ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৫১
অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে, শুয়ে, ইশারায় বা চারজানু হয়ে বসে সালাত আদায় করবে
(১০৫১) আয়িশা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে চারজানু হয়ে বসে সালাত আদায় করতে দেখেছি।
عن عائشة رضي الله عنها قالت: رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يصلي متربعا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নামায দাঁড়িয়ে পড়াই জরুরী। তবে কেউ দাঁড়াতে একান্ত অপারগ হলে তাকে বসে বা তা-ও না পারলে শুয়ে অথবা ইশারা করে নামায পড়তে হবে। সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেউ বসে নামায পড়লে তার নামায হবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৪৪, ৪৪৫)
ফায়দা : বর্তমান সময় সামান্য সামান্য অসুস্থতার কারণে মানুষের মধ্যে চেয়ারে বসে নামায আদায়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ফরয। একান্ত দাঁড়াতে অক্ষম হলে জমিনে বসে নামায আদায় করবে। হাঁটুতে ব্যথার কারণে পা ভাজ করতে না পারলে আসন গেড়ে বা কিবলার দিকে পা লম্বা করে দিয়েও নামায আদায় করতে পারে। অবশ্য দাঁড়িয়ে নামায পড়তে অক্ষম কোন ব্যক্তি যদি মাজা ব্যথার কারণে জমিনে বসতেও না পারে কিংবা মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তার তাকে এ মর্মে সতর্ক করে যে, জমিনে বসা তার জন্য ক্ষতিকর তাহলে কেবল সে চেয়ারে বসে নামায আদায় করতে পারে। আর বসতে অক্ষম কোন ব্যক্তি যদি দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাহলে সে দাঁড়ানোর আমল দাঁড়িয়েই করবে আর সিজদা বা অক্ষমতা বশত রুকু-সিজদা চেয়ারে বসে আদায় করবে। মনে রাখতে হবে, দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ফরয। দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্যই কেবল প্রয়োজনীয় ছাড় প্রযোজ্য হবে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, গ্রামের মহিলাগণ অজ্ঞতার কারণে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অজুহাতেই বসে বসে নামায পড়েন। অথচ এতে তাদের নামায হয় না। আবার শহরের অতি আধুনিক মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ সামান্য কোমরে ব্যথা বা হাঁটু ব্যথার অজুহাতে অভিজ্ঞ মুফতি বা ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত চেয়ারে বসে নামায পড়ে থাকেন। অথচ তারা চেষ্টা করলে একটু কষ্ট হলেও দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারতেন। গ্রহণযোগ্য ওযর ব্যতীত ফরয বিধান (দাঁড়ানো) পরিত্যাগের কারণে তাদের নামায হচ্ছে না; কিন্তু এ দিকে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
ফায়দা : বর্তমান সময় সামান্য সামান্য অসুস্থতার কারণে মানুষের মধ্যে চেয়ারে বসে নামায আদায়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ফরয। একান্ত দাঁড়াতে অক্ষম হলে জমিনে বসে নামায আদায় করবে। হাঁটুতে ব্যথার কারণে পা ভাজ করতে না পারলে আসন গেড়ে বা কিবলার দিকে পা লম্বা করে দিয়েও নামায আদায় করতে পারে। অবশ্য দাঁড়িয়ে নামায পড়তে অক্ষম কোন ব্যক্তি যদি মাজা ব্যথার কারণে জমিনে বসতেও না পারে কিংবা মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তার তাকে এ মর্মে সতর্ক করে যে, জমিনে বসা তার জন্য ক্ষতিকর তাহলে কেবল সে চেয়ারে বসে নামায আদায় করতে পারে। আর বসতে অক্ষম কোন ব্যক্তি যদি দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাহলে সে দাঁড়ানোর আমল দাঁড়িয়েই করবে আর সিজদা বা অক্ষমতা বশত রুকু-সিজদা চেয়ারে বসে আদায় করবে। মনে রাখতে হবে, দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা ফরয। দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্যই কেবল প্রয়োজনীয় ছাড় প্রযোজ্য হবে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, গ্রামের মহিলাগণ অজ্ঞতার কারণে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অজুহাতেই বসে বসে নামায পড়েন। অথচ এতে তাদের নামায হয় না। আবার শহরের অতি আধুনিক মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ সামান্য কোমরে ব্যথা বা হাঁটু ব্যথার অজুহাতে অভিজ্ঞ মুফতি বা ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত চেয়ারে বসে নামায পড়ে থাকেন। অথচ তারা চেষ্টা করলে একটু কষ্ট হলেও দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারতেন। গ্রহণযোগ্য ওযর ব্যতীত ফরয বিধান (দাঁড়ানো) পরিত্যাগের কারণে তাদের নামায হচ্ছে না; কিন্তু এ দিকে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
