মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২২. আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৩
আত্মাকে নরমকারী কথাবার্তা
হাদীস নং- ৪৮৩
হযরত আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত একবার, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলেন। এ সময় তিনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং একটি কাতওয়ানী অমসৃণ চাদর গায়ে শায়িত ছিলেন, তাঁর বালিশটি ছিল পশমের, যার ভিতরে ছিল।ইযখির নামক ঘাস। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন : আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক, হে আল্লাহর রাসূল! কিসরা ও কায়সার (ইরান ও রোম অধিপত্তির উপাধী) বাদশাহ রেশমী গালিচায় (শয়ন করে) থাকে, আর আপনি এ অবস্থায়। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ হে উমর! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট হতে পার না যে, এ কাফিরদের জন্য হলো (অস্থায়ী) দুনিয়া এবং তোমাদের জন্য পরকালের (স্থায়ী সুখ)।
অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ স্পর্শ করে দেখতে পেলেন, তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন, আপনি এরূপ মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত অথচ আপনি আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি বললেন, এ উম্মতের মধ্যে কঠোর পরীক্ষা হলো তাদের নবীর জন্য, এরপর একটু কম নেককারদের জন্য, অতঃপর অপেক্ষাকৃত কম নেককারদের জন্য, তোমাদের পূর্ববর্তী নবী ও তাঁদের উম্মতদের ছিল এ অবস্থা।
হযরত আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত একবার, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলেন। এ সময় তিনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং একটি কাতওয়ানী অমসৃণ চাদর গায়ে শায়িত ছিলেন, তাঁর বালিশটি ছিল পশমের, যার ভিতরে ছিল।ইযখির নামক ঘাস। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন : আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক, হে আল্লাহর রাসূল! কিসরা ও কায়সার (ইরান ও রোম অধিপত্তির উপাধী) বাদশাহ রেশমী গালিচায় (শয়ন করে) থাকে, আর আপনি এ অবস্থায়। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ হে উমর! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট হতে পার না যে, এ কাফিরদের জন্য হলো (অস্থায়ী) দুনিয়া এবং তোমাদের জন্য পরকালের (স্থায়ী সুখ)।
অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ স্পর্শ করে দেখতে পেলেন, তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন, আপনি এরূপ মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত অথচ আপনি আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি বললেন, এ উম্মতের মধ্যে কঠোর পরীক্ষা হলো তাদের নবীর জন্য, এরপর একটু কম নেককারদের জন্য, অতঃপর অপেক্ষাকৃত কম নেককারদের জন্য, তোমাদের পূর্ববর্তী নবী ও তাঁদের উম্মতদের ছিল এ অবস্থা।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِكَاةٍ شَكَاهَا، فَإِذَا هُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى عَبَاءَةٍ قَطْوَانِيَّةٍ وَمَرْفَقَةٍ مِنْ صُوفٍ حَشْوُهَا مِنْ إِذْخِرٍ، فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، كِسْرَى وَقَيْصَرُ عَلَى الدِّيبَاجِ! فَقَالَ: " يَا عُمَرُ، أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ؟ ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ مَسَّهُ فَإِذَا هُوَ فِي شِدَّةِ الْحُمَّى، فَقَالَ: تُحَمُّ هَكَذَا وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَشَدَّ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَلَاءً نَبِيُّهَا، ثُمَّ الْخَيِّرُ، ثُمَّ الْخَيِّرُ، وَكَذَلِكَ كَانَتِ الْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ قَبْلَكُمْ وَالْأُمَمُ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস দ্বারা এটা প্রতীয়মান হয় যে, দুনিয়াতে মুমিনের ঈমানী শক্তি অনুয়ায়ী পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যার ঈমানী শক্তি বেশি, তিনি কঠোর পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।এমন কি কঠোর স্তর অতিক্রম করে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়ে যান। যেমন তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে : فما برح البلاء بالعبد حتى يتركه يمشي على الأرض وما عليه “বান্দার উপর সর্বদা বা অব্যাহতভাবে বিপদ পতিত হয়ে থাকে, ফলে সে দুনিয়াতে এভাবে চলাফেরা করে যে, গুনাহ্ থেকে সম্পূর্ণ হালকা হয়ে যায়।"
