মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা

হাদীস নং: ৩৮১
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৮১

শাবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমার মধ্যে এমন সাতটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অন্য কোন স্ত্রীর মধ্যে ছিল না : (১) নবী (ﷺ) কুমারী বা কিশোরী অবস্থায় আমাকে বিবাহ করেছেন। তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে আর কাউকে কুমারী অবস্থায় বিবাহ করেননি। (২) বিবাহের পূর্বে হযরত জিবরাঈল (আ) আমার আকৃতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে পেশ করেছেন। আমাকে ব্যতীত অন্যকোন স্ত্রীর আকৃতি বিবাহের পূর্বে তাঁকে এভাবে দেখানো হয়নি। (৩) আমি হযরত জিবরাঈল (আ)-কে দেখেছি। আমি ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রী তাঁকে দেখেননি। (৪) আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তাঁর নিজের চেয়ে অধিক প্রিয় ছিলাম এবং আমার পিতাও তাঁর নিকট প্রিয় ছিলেন। (৫) আমার পবিত্রতা ঘোষণা করে কুরআনের কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। অন্যথায় (ইফকের ঘটনার ব্যাপারে) মানুষের একটি দল ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। (৬) আমার ঘরে এবং পালার রাত ও দিনে তিনি ইনতিকাল করেন। (৭) আমার গলা ও বুকের মধ্যে তাঁর পবিত্র আত্মা কবয করা হয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমার মধ্যে এমন সাতটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আঁ হযরত (ﷺ)-এর অন্য কোন স্ত্রীর মধ্যে ছিল না : (১) কুমারী অবস্থায় তিনি আমাকে বিবাহ করেছেন। আমাকে ছাড়া অন্য কোন স্ত্রীকে কুমারী অবস্থায় বিবাহ করেননি। (২) আমাকে বিবাহ করার পূর্বে হযরত জিবরাঈল আমার আকৃতি (প্রতিকৃতি) নিয়ে তাঁর সামনে অবতীর্ণ হয়েছেন। অথচ আমাকে ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রীর আকৃতি নিয়ে তিনি অবতীর্ণ হননি। (৩) নিজ সত্তা থেকেও আমি তাঁর নিকট অধিক প্রিয় ছিলাম এবং আমার পিতাও তাঁর নিকট খুবই প্রিয় ছিলেন। (৪) আমার পরিস্কার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়। অন্যথায় তখন মানুষের একটি দল ধ্বংস হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। (৫) আমার ঘরে ও আমার পালার দিন তিনি ইনতিকাল করেন। (৬) আমার গলা ও বুকের মধ্যে মাথা রেখে তিনি ইনতিকাল করেন। (৭) আমাকে হযরত জিবরাঈল (আ)-কে দেখানো হয়েছে। অথচ আমাকে ছাড়া অন্য কোন স্ত্রীকে তা দেখানো হয়নি।
عَنْ عَوْنِ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: " فِيَّ سَبْعُ خِصَالٍ لَيْسَتْ فِي وَاحِدَةٍ مِنْ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَزَوَّجَنِي وَأَنَا بِكْرٌ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ أَحَدًا مِنْ نِسَائِهِ بِكْرًا غَيْرِي، وَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِصُورَتِي، قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِي، وَلَمْ يَنْزِلْ بِصَورَةِ وَاحِدَةٍ مِنْ نِسَائِهِ غَيْرِي، وَأَرَانِي جِبْرِيلَ، وَلَمْ يُرِهِ أَحَدًا مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِي، وَكُنْتُ مِنْ أَحَبِّهِنَّ إِلَيْهِ نَفْسًا وَأَبًا، وَنَزَلَتْ فِيَّ آيَاتٌ مِنَ الْقُرْآنِ، كَادَ أَنْ يَهْلِكَ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَمَاتَ فِي لَيْلَتِي وَيَوْمِي، وَتُوُفِّيَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي "، وَفِي رِوَايَةٍ، أَنَّهَا قَالَتْ: " إِنَّ فِيَّ سَبْعَ خِصَالٍ مَا هُنَّ فِي وَاحِدَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ: تَزَوَّجَنِي بِكْرًا وَلَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرِي، وَأَتَاهُ جِبْرِيلُ بِصُورَتِي، قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِي، وَلَمْ يَأْتِهِ جِبْرِيلُ بِصُورَةِ أَحَدٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِي، وَمِنْ أَحَبِّهِنَّ إِلَيْهِ نَفْسًا وَأَبًا، وَأُنْزِلَ فِيَّ عُذْرٌ، كَادَ يَهْلِكَ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَمَاتَ فِي يَوْمِي وَلَيْلَتِي، وَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَأَرَانِي جِبْرِيلَ، وَلَمْ يُرِهِ أَحَدًا مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِي "

হাদীসের ব্যাখ্যা:

তিরমিয়ী শরীফে হযরত আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত আছে এবং যা সহীহ বলা হয়েছে, তিনি যখন নবী করীম (সা)-কে জিজ্ঞাসা করেন সমস্ত মানুষের মধ্যে আপনার নিকট অধিক প্রিয় কে? তখন তিনি বলেছেন, হযরত আয়েশা (রা), এরপর তিনি পুনরায় জিজ্ঞা করলেন পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা অর্থাৎ হযরত আবু বকর (রা)। হযরত আনাস (রা) থেকেও এ ধরনের বর্ণনা রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে ছয় বছর বয়সে হযরত আয়েশা (রা)-এর বিবাহ হয়, নয় বছর বয়সে তিনি স্বামীর বাড়ি গমন করেন। হিজরতের আট বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন এবং আঠার বছর বয়সে আঁ হযরত (সা) ইনতিকাল করেন। তিরমিয়ী শরীফে ইব্ন আবী মুলায়কার সূত্রে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, হযরত জিবরাঈল (আ) সবুজ রেশমের কাপড়ে আচ্ছাদিত হয়ে নবী করীম (সা)-এর খেদমতে আগমণ করেন এবং বলেন, ইনি হলেন আপনার ইহকাল ও পরকালের স্ত্রী।
তিরমিযী আবি সালমার সূত্রে হযরত আয়েশা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত জিবরাঈল (আ) হযরত আয়েশা (রা)-কে বলেন: হে আয়েশা! ইনি হলেন জিবরাঈল এবং ইনি তোমাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বললামঃ وعليه السلام ورحمة الله وبركاته তিরমিযী শরীফের এক রিওয়ায়েতে হযরত উম্মে সালমাকে (রা)-কে সম্বোধন করার সময় আঁ হযরত (সা)-এর এ ধরনের একটি বাক্য বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে আয়েশার ব্যাপারে কষ্ট দিও না। কেননা তার এ সৌভাগ্য হয়েছে যে, আমি তোমাদের মধ্যে শুধু তার লেপের মধ্যে থাকা অবস্থায় ওহী নাযিল হয়েছে।
ষষ্ঠ বৈশিষ্ট্যের দ্বারা افك এর ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, হযরত আয়েশা (রা)-এর পবিত্রতার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে এবং আল্লাহ পাকের সাক্ষ্য দ্বারা তাঁর পবিত্রতা প্রমাণিত হয়েছে। অদ্যাবধি পৃথিবীতে হযরত মরিয়ম (আ) ব্যতীত অন্য কেউ এ মর্যাদা লাভ করতে পারেননি।
