আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৬২
৩১০৩. স্বর্ণখচিত গুটি।
লাঈস (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবু মুলায়কা ..... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তার পিতা মাখরামা (একদা) তাকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস! আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে, নবী (ﷺ) এর নিকট কিছু কাবা এসেছে। তিনি সেগুলো বণ্টন করছেন। চলো, আমরা তাঁর কাছে যাই। আমরা গেলাম এবং নবী (ﷺ) কে তাঁর বাসগৃহে পেলাম। আমাকে (আমার পিতা) বললেনঃ বৎস! নবী (ﷺ) কে আমার কাছে ডাক। আমার নিকট কাজটি অতি কঠিন বলে মনে হল। আমি বললামঃ আপনার কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ডাকবো? তিনি বললেনঃ বৎস, তিনি তো কঠোর প্রকৃতির লোক নন। যা হোক, আমি তাঁকে ডাকলাম। তিনি বেরিয়ে এলেন, তাঁর গায়ে তখন স্বর্ণের বোতাম লাগান মিহিন রেশমী কাপড়ের কাবা ছিল। তিনি বললেনঃ হে মাখরামা! এটা আমি তোমার জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছিলাম। এরপর তিনি এটা তাকে দিয়ে দিলেন।
৩১০৪. স্বর্ণের আংটি।
লাঈস (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবু মুলায়কা ..... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তার পিতা মাখরামা (একদা) তাকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস! আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে, নবী (ﷺ) এর নিকট কিছু কাবা এসেছে। তিনি সেগুলো বণ্টন করছেন। চলো, আমরা তাঁর কাছে যাই। আমরা গেলাম এবং নবী (ﷺ) কে তাঁর বাসগৃহে পেলাম। আমাকে (আমার পিতা) বললেনঃ বৎস! নবী (ﷺ) কে আমার কাছে ডাক। আমার নিকট কাজটি অতি কঠিন বলে মনে হল। আমি বললামঃ আপনার কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ডাকবো? তিনি বললেনঃ বৎস, তিনি তো কঠোর প্রকৃতির লোক নন। যা হোক, আমি তাঁকে ডাকলাম। তিনি বেরিয়ে এলেন, তাঁর গায়ে তখন স্বর্ণের বোতাম লাগান মিহিন রেশমী কাপড়ের কাবা ছিল। তিনি বললেনঃ হে মাখরামা! এটা আমি তোমার জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছিলাম। এরপর তিনি এটা তাকে দিয়ে দিলেন।
৩১০৪. স্বর্ণের আংটি।
৫৪৪৪। আদম (রাহঃ) ......... বারা' ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের সাতটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ স্বর্ণের আংটি বা তিনি বলেছেন, স্বর্ণের বালা, মিহি রেশম, মোটা রেশম ও রেশম মিশ্রিত কাপড়, রেশমের তৈরী লাল রংয়ের পালান বা হাওদা, রেশম মিশ্রিত কাসসী কাপড় ও রূপার পাত্র। আর তিনি আমাদের সাতটি কাজের আদেশ করেছেনঃ রোগীর শুশ্রুষা করা, জানাযার পেছনে চলা, হাঁচির উত্তর দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, দাওয়াত গ্রহণ করা, কসমকারীর কসম পূরণে সাহায্য করা এবং মযলুম ব্যক্তির সাহায্য করা।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
তবে এ নিষেধাজ্ঞা কেবল পুরুষের জন্য। নারীর জন্য রেশমী পোশাক পরা জায়েয, যেমন তাদের জন্য স্বর্ণালঙ্কারও জায়েয। হযরত উকবা ইবন আমির রাযি থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- الذهب والحرير حل لإناث أمتي وحرام على ذكورها সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
