ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬৫
দুগ্ধপোষ্য পুত্র বা কন্যা শিশুর পেশাব
(২৬৫) উম্মু কাইস বিনতু মিহসান রা. বলেন, তার এক শিশুপুত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পোশাকে পেশাব করে। তখন তিনি পানি চেয়ে নিয়ে পেশাবের উপর ছিটিয়ে দেন কিন্তু তিনি কাপড়টি ধৌত করেন না।
عن أم قيس بنت محصن رضي الله عنها أن ابنا لها بال على ثوب رسول الله صلى الله عليه وسلم فدعا بماء فنضحه ولم يغسله. وزاد مسلم: غسلا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার রাহ. বলেন, আলী রা., আবুস সামহ রা. ও উম্মু কাইস রা.র হাদীসগুলোতে পানি ছেটানো বা না ধোওয়া বলতে পানি ঢেলে হালকাভাবে ধোওয়া ও বেশি করে না ধোওয়া বোঝানো হয়েছে । আরবিতে হালকা ধোওয়া বোঝাতে ‘পানি ছিটানো' শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন এক হাদীসে বলা হয়েছে: إذا وجد أحدكم ذلك (المذي) فلينضح فرجه ويتوضأ وضوءه للصلاة 'যদি তোমাদের কারো মযি বা যৌনরস নির্গত হয় তাহলে পুরুষাঙ্গে পানি ছিটিয়ে সালাতের জন্য ওযু করবে'। হাদীসটি তিরমিযি, নাসায়ি ও অন্যান্য মুহাদ্দিস সহীহ সনদে সঙ্কলিত করেছেন সকল ফকীহ ও ইমাম একমত যে, এখানে পানি ছিটানো অর্থ হালকাভাবে ধুয়ে ফেলা । আল্লাহই ভালো জানেন।
মুসলিম উম্মাহর সকল ফকীহ একমত যে, সকল শিশুর মূত্র অপবিত্র। তবে দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাব থেকে পোশাক বা দেহ পবিত্র করার পদ্ধতির বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। উপরের হাদীসগুলোর আলোকে ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফিয়ি ও অন্যান্য অনেক ফকীহ বলেন যে, দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্রের পেশাবের স্থানে পানি ঢেলে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর শিশুকন্যার পেশাব পানি ঢালার পরে ধুয়ে নিংড়াতে হবে। অপরদিকে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক ও অন্য অনেক ফকীহ বলেন যে, উভয়ের পেশাবই ধৌত করতে হবে। তাদের মতে বালক শিশুর পেশাব সাধারণভাবে নির্দিষ্ট ধারায় পতিত হয়। সেহেতু সেক্ষেত্রে পেশাবের স্থান চিহ্নিত করে সেই স্থানে পানি ঢেলে ধুয়ে নেওয়া যায়। আর বালিকা শিশুর পেশাবের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়; সেহেতু সেক্ষেত্রে পুরো স্থান ধোয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। তারা বলেন যে, উপরের হাদীসগুলোতে এই নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, আরবিতে এভাবে পানি ছিটানো বা পানি ঢালা বলতে ‘ধোয়া' বা 'হালকা ধোয়া' বোঝানো হয়ে থাকে। (অনুবাদক)
মুসলিম উম্মাহর সকল ফকীহ একমত যে, সকল শিশুর মূত্র অপবিত্র। তবে দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাব থেকে পোশাক বা দেহ পবিত্র করার পদ্ধতির বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। উপরের হাদীসগুলোর আলোকে ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফিয়ি ও অন্যান্য অনেক ফকীহ বলেন যে, দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্রের পেশাবের স্থানে পানি ঢেলে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর শিশুকন্যার পেশাব পানি ঢালার পরে ধুয়ে নিংড়াতে হবে। অপরদিকে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক ও অন্য অনেক ফকীহ বলেন যে, উভয়ের পেশাবই ধৌত করতে হবে। তাদের মতে বালক শিশুর পেশাব সাধারণভাবে নির্দিষ্ট ধারায় পতিত হয়। সেহেতু সেক্ষেত্রে পেশাবের স্থান চিহ্নিত করে সেই স্থানে পানি ঢেলে ধুয়ে নেওয়া যায়। আর বালিকা শিশুর পেশাবের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়; সেহেতু সেক্ষেত্রে পুরো স্থান ধোয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। তারা বলেন যে, উপরের হাদীসগুলোতে এই নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, আরবিতে এভাবে পানি ছিটানো বা পানি ঢালা বলতে ‘ধোয়া' বা 'হালকা ধোয়া' বোঝানো হয়ে থাকে। (অনুবাদক)