এ সমস্ত হাদীসের দ্বারা একটি চিত্তাকর্ষক প্রশ্নের উদ্রেক হয়। তা হলো এই যে, হযরত খাদীজা, হযরত আয়েশা ও হযরত ফাতিমা (রা) এই তিনজনের মধ্যে কে অধিক উত্তম। প্রত্যেকের ফযীলত সম্পর্কে হাদীসে বর্ণনা রয়েছে। এগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁদের মধ্যে কোন একজনের উত্তম হওয়ার বিষয়টি মীমাংসা করা খুবই কঠিন। এ বিষয়ে উলামায়ে কিরামের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
ইমাম আহমদ ও তিবরানী (র) হযরত আনাস (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণনা করেন যে, দুনিয়ার সমস্ত মহিলার মধ্যে সর্বোত্তম হলেন চারজন। হযরত মরিয়ম বিনতে ইমরান, হযরত খাদীজা বিনতে খুরাইলিদ, হযরত ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ এবং ফিরআউনের স্ত্রী আছিয়া (রা)।
হাকিম স্বীয় মুসতাদরাকে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, বেহেশতের মহিলাদের নেত্রী হবেন চারজন। হযরত মরিয়ম, হযরত খাদীজা, হযরত ফাতিমা ও হযরত আছিয়া।
নাযযার ও তিবরানী হযরত আম্মার ইব্ন ইয়াসির (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণনা করেন যে,নবী করীম (সা) বলেছেন: আমার উম্মতের মধ্যে হযরত খাদীজার মর্যাদা ও ফযীলত এরূপ,যেরূপ দুনিয়ার সমস্ত মহিলার উপর হযরত মরিয়মের ফযীলত ও মর্যাদা বিদ্যমান।
নাসাঈ শরীফে হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে, বেহেশতের মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন হযরত খাদীজা ও হযরত ফাতিমা (রা)। সুতরাং এ সমস্ত রিওয়ায়েতের দৃষ্টিকোণ থেকে দুনিয়া ও বেহেশতের সমস্ত মহিলার মধ্যে হযরত খাদীজা ও হযরত ফাতিমার অধিক মর্যাদাসম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এঁদের মধ্যে আয়েশা (রা) ও অন্যান্ন উম্মুল মুমিনীনও রয়েছেন।
এবার তাঁদের মধ্যে পরস্পরের ফযীলত সম্পর্কে বুখারী শরীফে বর্ণিত আছেঃ فاطمة سيدة نساء أهل الجنة (হযরত ফাতিমা বেহেশতের নারীদের নেত্রী)। এরদ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, হযরত খাদীজা, (রা)-এর চেয়েও হযরত ফাতিমার ফযীলত বেশি। তাই আল্লামা তাকীউদ্দীন সুবকী (র) ফযীলতের ক্রমধারা বর্ণনা করে বলেন, প্রথম হযরত ফাতিমা, এরপর হযরত খাদীজা অতঃপর আয়েশা। হযরত আয়েশা (রা)-এর ফযীলত সম্পর্কে স্বয়ং হযরত আয়েশার উল্লেখিত সাতটি বৈশিষ্ট্যের দ্বারা তাঁর ফযীলত প্রমাণ করে। এ ছাড়া মশহুর হাদীসে রয়েছে যে, আঁ হযরত (সা) বলেছেন : فضل عائشة على النساء كفضل الثريد على سائر الطعام "সমস্ত মহিলার উপর আয়েশার ফযীলত এরূপ যেমন খাদ্যের মধ্যে সারীন-এর মর্যাদা।" বেহেশতের সুসংবাদের ফযীলত আমরা ধারণা করতে পারব না। সেই ফযীলত নবী করীম (সা)-এর সমস্ত স্ত্রীগণ লাভ করেছিলেন। সুতরাং এ সমস্ত হাদীসের ভিত্তিতে উলামায়ে কিরামের মতামত এক বিশেষ দিকে নিবদ্ধ হতে পারে না। বিভিন্নজন বিভিন্নজনকে উত্তম বলেছেন। কিন্তু অধিকাংশ উলামায়ে কিরামের মত হলো এই যে, প্রকৃতপক্ষে সর্বোত্তম হওয়ার অধিকার রাখেন একমাত্র হযরত খাদীজা (রা)। কেননা উল্লেখিত রিওয়ায়েত এর প্রমাণ বহন করে এবং এটাও একটি প্রমাণ যে, আঁ হযরত (সা)-এর নিকট হযরত খাদীজা (রা) অধিক প্রিয় হওয়ার কারণে হযরত আয়েশা (রা) ঈর্ষা করেছেন। পূর্ববর্তী হাদীসে এর বর্ণনা রয়েছে। সুতরাং এরদ্বারা সর্বোত্তম হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং তিনি হযরত ফাতিমা (রা)-এর সম্মানিত আম্মা।
এ ছাড়া ইমাম আহমদ ও তিবরানী বর্ণনা করেন, একবার হযরত আয়েশা (রা) হুযূর (সা)-এর সামনে বলেন যে, আল্লাহ্ আপনাকে একজন বৃদ্ধার পরিবর্তে একজন কিশোরী দান করেছেন। এখন আর তাঁর স্মরণের কি অর্থ আছে? এটা শুনে তিনি অত্যন্ত রুষ্ট হলেন। হযরত আয়েশা ভীত হয়ে বললেন, ঐ পবিত্র সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সাথে প্রেরণ করেছেন,ভবিষ্যতে আমি তাকে এভাবে কখনো উল্লেখ করব না। বরং তার উত্তম দিকের কথা বলব। আঁ হযরত (সা)-এর এ অসন্তুষ্টির দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, হযরত খাদীজার মর্যাদা ছিল হযরত আয়েশার চেয়ে অধিক। অবশ্য হযরত আয়েশা এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে আঁ হযরত (সা) একটি শব্দও সহ্য করতেন না।
অতঃপর হযরত খাদীজা (রা)-এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তাঁর ফযীলত বা সর্বোত্তম হওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। তা হলো, ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামী হওয়া, তাঁর কোন সতীন বা প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা, আঁ হযরত (সা)-এর সমস্ত সন্তান তাঁর থেকে জন্মলাভ করা, হযরত ফাতিমা (রা)-এর সম্মানিত মা হওয়া, নবী করীম (সা) এর সাথে তাঁর দাম্পত্য জীবন দীর্ঘ দিন হওয়া ইত্যাদি। অবশেষে বিবেক এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য যে, ھر گلے را رنک وبوے ديگر است (প্রত্যেক ফুলের রং ও ঘ্রাণ আলাদা) প্রত্যেকের মধ্যে আল্লাহ তা'আলা বিশেষ বিশেষ সৌন্দর্য দান করেছেন যা অন্যের ভাগ্যে হয়নি যা মর্যাদার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। যেমন হযরত আয়েশা (রা)-এর ইলম ও ইজতিহাদের যোগ্যতা, যার ফলে তিনি সবার মধ্যে সর্বোত্তম বলে গণ্য। এ বিষয়ে তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। এমন কি এটা বলা হয়ে থাকে যে, আহকামে শরীয়ার এক-চতুর্থাংশ তাঁর থেকে বর্ণিত। তাই আত্তার ইব্ন আবী রিবাহ তাঁর সম্পর্কে বলেন, তিনি সবচেয়ে বেশি ফকীহ, আলিম, যাহিদ এবং সঠিক মতামত প্রদানকারী ছিলেন। হযরত উরওয়াহ (র) বলেন, ফিকহ, চিকিৎসা ও কাব্য সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা) থেকে আমি অন্য কাউকে অধিক জ্ঞানী দেখিনি। সম্ভবত সারীদ-এর হাদীস দ্বারা ঐ উত্তম গুণাবলীর দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এ দিকে হযরত খাদীজা (রা)-এর বয়সের পরিপক্কতা, অভিজ্ঞতা, আঁ হযরত (সা)-এর জন্য আত্মত্যাগ, ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামী হওয়া, হুযুর (সা)-এর দুঃখ-কষ্টকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি এবং তাঁর সুখে আনন্দ প্রকাশ করা ইত্যাদি তাঁর সর্বাধিক মর্যাদা প্রমাণ করে। অতঃপর সরকারে দো'আলম (সা)-এর কলিজার টুকরা হযরত ফাতিমা (রা) সম্পর্কে তিনি বলেছেন: بضعة منى "ফাতিমা আমার দেহের এক টুকরা।" তাঁর সাথে আঁ হযরত (সা)-এর বংশ, স্বভাব ও প্রকৃতি, স্নেহ-মহব্বত ছিল, এটা তাঁর মর্যাদাকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়, যাতে অন্য কারো সমকক্ষতা অর্জনের কোন সুযোগ নেই।
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৩৮১ | মুসলিম বাংলা