মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২০. পোশাক,সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যের বর্ণনা
হাদীস নং: ৪৩০
রেশম ও রেশমী বস্ত্র পরিধানে নিষেধাজ্ঞা
হাদীস নং- ৪৩০
হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রেশম এবং রেশমী বস্তু পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি এটাও বলেছেন: এগুলো তারা পরিধান করে, যাদের (পরকালে) কোন অংশ নেই।
হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রেশম এবং রেশমী বস্তু পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি এটাও বলেছেন: এগুলো তারা পরিধান করে, যাদের (পরকালে) কোন অংশ নেই।
عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِيْ لَيْلَى، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ الْحَرِيْرِ وَالدِّيْبَاجِ، قَالَ: «إِنَّمَا يَفْعَلُ ذَلِكَ مَنْ لَا خَلَاقَ لَهُ».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রেশম ও রেশমী বস্ত্রের হারাম হওয়া পুরুষদের জন্য, মহিলাদের জন্য নয়। কেননা তিবরানী তার মু'জাম নামক গ্রন্থে হযরত ইব্ন উমর (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) কোথাও বের হলেন, তখন তাঁর এক হাতে রেশমের কাপড়ের এক টুকরা ছিল, অন্য হাতে স্বর্ণের টুকরা। তখন তিনি বললেন : এ দুটো বস্তু আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম এবং মহিলাদের জন্য হালাল। অবশ্য চার আঙ্গুল পরিমাণ রেশম পুরুষদের জন্য জায়েয। অন্য রিওয়ায়েতে আঁ হযরত (সা) থেকে এ পরিমাণের জন্য অনুমতি প্রমাণিত আছে।


বর্ণনাকারী: