মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২২. আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৬৪
জ্যোতির্বিজ্ঞানে দৃষ্টি দেয়া নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪৬৪

হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «كَانَ أَحَبَّ الْأَسْمَاءِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান এ দুটো আঁ হযরত (সা)-এর নিকট এজন্য পছন্দনীয় ছিল যে, এ নামের অংশ উত্তম এবং পছন্দনীয় অর্থ প্রকাশ করে। বান্দার জন্য দাসত্ব উপযোগী এবং আল্লাহর নাম হলো বরকতময়। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় হলো, স্বীয় সৃষ্টিকর্তা ও মা'বূদের সাথে বান্দার সম্পর্ক ও সংযোগ হয়ে থাকে। এমনিভাবে আবদুর রহমানে আবূদ-এর সংযোগ রহমানের দিকে হয়ে থাকে এবং যেহেতু রহম ও করমের (رحم و كرم) সম্পর্ক আল্লাহর অত্যন্ত পসন্দনীয়, তাই এ গঠন ও বিন্যাস উত্তম। সুতরাং এর সাথে মিলানো নাম, যেমন আবদুর রহীম, আবদুল কাদির ইত্যাদি হলো উত্তম নাম। অনেক লোক না বুঝে স্বীয় সন্তানের নাম উল্টা রেখে থাকে। যার কোন কোনটি অর্থহীন এবং কোন কোনটি খারাপ অর্থ প্রকাশ করে। হুযূর (সা) নামের ভালমন্দের দিকে অত্যন্ত লক্ষ্য রাখতেন। কারো খারাপ নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন। একবার তিনি একটি মেয়ের নাম শুনলেন আসিয়া (عاصيه) যার অর্থ গুনাহগার ও নাফরমান, তখন তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জামিলা (جميله) বা সুন্দরী।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলে পাক (সা) বললেন : এ উটের দুধ কে দোহন করবে? এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : তোমার নাম কি? লোকটি বলল, مره (তিক্ত)। তিনি বললেন তুমি বস। অতঃপর বললেন: এ উটের দুধ কে দোহন করবে? অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি। তিনি তাকেও জিজ্ঞাসা করলেন : তোমার নাম কি? সে বলল, حرب (যুদ্ধ)। তিনি তাকেও বললেনঃ তুমি বস। এরপর পুনরায় তিনি বললেন : এর দুধ কে দোহন করবে? তৃতীয় ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি । তিনি তাকেও জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার নাম কি? সে বলল, يعش এটা عيش থেকে নির্গত (যার অর্থ আনন্দ উল্লাস) তখন হুযূর (সা) তাকে বললেন : তুমি দোহন কর।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৪৬৪ | মুসলিম বাংলা