আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
হাদীস নং: ৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬০
৩৬৯। মাগরিবের ওয়াক্ত।
৫৩৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) বলেন, হাজ্জাজ (ইবনে ইউসুফ) (মদীনা শরীফে) এলে আমরা জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)-কে নামাযের ওয়াক্ত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, (কেননা, হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ বিলম্ব করে নামায আদায় করতেন)। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) যোহরের নামায প্রচন্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর আসরের নামায সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের নামায সূর্য অস্ত যেতেই আর ইশার নামায বিভিন্ন সময়ে আদায় করতেন। যদি দেখতেন, সবাই সমবেত হয়েছেন, তাহলে আগে আগে আদায় করতেন। আর যদি দেখতেন, লোকজন আসতে দেরী করছে, তাহলে বিলম্বে আদায় করতেন। আর ফজরের নামায তাঁরা কিংবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্ধকার থাকতে আদায় করতেন।*
*হানাফী মাযহাব অনুসারীগণ সুবহে সাদিকের পর ভোরের আলো ফর্সা হয়ে গেলে ফজরের জামাত আদায় করা মুস্তাহাব বলে থাকেন এবং তিরমিযী শরীফে উদ্ধৃত রাফে' ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) সূত্রের সহীহ হাদীসখানা প্রমাণরূপে গ্রহণ করেন। যাতে বলা হয়েছে- “তোমরা ফর্সা হয়ে গেলে ফজর আদায় করো। কেননা, তাতে সাওয়াব অনেক বেশী।” ইমাম তিরমিযী (রাহঃ) হাদীসখানাকে উত্তম ও বিশুদ্ধ বলে অভিমত দিয়েছেন এবং তার আরও অনেক রাবীর নাম উল্লেখ করেছেন। তবে মাহে রমযানে, ব্যাপকভাবে রাত জাগরণের পর্বে, মুসাফির ও রোগীর জন্য এবং একাকী নামায আদায়কারী নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে আলোচ্য হাদীসের আমল যথার্থ। (দ্রষ্টব্য: মূল আরবী তিরমিযী শরীফ, খ-১, পৃ-৪০)
*হানাফী মাযহাব অনুসারীগণ সুবহে সাদিকের পর ভোরের আলো ফর্সা হয়ে গেলে ফজরের জামাত আদায় করা মুস্তাহাব বলে থাকেন এবং তিরমিযী শরীফে উদ্ধৃত রাফে' ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) সূত্রের সহীহ হাদীসখানা প্রমাণরূপে গ্রহণ করেন। যাতে বলা হয়েছে- “তোমরা ফর্সা হয়ে গেলে ফজর আদায় করো। কেননা, তাতে সাওয়াব অনেক বেশী।” ইমাম তিরমিযী (রাহঃ) হাদীসখানাকে উত্তম ও বিশুদ্ধ বলে অভিমত দিয়েছেন এবং তার আরও অনেক রাবীর নাম উল্লেখ করেছেন। তবে মাহে রমযানে, ব্যাপকভাবে রাত জাগরণের পর্বে, মুসাফির ও রোগীর জন্য এবং একাকী নামায আদায়কারী নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে আলোচ্য হাদীসের আমল যথার্থ। (দ্রষ্টব্য: মূল আরবী তিরমিযী শরীফ, খ-১, পৃ-৪০)
باب وَقْتِ الْمَغْرِبِ
560 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: قَدِمَ الحَجَّاجُ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالهَاجِرَةِ، وَالعَصْرَ وَالشَّمْسُ نَقِيَّةٌ، وَالمَغْرِبَ إِذَا [ص:117] وَجَبَتْ، وَالعِشَاءَ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا، إِذَا رَآهُمُ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ، وَإِذَا رَآهُمْ أَبْطَؤُوا أَخَّرَ، وَالصُّبْحَ كَانُوا - أَوْ كَانَ - النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ»
