ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৬. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫২১
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
উট বা গরুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝোলানো এবং যে ব্যক্তি চিহ্ন ঝোলাবে সে কখন ইহরামকারী বলে গণ্য হবে
(১৫২১) ইবন উমার রা. বলেন, যে ব্যক্তি হজ্জের জন্য নির্ধারিত পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন লটকাল সে ইহরাম করল।
كتاب الحج
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: من قلد فقد أحرم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
তামাত্তু' ও কিরান হজ্জ পালনকারীকে হজ্জের ওয়াজিব অংশ হিসাবে পশু জবাই করতে হয়। এই প্রকারের পশুকে হাদঈ বলে। এই পশুর গোশতও ঈদুল আযহার 'কুরবানি'র পশুর গোশতের মতো খেতে হয় ও দান করতে হয়। আরব দেশের প্রাচীন রীতি ছিল হাজি মক্কায় রওয়ানা দেওয়ার সময় 'হাদঈ' বা হজ্জের পশু সাথে নিতেন বা পাঠিয়ে দিতেন। পরিচিতির জন্য এ সকল পশুর দেহে 'ব্রান্ডিং' বা চিহ্ন দেওয়া হত এবং গলায় রশি, জুতা বা এই জাতীয় কিছু ঝুলিয়ে দেওয়া হত। (অনুবাদক)
গ্রন্থকার বলেন, যদি কেউ হজ্জের জন্য নির্ধারিত পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝুলিয়ে সেই পশু সাথে নিয়ে মক্কার পথে রাওয়ানা দেন, তার এই কর্মই ইহরাম, অর্থাৎ হজ্জ বা উমরাহর শুরু বলে গণ্য হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি এইরূপ পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝুলিয়ে তা মক্কাভিমুখে পাঠিয়ে দেন, কিন্তু নিজে তা সাথে নিয়ে রওয়ানা হন না, তার জন্য শুধুমাত্র হজ্জের পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝোলানোর কর্ম ইহরাম বলে গণ্য হবে না।
গ্রন্থকার বলেন, যদি কেউ হজ্জের জন্য নির্ধারিত পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝুলিয়ে সেই পশু সাথে নিয়ে মক্কার পথে রাওয়ানা দেন, তার এই কর্মই ইহরাম, অর্থাৎ হজ্জ বা উমরাহর শুরু বলে গণ্য হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি এইরূপ পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝুলিয়ে তা মক্কাভিমুখে পাঠিয়ে দেন, কিন্তু নিজে তা সাথে নিয়ে রওয়ানা হন না, তার জন্য শুধুমাত্র হজ্জের পশুর গলায় মালা বা চিহ্ন ঝোলানোর কর্ম ইহরাম বলে গণ্য হবে না।