মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৪. আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৯৪
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯৪

হযরত কাসিম (রাহঃ) তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আশআস ইব্ন কায়স হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে একটি গোলাম ক্রয় করেন। হযরত আব্দুল্লাহ যখন তাঁর থেকে মূল্য চাইলেন, তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আশআস (রাহঃ) বলেন, আমি দশ হাযার দিরহাম দিয়ে তোমার থেকে গোলাম ক্রয় করেছি। হযরত ইব্‌ন মাসউদ বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে তোমার নিকট গোলাম বিক্রি করেছি। তখন হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, তুমি আমার ও তোমার মধ্যে একজন ফয়সালাকারী নির্ধারণ কর। আশআস বলেন, আমি তোমাকে আমার ও তোমার মধ্যে ফয়সালাকারী নির্ধারণ করলাম। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তাহলে আমি আমার ও তোমার মধ্যে ঐ ফয়সালা প্রদান করবো যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অতঃপর ক্রেতা বিক্রেতার কথায় সম্মত হতে পারে অথবা ক্রয় ফিরিয়ে নিতে বা বাতিল করতে পারে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে কাসিম (রাহঃ)-এর দাদা থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং বিক্রিত দ্রব্য মজুদ থাকে, তাহলে বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে অথবা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয় ফিরিয়ে নেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে يترادان এর সাথে البيع শব্দটি অতিরিক্ত রয়েছে।
অপর এক বর্ণনায় আছে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মতানৈক্য হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অথবা সে ক্রয়কে বাতিল করে দেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আশআস (রাহঃ) আমার থেকে একটি গোলাম ক্রয় করে। তিনি তার থেকে মূল্য বাবদ টাকা চাইলেন। তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে এ গোলাম তোমার নিকট বিক্রি করেছি। আশআস বলেন, আমি দশ হাযার দিরহামে ক্রয় করেছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। সে ইচ্ছা করলে বিক্রয় বাতিল করতে পারবে।
عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ اشْتَرَى مِنَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَقِيقًا مِنْ رَقِيقِ الْإِمَارَةِ، فَتَقَاضَاهُ عَبْدُ اللَّهِ، فَاخْلَتَفَا فِيهِ، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: اشْتَرَيْتُ مِنْكَ بِعَشْرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: بِعْتُكَ بِعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: اجْعَلْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ رَجُلًا، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: فَإِنِّي أَجْعَلُكَ بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِكَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَإِنِّي سَأَقْضِي بَيْنِي وَبَيْنَكَ بِقَضَاءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ، فَالْقَوْلُ مَا قَالَ الْبَائِعُ، فَإِمَّا أَنْ يَرْضَى الْمُشْتَرِي بِهِ، أَوْ يَتَرَادَّانِ الْبَيْعَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْمُتَبَايِعَانِ، وَالسِّلْعَةُ قَائِمَةٌ، فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ، أَوْ يَتَرَادَّانِ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ الْأَشْعَثَ اشْتَرَى مِنْهُ رَقِيقًا، فَتَقَاضَاهُ وَاخْتَلَفَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: بِعِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَالَ الْأَشْعَثُ: بِعَشْرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَا الْبَيِّعَانِ، فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ أَوْ يَتَرَادَّانِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসটি পুনরুল্লেখ হয়েছে। কাজেই এখানে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৪৯৪ | মুসলিম বাংলা