ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯৯৩
জুমুআর দিনের আযান
(৯৯৩) সায়িব ইবন ইয়াযীদ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বাকর রা. ও উমার রা.র যুগে জুমুআর দিনের প্রথম আযান দেওয়া হত যখন ইমাম জুমুআর দিনে মিম্বরের উপর বসতেন। উসমান রা.র যুগে যখন মদীনার লোকসংখ্যা খুব বেড়ে গেল তখন উসমান রা. জুমুআর দিনে তৃতীয় আযান প্রদানের নির্দেশ দেন। এই আযানটি মদীনার 'যাওরা' নামক বাজারে৩ প্রদান করা হত । পরবর্তী যুগে এভাবেই জুমুআর আযান চালু থাকল।
عن السائب بن يزيد رضي الله عنه يقول: إن الأذان يوم الجمعة كان أوله حين يجلس الإمام يوم الجمعة على المنبر في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبي بكر وعمر رضي الله عنهما فلما كان في خلافة عثمان بن عفان رضي الله عنه وكثروا أمر عثمان يوم الجمعة بالأذان الثالث فأذن به على الزوراء فثبت الأمر على ذلك

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত উসমান রা.-এর খিলাফতের পূর্ব পর্যনত্ম জুমআর দিন খতীবের সামনে একবার আযান দেয়া হতো; যেটাকে আমরা বর্তমানে ছানী আযান বলে থাকি। অতঃপর হযরত উসমান রা.-এর যুগে এসে যখন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলো তখন নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানানোর জন্য তৃতীয় খলীফায়ে রাশেদ হযরত উসমান রা. এ আযানের প্রচলন ঘটালেন। এখন আমাদের জন্য উভয় আযানের অনুকরণ করা ছুন্নাত হবে। কেননা সহীহ হাদীসের বর্ণনায় রসূল স. আমাদেরকে খুলাফায়ে রাশেদার ছুন্নাতের অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ-৪৫৫২, মুসনাদে আহমাদ-১৭১৪৪ তিরমিযী-২৬৭৬ এবং ইবনে মাযা-৪২) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৮৪, ২/১৬১)

উল্লেখ্য, সে যুগে ইকামাতকে আযান বলে গণ্য করা হতো। তাই হাদীসে এটাকে তৃতীয় আযান বলা হয়েছে। অন্যথায় আযান হতো দুটি আর ইকামাত একটি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ৯৯৩ | মুসলিম বাংলা