মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৮৩
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৮৩
অনুবাদঃ হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে পীড়িত অবস্থায় দেখার উদ্দেশ্যে তাঁর নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) এটা বলে সংবাদ প্রেরণ করেন যে, আমি এ সময় ব্যথা-বেদনায় কষ্টে আছি, সুতরাং আপনি এবার ফিরে যান। হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সংবাদ বাহকের নিকট বলেন যে, আমি হাযিরা না দিয়ে ফিরে যাওয়ার মত ব্যক্তি নই। সংবাদ বাহক ফিরে এলেন এবং একই কথা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট বললেন। তখন তিনি তাকে আসার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। এরপর তিনি বলেন, আমি চিন্তা ও দুঃখে-বেদনায় পতিত হয়েছি এবং আমি মৃত্যু যন্ত্রণাকে ভয় করছি। তখন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, সুসংবাদ নিন। আল্লাহর শপথ। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছি যে, আয়েশা (রাযিঃ) বেহেশতে থাকবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আল্লাহর নিকট এতো অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে, তাঁর বিবাহ কোন দোযখবাসীর সাথে হতে পারেনা। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, তুমি আমার দুঃখ-বেদনা দূর করে দিয়েছ, আল্লাহ্ তোমার দুঃখ দূর করে দেবেন।
অনুবাদঃ হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে পীড়িত অবস্থায় দেখার উদ্দেশ্যে তাঁর নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) এটা বলে সংবাদ প্রেরণ করেন যে, আমি এ সময় ব্যথা-বেদনায় কষ্টে আছি, সুতরাং আপনি এবার ফিরে যান। হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সংবাদ বাহকের নিকট বলেন যে, আমি হাযিরা না দিয়ে ফিরে যাওয়ার মত ব্যক্তি নই। সংবাদ বাহক ফিরে এলেন এবং একই কথা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট বললেন। তখন তিনি তাকে আসার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। এরপর তিনি বলেন, আমি চিন্তা ও দুঃখে-বেদনায় পতিত হয়েছি এবং আমি মৃত্যু যন্ত্রণাকে ভয় করছি। তখন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, সুসংবাদ নিন। আল্লাহর শপথ। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছি যে, আয়েশা (রাযিঃ) বেহেশতে থাকবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আল্লাহর নিকট এতো অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে, তাঁর বিবাহ কোন দোযখবাসীর সাথে হতে পারেনা। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, তুমি আমার দুঃখ-বেদনা দূর করে দিয়েছ, আল্লাহ্ তোমার দুঃখ দূর করে দেবেন।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى عَائِشَةَ لِيَعُوْدَهَا فِيْ مَرَضِهَا، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ: إِنِّيْ أَجِدُ غَمًّا وَكَرْبًا، فَانْصَرِفْ، فَقَالَ لِلرَّسُوْلِ: مَا أَنَا بِالَّذِيْ يَنْصَرِفُ حَتَّى أَدْخُلَ، فَرَجَعَ الرَّسُوْلُ، فَأَخْبَرَهَا بِذَلِكَ، فَأَذِنَتْ لَهُ، فَقَالَتْ: إِنِّيْ أَجِدُ غَمًّا وَكَرْبًا، وَأَنَا مُشْفِقَةٌ مِمَّا أَخَافُ أَنْ أُهْجَمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَبْشِرِيْ، فَوَاللهِ، سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُوْلُ: «عَائِشَةُ فِي الْجَنَّةِ»، وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْرَمَ عَلَى اللهِ أَنْ يُزَوِّجَهُ حَمْرَةً مِنْ حُمَرِ جَهَنَّمَ، فَقَالَتْ: فَرَّجْتَ فَرَّجَ اللهُ تَعَالَى عَنْكَ».
