মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৫০৬
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫০৬

হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর সামনে এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً তখন নবী করীম (ﷺ) তাকে পুনরায় তিলাওয়াত করতে বললেন। অতঃপর বললেন: এ আয়াতে ضعف শব্দের ض কে পেশ দিয়ে পড়।
عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " {اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً} [الروم: 54] ، فَرَدَّ عَلَيْهِ، وَقَالَ: قُلْ: مِنْ ضَعْفٍ "

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত ضعف শব্দে ض এ যবর দিয়ে তিলাওয়াত করেন, তখন হুযূর (সা) তাঁকে বাঁধা প্রদান করেন এবং বলেন এখানে ض কে পেশ দিয়ে পড়। কেননা কুরায়শদের লা'নতের মধ্যে শব্দটি এরূপই রয়েছে এবং তিলাওয়াতকারীও কুরায়শ, তাই বাঁধা প্রদানই প্রয়োজন ছিল। অথবা আঁ হযরত (সা)-এর এটা সঠিকভাবে জানা ছিল, তাই বাধা দিয়েছেন। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে, ضعف শব্দে উভয় লোগাত বা উচ্চারণ জায়েয। বুখারী শরীফের শরাহ ইরশাদে সারী গ্রন্থে বর্ণিত আছে, ضعف শব্দ আসিম ও হামযার মতে খবর দিয়ে পড়তে হবে এবং এটা তামীযের লোগাত এবং পেশ দিয়ে কুরায়শদের লোগাত। কেউ কেউ বলেছেনঃ ضعف কে যখন পেশ দিয়ে পাঠ করা হয়, তখন দৈহিক দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করা হয় এবং যখন খবরের সাথে পাঠ করা হয় তখন عقل বা জ্ঞানের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করা হয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান