মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৬৬
হযরত আম্মার (রাযিঃ) এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৬৬
হযরত হামযা ইব্ন ইয়ামান (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন। আমার পর (খলীফা হিসেবে) হযরত আবু বকর ও উমরের অনুসরণ কর এবং আম্মার (রাযিঃ)-এর চরিত্র গ্রহণ কর, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ওসীয়ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর।
হযরত হামযা ইব্ন ইয়ামান (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন। আমার পর (খলীফা হিসেবে) হযরত আবু বকর ও উমরের অনুসরণ কর এবং আম্মার (রাযিঃ)-এর চরিত্র গ্রহণ কর, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ওসীয়ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اقْتَدُوا بِاللَّذِينَ مِنْ بَعْدِي: أَبِي بَكْرٍ وَعُثْمَانَ، وَاهْتَدُوا بِهُدَى عُمَرَ، وَتَمَسَّكُوا بِعَهْدِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত উমর (রা)-এর ফযীলত সম্পর্কে হাদীস গ্রন্থ সমূহে প্রচুর বর্ণনা রয়েছে। আঁ হযরত (সা) অত্যন্ত মহব্বতের সাথে এ দুইজনের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন। কোথাও বলেছেন, নবী ও রাসূলগণের পর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত মানুষের মধ্যে, এমন কি সমস্ত বেহেশতবাসীর তাঁরা উভয়ই হবেন সদার। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবূ বকর (রা) ও হযরত উমর (রা) আমার চোখ ও কান। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, আবূ বকর আমার থেকে এবং আমি তার থেকে। তিনি ইহকাল ও পরকালে আমার ভাই। কোথাও এরূপ বলেছেন। যে, উমর আমার সাথে আছে এবং আমিও তার সাথে আছি। আমার পর হক ও ন্যায় তার সাথে থাকবে, যেখানেই হোক না কেন।
এ হাদীস হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারও অকাট্য সুস্পষ্ট, যেমন মোল্লা আলী ক্বারী (র) লিখেছেন। তাই ইমাম আযম (র) তার খলীফার পর সমস্ত সাহাবার মধ্যে হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-কে মানদন্ড মনে করতেন এবং তাঁর কথা ও বর্ণনার উপর স্বীয় মাযহাবের অধিকাংশ বিষয়ের ভিত্তি নির্ধারণ করেছেন। কেননা শরীয়তের আহকাম ও ইলমে দীনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যোগ্য ও সবার শিরোমণি ছিলেন এবং আঁ হযরত (সা)-এর বাণী, যাতে তিনি বলেছেন : “ইব্ন মাসউদের ওসীয়ত শক্তভাবে আঁকড়ে ধর" এটা তাঁর অনুসরণ বাধ্যতামূলক হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রমাণ বহন করে। আল্লামা তুরপশতী (র)-এর মতে এ হাদীসে عهدএর অর্থ খিলাফতের বিষয় অর্থাৎ হুযূর (সা) বলেন যে, খিলাফতের বিষয়ে ইব্ন মাসউদের মতামত গ্রহণযোগ্য বলে মনে করবে। সুতরাং তাদের মতে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর নির্বাচনের ব্যাপারে হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর মতামত ছিল এই যে, দুনিয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা কি এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করব না যাকে আঁ হযরত (সা) দীনের জন্য নির্বাচন করেছেন? কারো কারো মতে এটা হযরত আলী (রা)-এর উক্তি, কিন্তু এ দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীসের অর্থে মনোসংযোগ সৃষ্টি হয় যে, তিনি বলেছেন, আমার পর আবূ বকর ও উমর (রা)-এর অনুসরণ ও আনুগত্য কর, যারা আমার পর খলীফা হবেন এবং এ ব্যাপারে হযরত ইব্ন মাসউদের মতামতকে গুরুত্ব প্রদান কর এবং তা পালন কর। হযরত ইব্ন মাসউদ (র)-এর তিনটি উপনাম ছিল। পিতার দৃষ্টিকোণ থেকে ইব্ন মাসউদ, তাঁর মা-এর দিক থেকে ইব্ন উম্মে আবদ, কেননা তাঁর মা-এর উপনাম ছিল উম্মে আবদ এবং তাঁর ছেলের দিক থেকে আবূ আবদুর রহমান।
এ হাদীস হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারও অকাট্য সুস্পষ্ট, যেমন মোল্লা আলী ক্বারী (র) লিখেছেন। তাই ইমাম আযম (র) তার খলীফার পর সমস্ত সাহাবার মধ্যে হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-কে মানদন্ড মনে করতেন এবং তাঁর কথা ও বর্ণনার উপর স্বীয় মাযহাবের অধিকাংশ বিষয়ের ভিত্তি নির্ধারণ করেছেন। কেননা শরীয়তের আহকাম ও ইলমে দীনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যোগ্য ও সবার শিরোমণি ছিলেন এবং আঁ হযরত (সা)-এর বাণী, যাতে তিনি বলেছেন : “ইব্ন মাসউদের ওসীয়ত শক্তভাবে আঁকড়ে ধর" এটা তাঁর অনুসরণ বাধ্যতামূলক হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রমাণ বহন করে। আল্লামা তুরপশতী (র)-এর মতে এ হাদীসে عهدএর অর্থ খিলাফতের বিষয় অর্থাৎ হুযূর (সা) বলেন যে, খিলাফতের বিষয়ে ইব্ন মাসউদের মতামত গ্রহণযোগ্য বলে মনে করবে। সুতরাং তাদের মতে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর নির্বাচনের ব্যাপারে হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর মতামত ছিল এই যে, দুনিয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা কি এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করব না যাকে আঁ হযরত (সা) দীনের জন্য নির্বাচন করেছেন? কারো কারো মতে এটা হযরত আলী (রা)-এর উক্তি, কিন্তু এ দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীসের অর্থে মনোসংযোগ সৃষ্টি হয় যে, তিনি বলেছেন, আমার পর আবূ বকর ও উমর (রা)-এর অনুসরণ ও আনুগত্য কর, যারা আমার পর খলীফা হবেন এবং এ ব্যাপারে হযরত ইব্ন মাসউদের মতামতকে গুরুত্ব প্রদান কর এবং তা পালন কর। হযরত ইব্ন মাসউদ (র)-এর তিনটি উপনাম ছিল। পিতার দৃষ্টিকোণ থেকে ইব্ন মাসউদ, তাঁর মা-এর দিক থেকে ইব্ন উম্মে আবদ, কেননা তাঁর মা-এর উপনাম ছিল উম্মে আবদ এবং তাঁর ছেলের দিক থেকে আবূ আবদুর রহমান।


বর্ণনাকারী: