মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২২. আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৫৮
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৮
হযরত উমায়মা বিনতে রুকায়কা (রাযিঃ) বলেন, আমি বায়আত গ্রহণের জন্য নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলাম। তখন তিনি বললেন আমি মহিলাদের সাথে হাত মিলাই না।
হযরত উমায়মা বিনতে রুকায়কা (রাযিঃ) বলেন, আমি বায়আত গ্রহণের জন্য নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলাম। তখন তিনি বললেন আমি মহিলাদের সাথে হাত মিলাই না।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أُمَيْمَةَ بِنْتِ رَقِيقَةَ، قَالَتْ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُبَايِعَهُ، فَقَالَ: «إِنِّي لَسْتُ أُصَافِحُ النِّسَاءَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণিত আছে, আঁ হযরত (সা) মহিলাদের সাথে মুসাফাহা করতেন না। আবূ নুআঈম হিলয়া নামক গ্রন্থে বাহলা বিনতে আবদুল্লাহ আল-বাকরীয়া থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি একটি দলের সাথে নবী করীম (সা)-এর খেদমতে হাযির হই। তিনি পুরুষদের বায়আত গ্রহণের সময় তাদের সাথে মুসাফাহা করেন এবং মহিলাদেরও বায়আত গ্রহণ করেন কিন্তু তাদের সাথে মুসাফাহা করেননি। যদি মুসাফাহা করেও থাকেন, তবে কাপড়ের আড়ালে। যেমন তিবরানী হযরত মা'কাল ইব্ন ইয়াসার (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বায়আতে রিদওয়ানের দিন নবী করীম (সা) কাপড়ের আড়াল থেকে মহিলাদের সাথে মুসাফাহা করেন। অর্থাৎ তিনি মহিলাদের হাত স্পর্শ করেননি। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর এ পবিত্রতা ও সংযমশীলতা, লজ্জা ও শরমের কত উন্নত ধরনের উদাহরণ এবং উম্মতের জন্য কত অমূল্য শিক্ষা। কিন্তু বিরাট অনুতাপের বিষয় এই যে, আমরা এটাও ভুলতে বসেছি। এটা শুনেছি যে, কোন কোন লোক পবিত্রতার জামায় প্রকাশ হয়ে এবং দীনের নেতা সেজে নারী-পুরুষের সাথে সমান ব্যবহার করে, নারীদের সাথে অন্তঃপুরে বাস করে থাকে। نعوذ بالله من ذلك আঁ হযরত (সা)-এর এ আমল ও সতর্কতা এবং এর বিপরীতে আমাদের চালচলন ও নির্ভয়তা। প্রকৃতপক্ষে এরূপ আমল বা কাজ ইসলামের সম্মান ও মর্যাদাকে ধ্বংস করে দেয় এবং ইসলামের নামের উপর কালিমা লেপন করে।
