা তাঁর ইসলাহ ও সংশোধনের পদ্ধতি জানা গেল।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ সংক্ষিপ্ত বাক্য যে দয়া করে না তাকে দয়া করা হয় না' অতি ব্যাপক অর্থ ধারণ করে। এতে দয়ার পাত্র অর্থাৎ কার প্রতি দয়া করতে হবে, নির্দিষ্টভাবে তার উল্লেখ না থাকায় পাত্রের ব্যাপকতার প্রতি ইঙ্গিত হয়। এ ব্যাপকতার ব্যাখ্যা বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা জানা যায়, যেমন উপরে বর্ণিত হাদীছসমূহ দ্বারা কিছুটা জানা গেল।

এ ব্যাপকতার মধ্যে নিজ সত্তার প্রতি দয়াও রয়েছে। অর্থাৎ নিজের প্রতি দয়া করাও প্রত্যেকের অবশ্যকর্তব্য; বরং এটাই সবার আগে কর্তব্য। নিজের প্রতি দয়া করার অর্থ নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা ও আল্লাহ তা'আলার আনুগত্যে রত থাকা। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতা করে, সে নিজের প্রতিই জুলুম করে। যে ব্যক্তি পাপকর্ম করে, সে নিজের প্রতিই নির্দয়তা প্রদর্শন করে। কেননা এর পরিণাম জাহান্নামের শাস্তিভোগ। এজন্যই কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে পাপী ব্যক্তিকে ‘জালেম' নামে অভিহিত করা হয়েছে, যেহেতু পাপকর্মে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা সে নিজের প্রতি নির্দয় আচরণ করেছে, নিজের প্রতি জুলুম করেছে। এরূপ ব্যক্তি আল্লাহর দয়া থেকে বঞ্চিত থাকবে। কেননা এ হাদীছ জানাচ্ছে- যে ব্যক্তি দয়া করে না তার প্রতি দয়া করা হয় না।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. শিশুকে আদর-যত্ন করা ও চুমু খাওয়া নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত।

খ. শিশুকে চুমু না খাওয়া মন শক্ত হওয়ার আলামত। কারও মধ্যে এ খাসলাত থাকলে তার কর্তব্য মনে কোমলতা আনয়নের জন্য সাধনা করা।

গ. আমাদেরকে সকল মানুষের প্রতি সদয় থাকতে হবে, এমনকি জীবজন্তুর প্রতিও।

ঘ. অভিভাবক, শিক্ষক ও নেতার কর্তব্য যারা তার অধীন তাদেরকে দয়ামায়া শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের মধ্যে কোনও দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ব্যাপারে তাদেরকে সংশোধনের চেষ্টা করা।

ঙ. সংশোধনের ক্ষেত্রে কাউকে প্রথমেই তার দোষত্রুটি সম্পর্কে সরাসরি অভিযুক্ত ও তিরস্কৃত না করে পরোক্ষভাবে জানান দেওয়া ও নীতিকথা দ্বারা উপদেশ দেওয়া শ্রেয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন